Main Menu

বাংলাদেশে পাচার বন্ধে ভারতে ফেনসিডিল বিক্রিতে কড়াকড়ি

+100%-

137133_1

নেশাদ্রব্য হিসেবে বহুল ব্যবহৃত কফের সিরাপ ফেনসিডিল অবশেষে নিষিদ্ধ করেছে ভারত সরকার।  

শুক্রবার এক ঘোষণায় দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ভারতের বাজারে সহজলভ্য ফেনসিডিল ও কোরেক্সসহ ৩৫০টি ‘ফিক্সড ডোজ কম্বিনেশন’ ওষুধ আর উৎপাদন বা বিপণন করা যাবে না।

নেশাউদ্রেককারী কোডেইন সমৃদ্ধ ফেনসিডিল বাংলাদেশে ১৯৮০ সাল থেকে নিষিদ্ধ হলেও প্রতিবেশী দেশ ভারতে বৈধতার সুযোগে দীর্ঘদিন ধরে তা পাচার হয়ে আসছে। ভারতে ওষুধ হিসেবে উৎপাদনের পর কয়েকগুণ বেশি দামে তা নেশাদ্রব্য হিসেবে বিক্রি হচ্ছে বাংলাদেশে।  কেবল ২০১৪ সালেই আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ধরা পড়েছে ৭ লাখ ৫০ হাজারের বেশি বোতল ফেনসিডিল।

ফেনসিডিল পাচার বন্ধে দুই দেশের মধ্যে বিভিন্ন পর্যায়ে আলোচনার পর দুই বছর আগে ভারত সরকার একটি নীতিমালা করলেও ওষুধ কোম্পানিগুলো তা অনুসরণ করছে না বলে অভিযোগ উঠেছিল সে সময়। নানাভাবে কড়াকড়ির পরও পরিস্থিতি সামাল দিতে না পারায় ভারতের এই নিষেধাজ্ঞা এলো।

ভারতের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে কলকাতায় বাংলাদেশের ডেপুটি হাই কমিশনার জকি আহাদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “এটা প্রত্যাশিত একটি পদক্ষেপ। আমাদের দেশের তরুণরা এই কফ সিরাপে আসক্ত হয়ে পড়ছে; দীর্ঘমেয়াদে বড় ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যা তৈরি হচ্ছে তাদের।”

ভারত সরকারের এই সিদ্ধান্তের ফলে ফেনসিডিল উৎপাদন ও চোরাচালান বন্ধ হলে তা দুই দেশের সম্পর্ক জোরদারেও ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন এই কূটনীতিক।

টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এসব ওষুধের ‘যৌক্তিক’ কোনো কার্যকারিতা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় খুঁজে পায়নি। বরং এসব ওষুধের ‘চিকিৎসা বহির্ভূত’ ব্যবহার উদ্বেগের কারণ ঘটাচ্ছে।

‘দুই বা তার বেশি ওষুধ নির্দিষ্ট মাত্রায় মিশিয়ে’ এ ধরণের ফিক্সড ডোজ কম্বিনেশন (এফডিসি) ওষুধ তৈরি করা হয়। সাধারণত বেদনানাশক বা মনোরোগের চিকিৎসায় বেশি ব্যবহৃত হয় এসব ওষুধ।

২০১৫ সালে মেডিসিন জার্নাল প্লস-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বের ১২ শতাংশেরও বেশি এফডিসির মধ্যে ‘মাদকের উপাদান’ রয়েছে।

‘অনুমোদিত নয়’- এমন ফিক্সড ডোজ ওষুধের ব্যবহার ও বিক্রি ভারতে ‘মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে’ বলে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের অভিমত। কেবল ফেনসিডিলের ব্যবসার পরিমাণই দেড় বিলিয়ন রুপির বেশি বলে তাদের হিসাব।

ভারতে কোডেইন মিশ্রিত কফ সিরাপের সবচেয়ে বড় প্রস্তুতকারক যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কোম্পানি ফাইজার ও অ্যাবোট। ভারতে এই সিরাপের প্রায় ১০ কোটি ৩৩ লাখ ডলারের বাজার রয়েছে, যার বড় অংশ এই কোম্পানি দুটোর।






Shares