Main Menu

বাঞ্ছারামপুর উপজেলা এলাকার তিতাস নদীর ত্রিমোহনায় নির্মিত দৃষ্টিনন্দন ‘ওয়াই সেতু’র উদ্বোধন

+100%-

নবীনগর প্রতিনিধি: সম্পূর্ণ ব্যতিক্রমী একটি সেতু। এর সংযোগ তিনটি। দেশে প্রচলিত সকল সেতুর চাইতে পুরোমাত্রায়ই আলাদা। এর গঠনশৈলী অনেকটাই ইংরেজি ‘ওয়াই’ অক্ষরের ন্যায়। আর সঙ্গতেই এর নাম হয়ে গেছে ‘ওয়াই সেতু’ কিংবা ‘ওয়াই ব্রীজ’। বাংলাদেশে এটিই প্রথম। অনেকের কাছে এশিয়া মহাদেশ কিংবা গোটা দুনিয়াজুড়েই ব্যতিক্রম। এটি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলা এলাকায়।

তিতাস নদীর উপর ত্রিমোহনায় নির্মিত দৃষ্টিনন্দন ওয়াই সেতুটি ১৬ সেপ্টেম্বর রোববার রবিবার উদ্বোধন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুপুরে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দীর্ঘ প্রতিক্ষিত ওয়াই সেতু উদ্বোধন করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নির্বাহী প্রকৌশলী মো.ফজলে রাব্বি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন,
এলাকাবাসীর স্বপ্নের এই ওয়াই সেতুটি চালু হওয়ায় চারদিকে নদী বেষ্টিত বাঞ্ছারামপুর উপজেলার পুরো দৃশ্যপটই পাল্টে যাবে বলে সর্বমহলের অভিমত। নদী পাড়ি দেওয়ার মতো দুর্বিষহ অপেক্ষার প্রহর আর গুনতে হবে না এখানকার মানুষকে। অতি অল্প সময়ে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ হবে নির্বিঘ্ন আর স্বচ্ছন্দময়।
স্থানীয় সূত্রে প্রকাশ, বৃহত্তর এই ওয়াই সেতুতে বদলে যাবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সবচেয়ে সম্ভাবনাময় বাঞ্ছারামপুর উপজেলার অর্থনীতির চাকা। তিতাস নদীর ত্রিমোহনার দুই অংশে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ভুরভুরিয়া ও চরলহনিয়া,অপরটি পশ্চিমাংশে কুমিলা জেলার রামকৃষ্ণপুর বাজার এবং মুরাদনগর উপজেলা এলাকাকে স্পর্শ করেছে দৃষ্টিকাড়া এই ওয়াই সতু। শেষ মুহুর্তে গতকাল শনিবার লেভেলিং কাজ, ধোয়ামোছা, ছোটখাটো ত্রুটিবিচ্যুতি সারানো এবং রঙের কাজও হয়েছে সম্পন্ন। সেতুটি চালু হবার পর দুই জেলার তিন-তিনটি উপজেলার মধ্যে রচিত হবে সেতুবন্ধন।
এলাকাবাসী এবং সেতু সংশ্লিষ্টদের দাবী, এটি কেবল দেশেই নয়, এশিয়া মহাদেশের বৃহত্তম ‘ওয়াই সেতু’। অনেকে বলছেন, এটি এশিয়া মহাদেশই নয়; গোটা বিশ্বের সবর্বৃহৎ ‘ওয়াই সেতু’ এটি। মূল সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হয় বছরখানেক আগে।
সংযোগ সড়কের কাজও হয়েছে শেষ, আজ রবিবার প্রধানমন্ত্রীর উদ্ধোধনের অপেক্ষায় ছিলো বলে জানালেন বাঞ্ছারামপুরের স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের প্রকৌশলী মো.জাহাঙ্গীর আলম।
বাঞ্ছারামপুর উপজেলা প্রকৌশল অফিস সূত্রে আরে জানা যায়, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের (এলজিইডি) তত্ত্বাবধানে নাভানা বিল্ডার্সের আওতায় ২০১১ সালের ১৬ জুন সেতুটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়। নির্মিত সেতুটির দৈর্ঘ্য ৭৭১.২০ মিটার এবং প্রস্থ ৮.১০ মিটার। সেতুটিতে পিলার রয়েছ ৩০২টি। দৃষ্টিনন্দন এই সেতু নির্মাণে খরচ ধরা হয়েছে ৮০ কোটি টাকা। এছাড়া সংযোগ সড়ক নির্মাণে ব্যয় হয় ১২ কোটি ৬৫ লাখ টাকা, আর জমি অধিগ্রহণ খাতে খরচ হয়েছে সাড়ে ৯ কোটি টাকা। সেতুটি নির্মাণের ফলে গোটা এলাকার যোগাযোগ ও বিনোদনের নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে বলে মনে করছেন এলাকাবাসী।






Shares