Main Menu

শহরের দক্ষিণা কালিমন্দির পরিদর্শনে ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার সোমনাথ হালদার

কালিমন্দিরের হামলা ও দখলের বিষয়ে আইনশৃংখলাবাহিনী নিশ্চয়ই ব্যবস্থা নেবেন

+100%-

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দক্ষিণ কালীবাড়িতে গত ১০ ফেব্রুয়ারি হামলা ও মন্দিরের জায়গা দখলের পাঁয়তারার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন চট্রগ্রামে নিযুক্ত ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার সোমনাথ হালদার।

গতকাল শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় সোমনাথ দক্ষিনা কালিমন্দিরে আসলে তাকে স্মাগত জানান মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি প্রিয়তোষ ভট্রাচার্য। মন্দির পরিচালনা কমিটির নেতৃবৃন্দ সহকারী হাইকমিশনারকে কালিমন্দিরে পিস্তল নিয়ে  হামলা ও দখলের পায়তারার বিষয়টি অবহিত করেন।পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সোমনাথ বলেন কালিমন্দিরের হামলা ও দখলের বিষয়ে আইনশৃংখলাবাহিনী নিশ্চয়ই ব্যবস্থা নেবেন। তিনি বলেন একই সাথে বসবাস করলে সমস্যা হতেই পারে।এ ব্যাপারে রাষ্ট্র যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করবে। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রাকেশ বনিক,সজল সাহা,প্রদীপ চক্রবর্তী,উত্তম পাল,দীলিপ দাস,সঞ্জয় বনিক,পার্থ রায়,স্বপন দাস,মীরা পাল প্রমুখ।

মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি প্রিয়তোষ ভট্রাচার্য জানান গত ১০ ফেব্রুয়ারী দুপুর ১২টার দিকে কতিপয় সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে মন্দিরের পুর্ব দিকে বাউন্ডারী ওয়াল নির্মানে বাধা প্রদান করেন এবং মন্দিরের অফিস কক্ষ দখল করে নেয়।তাদের দখলে বাধা দিলে তারা পিস্তল দিয়ে গুলি করতে উদ্যত হয়।এ সময় তারা বেশ কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরন ঘটিয়ে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে।পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।

এ ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় মামলা রুজু করা হলে পুলিশ মামলার প্রধান আসামী সফিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে। কিন্ত অপর ৯জনকে গ্রেপ্তার না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মন্দির পরিচালনা কমিটির নেতৃবন্দ। কমিটির নেতৃবৃন্দের অভিযোগ আসামীদের গ্রেপ্তার না করায় তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঈনুর রহমান বলেন, বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, অন্য আসামিদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।






Shares