Main Menu

নবীনগরে স্বামীর মুক্তিসহ ন্যায় বিচার দাবি স্ত্রীর

+100%-
মিঠু সূত্রধর পলাশ, নবীনগর প্রতিনিধি::  ব্রাহ্মণবাড়িয়া নবীনগর পৌরসদর এলাকার হাসপাতাল পাড়ার প্রভাবশালী শরিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে প্রতিবেশীকে হয়রানীমুলক সাজানো মিথ্যা মামলায় জেল হাজতে পাঠানোর অভিযোগ করা হয়েছে । মিথ্যা মামলার হাজতবাসী মোঃ আক্তার হোসেনের স্ত্রী সুমি আক্তার তার বিরুদ্ধে এ অভিযোগ তুলেন। গতকাল রবিবার(২১/০১) সাংবাদিকদের কাছে ঘটনার চিত্র তুলে ধরে তার স্বামী’র মুক্তিসহ ঘটনার ন্যায় বিচারের দাবী জানিয়েছেন তিনি।
সুত্রে জানা যায়, ওই এলাকার প্রতিবেশী মোঃ আক্তার হোসেন ও মোঃ শরিফুল ইসলামের সাথে জমি সক্রান্ত বিষয়ে পূর্ব বিরোধ চলে আসছিল। পৌরসভার বাড়ি নির্মান বিধিমালাকে উপেক্ষা করে বিল্ডিং-এর চতুর পাশে কোন প্রকার জায়গা না রেখে শরিফুল চারতলা বাড়ি নির্মান প্রক্রিয়া চালায়। ফলে পাশেরবর্তী আক্তার মিয়ার বাড়ির উপর দিয়ে বিল্ডিং-এর প্লাস্টারসহ প্রয়োজনীয় কাজ করায় বাধা দেয়া হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শরিফুল ইসলাম গত ১৪ জানুয়ারী বিকেলে আক্তার ও তার ভাই  মোঃ দুধ মিয়া(৪৫) এবং তার  মা নূর জাহান বেগম(৬৩) দেশীয় অস্ত্র সস্ত্র নিয়ে তার উপর আক্রমন করে রক্তাক্ত জখম করেছে বলে ৪৪৭/৩২৩/৩২৫/৩২৬/৩০৭/৫০৬ ধারায় একটি  মিথ্যা ঘটনা সাজিয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার তিনজনকেই আসামী করা হয়েছে। সুমি বলেন,আমার স্বামী ওই দিন ওই সময় বাড়িতেই ছিলেন না একটি সামাজিক বিয়ের অনুষ্ঠানে চলে যান বাড়িতে আসেন সন্ধ্যার পর। ওই মামলায় পুলিশ কোন রকম তদন্ত ছাড়াই অর্থনৈতিক সুবিধা গ্রহন করে তার স্বামীকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠায়।
এলাকার প্রতিবেশী মানুষের সাথে কথা বলে জানা যায়, ওই দিন মারামারির কোন ঘটনা ঘটে নাই,এলাকার মানুষ কেই দেখেও নাই  শুনেও নাই। মামলার তিন স্বাক্ষীর অন্যতম এক স্বাক্ষী নাজমা বেগম এর একটি অডিও ভাইরাল হয়েছে,সেখানে তিনি বলেছেন, আমিতো জানিনা,আমি দুই দিন ধরে বাড়িতে ছিলাম না।  সাংবাদিকরা এ বিষয়ে কথা বললে তিনি কোথাও কোন বক্তব্য দেননি বলে অডিওর বক্তব্য অস্বীকার করেছেন এবং ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ঘটনার দিন তিনি ছিলেন এবং ঘটনা দেখেছেন। মামলার অন্য দুই স্বাক্ষী আব্দুল্লা মিয়া শরিফুলের ভাইরা ভাই ও আনোয়ারা বেগম তার স্ত্রী।
এ ব্যাপারে একই সীমানার প্রতিবেশী পিয়ারা বেগম বলেন, বিকেলে কোন ধরনের ঝগড়া ঝাটিই হয় নাই,সকালে বিল্ডিং-এর প্লাষ্টার করতে আসা লোকদের বাধাঁ দেয়া হয় সে সময় একটু কথা কাটাকাটি হয়েছে, কোন মারা মারি হয় নাই,আমরা জানালা দিয়ে তাকিয়ে ছিলাম।
এ ব্যাপারে প্রতিবেশী ভাড়াটিয়া ইব্রাহিম মিয়া বলেন, আমি বিকেলে বাসায় ছিলাম না,কিন্তু কোন ধরনের মারামারির ঘটনার কথা শুনি নাই।
এ ব্যাপারে প্রতিবেশী রেহেনা বেগম বলেন, কোন মারামারি ঘটনার কথা শুনি নাই, দেখিও নাই,মাঝে মধ্যে আক্তার তার বাড়ির উপর দিয়ে ওই বাড়ির কাজ করতে নিষেধ করে এইটুকুই,মিথ্যা কথা বলার কিছুই নাই, দু’জনই আমার প্রতিবেশী কেউই আমার আপন না,আমি কার জন্য মিথ্যা বলব?
এ ব্যাপারে প্রতিবেশী মিলি বেগম বলেন, এই গুলি মিছা কথা,কোন মারামারি ঘটনা দেখি নাই শুনিও নাই, আক্তার মিয়া দুধু মিয়ারা খুব ভালা মানুষ ।
এ ব্যাপারে প্রতিবেশী শেখ হাবিবুর রহমান বলেন,ওই দিন বিকেলে এ মহল্লায় কোন মারামারির ঝগড়া ঝাটি’র কোন ঘটনার কথা শুনি নাই,দেখিও নাই,মুলত একটি বাড়ি নির্মান করতে হলে মিনিমাম দুই থেকে তিন ফুট জায়গা খালি রাখতে হয়,এখানে সেটা মানা হয়নি,ফলে আক্তার মিয়ার বাড়ির উপর দিয়ে বিল্ডিং-এর কাজ করায় বাধাঁ দেওয়া হয়।
এ ব্যাপারে একই সীমানার প্রতিবেশী ভাড়াটিয়া সামছুন্নাহার বেগম বলেন, আমি বাসাই ছিলাম, কোন মারামারি ঝগড়া ঝাটি কোন কিছুই ঘটে নাই,দেখি নাই, শুনিও নাই ।
এ ব্যাপারে একই সীমানার প্রতিবেশী শেলিনা বেগম বলেন, সকাল বেলা প্লাস্টার করতে বাধাঁ দেয় হয় সে সময় কথা কাটা কাটি হয় কিন্তু কোন মারামারি হয় নাই,বিকলে কোন ঘটনাই ঘটে নাই ।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শরিফুল ইসলাম বলেন,আমার উপর হামলা হয়েছে,আমি চিকিৎসাধীন আছি ,আমার জায়গাতেই অমি বাড়ি নির্মান করছি ,আমি ১১ পয়েন্ট জায়গা পাব তারা আমার জায়গা দখল করে রেখেছে,এই নিয়ে মামলা ও দরবার হয়েছে অনেক তারা কোন কিছুই মানে না।আমি ন্যায় বিচার প্রত্যাশী ।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই আবু বক্কর ঘুষ গ্রহনের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন,মামলাটি তদন্তাধীন, মামলা রেকর্ড হওয়ার পর ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট থাকায় একজনকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে থানার অফিসার ইনাচার্জ মাহবুব আলম অর্থনৈতিক সুবিধা নিয়ে মামলা রেকর্ড করার কথা অস্বীকার করে বলেন, পুলিশ বাদী কাছ থেকে সুবিধা নিয়ে মামলা রেকর্ড করেছে এটা সত্য নয়,বিধি মোতাবেক তদন্ত পূর্বক মামলা নেওয়া হয়েছে





Shares