Main Menu

আওয়ামী লীগ নেতার ছেলের কান্ড : ৩ দিন পর বিয়ের আশ্বাসে ফেরত দেয়া হলো তরুনীকে

+100%-

ফিল্মি স্টাইলে প্রকাশ্যে অস্ত্র উঁচিয়ে বাড়ি থেকে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়ার ৩ দিন পর ফেরত দেয়া হয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আলোচিত অপহরন ঘটনার শিকার সেই তরুনীকে। বৃহস্পতিবার জেলা আওয়ামীলীগের শীর্ষ প্রভাবশালী এক নেতার ছেলে শহরের পূর্ব মেড্ডার ওই তরুনীকে নিয়ে যায়। এরপর শনিবার রাতে পৌরসভার সংক্ষিত আসনের এক নারী কাউন্সিলরের মাধ্যমে তাকে ফেরত দেয়া হয়।

তরুনীর বড় মামা হাজী নাজমুল ইসলাম দারু জানান, মহিলা কাউন্সিলরকে নেতার বাসায় ডেকে নিয়ে তার কাছে মেয়েকে হস্তান্তর করা হয়। তার সাথে আমার বোনও ছিলো। এসময় বলা হয়েছে পরবর্তীতে যা করার করবে। এক মাস সময় নিয়েছে। এরপর বিয়ে করাবে বলে একটা আশ্বাস দেয়া হয়েছে।

পৌরসভার সংরক্ষিত ১,২ ও ৪ নং ওয়ার্ডের নারী কাউন্সিলর হোসনে আর বাবুল জানান, রাত ৯ টার দিকে ওই নেতার বাসা থেকে মেয়েকে নিয়ে আসেন। সে নেতার এক আত্মীয়ের বাসায় ছিলো। সেখান থেকে এনে তাদেরকে দেয়া হয়।

তিনি বলেন, বিয়ের কোন কথা আমি জানিনা। মেয়ে পেয়ে আমরা চলে আসি। আমার নিজের বিবেচনায় মেয়ে সাধারন পরিবারের। আর তিনি হচ্ছেন উচ্চ লেবেলের নেতা। আমরাই চোখে দেখছি মিল খাবেনা। সে কারনে আমাদের মেয়ে আমরা নিয়ে এসেছি। মেয়ের দোষ আছে এবং মেয়ে রাগ করে বাড়ি থেকে চলে গিয়েছিলো বলেও জানান মহিলা কাউন্সিলর।

সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ সেলিম উদ্দিনও জানিয়েছেন, শনিবার রাত থেকেই মেয়ে পরিবারের হেফাজতে রয়েছে।

তবে রবিবার দুপুরে ওই তরুনীর বাড়িতে গিয়ে পাওয়া যায়নি কাউকে। মেয়েকে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়ার পর তার মা ঘর তালাবদ্ধ করে আত্মগোপনে রয়েছে। এবিষয়ে আইনী পদক্ষেপ নিলে বাড়ি ছাড়া করার হুমকী দেয়া হয় তাকে।

তরুনীর পিতা শহরের পূর্ব মেড্ডা বক্ষব্যাধি হাসপাতাল এলাকার মৃত হাজী ইউসুফ। ১৫/১৬ বছর আগে তার মৃত্যুর পর থেকে একমাত্র কন্যাকে নিয়ে মেড্ডার ওই বাড়িতে বসবাস করে আসছিলেন তার স্ত্রী । স্থানীয় আনন্দময়ী উচ্চ বিদ্যালয়ে ৮ম শ্রেনী পর্যন্ত পড়াশুনা করার পর আর পড়াশুনা করেনি ওই তরুনী। জেলা আওয়ামীলীগের শীর্ষ এক নেতার ছেলের এই কীর্তি টক অব দি টাউনে পরিনত হয়েছে।






Shares