Main Menu

এক বাসেই কলকাতা থেকে ঢাকা ছুঁয়ে আগরতলা

+100%-

ডেস্ক ২৪::এতো দিন কলকাতা থেকে আগরতলা যেতে হলে দুদফা বাস পবির্তনের প্রয়োজন হতো। কলকাতা থেকে ঢাকা এবং ঢাকা থেকে আগরতলা এ রুটেই চলছিল বাস। কিন্তু শীঘ্রই এ রুট জুড়ে গিয়ে হতে চলেছে সরাসরি একটিই রুট।

কলকাতার সল্টলেক থেকে ঢাকা ছুঁয়ে বাস পৌঁছতে চলেছে আগরতলায়।

ভারত কৃর্তপক্ষের এক সূত্রে জানা যায়, কলকাতা ও ত্রিপুরাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি মেনে এই সংক্রান্ত সমঝোতাপত্রটি স্বাক্ষর হতে চলেছে আগামী মাসের শুরুতে।

উল্লেখ্য, আগামী মাসের শুরুতে বাংলাদেশ সফরে আসবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

আগামী ৬ জুন সল্টলেকের আন্তর্জাতিক বাস টার্মিনাস থেকে একটি বেসরকারি পরিবহণ সংস্থার প্রথম বাস ছাড়বে আগরতলার উদ্দেশে।

সড়কপথে বাস বদল করে যাওয়া ছাড়াও পূর্ব ও উত্তর-পূর্ব ভারতের এই দুই রাজ্যের মধ্যে এখন যাতায়াত করা যায় আকাশপথে ও রেলপথে। কিন্তু প্রথমটি ব্যয়বহুল, আর দ্বিতীয় পথে আগরতলা যেতে দু’দিনের বেশি সময় লেগে যায়।

এদিকে কলকাতা থেকে সরাসরি বাস চালু হলে ১৪-১৫ ঘণ্টার মধ্যে পৌঁছনো যাবে আগরতলায়। প্রাথমিকভাবে সপ্তাহে তিন দিন কলকাতা থেকে এই বাস ছাড়বে। আর আগরতলা থেকে বাসটি ছাড়বে অন্য তিন দিন। ভাড়া লাগবে দুহাজার রূপিরও কম।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, সম্ভাব্য ঢাকা সফরে মোদি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে যে সব চুক্তি ও সমঝোতাপত্র সই হওয়ার কথা, তার মধ্যে কলকাতা-ঢাকা-আগরতলা সরাসরি বাস পরিষেবার বিষয়টি ছাড়াও রয়েছে চট্টগ্রামের রামগড় থেকে ত্রিপুরার সাব্রুম পর্যন্ত ফেনি ব্রিজ, গুয়াহাটি-শিলং-ঢাকা বাস পরিষেবা, বাংলাদেশ-ভুটান-ভারত-নেপাল মোটর ভেহিকেলস চুক্তি। এদিকে আসন্ন সফরে মোদির সঙ্গে ঢাকা আসার কথা রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।

গতকাল দিল্লিতে কেন্দ্রীয় পরিবহণ ও জাহাজমন্ত্রী নিতিন গডকড়ীর সঙ্গে এ নিয়ে বৈঠক করেছেন সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়েদুল কাদের। চলছে খসড়া চুক্তি তৈরির কাজও।

নবান্ন সূত্রে জানা যায়, পুরোদস্তুর পরিষেবা শুরুর আগে একবার পরীক্ষামূলক ভাবে কলকাতা থেকে ঢাকা হয়ে বাস যাবে আগরতলা। তারও আগে, ২২ মে পরীক্ষামূলক ভাবে শুরু হবে গুয়াহাটি-শিলং-ঢাকা বাস চলাচল।

ওবায়েদুল কাদের জানান, এই বাসের আনুষ্ঠানিক ভাবে যাত্রা শুরু করাবেন মোদি।

গত বছর কাঠমান্ডুর সার্ক সম্মেলনে স্থির হয়, সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে মসৃণ পণ্য পরিবহণের লক্ষ্যে ‘মোটর ভেহিকলস চুক্তি’করা হবে। কিন্তু পাকিস্তান বাদ সাধায় তা বাস্তবায়িত হয়নি। এবার কার্যত পাকিস্তানকে বাইরে রেখেই ওই চুক্তি বাস্তবায়িত করতে চাইছে সার্ক-ভুক্ত চারটি দেশ। জুনে থিম্পুতে চার দেশের পরিবহণমন্ত্রী এই চুক্তি চূড়ান্ত করবেন। তৎপরতা চলছে, যেনো মোদির বাংলাদেশ সফরের আগেই বিষয়টি চূড়ান্ত হয়।

মোদির সফরে কথা হতে পারে কলকাতা-চট্টগ্রাম, কলকাতা-খুলনা, কলকাতা-যশোহর ও শিলং-চট্টগ্রাম বাস যোগাযোগ নিয়েও।






Shares