Main Menu

কসবায় মসজিদের নেতৃত্বের বিরোধে হামলা, মুক্তিযোদ্ধাসহ আহত-৩

+100%-

কসবা প্রতিনিধি ॥ কসবায় মসজিদ কমিটির নেতৃত্ব নিয়ে প্রতিপক্ষের লোকজন কুপিয়ে এক বীরমুক্তিযোদ্ধাসহ ৩ জনকে মারাত্বক রক্তাক্ত জখম করেছে। গত শনিবার (১০ জুন) বিকেলে উপজেলার কুটি ইউনিয়নের জাজিয়ারা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় রবিবার সকালে ৪২ জনকে আসামী করে আহতের ছোট ভাই মোঃ সোহরাওয়ার্দী বাদী হয়ে কসবা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।

স্থানীয়রা জানান, গত দু’বছর যাবত কসবার কুটি ইউনিয়নের জাজিয়ারা কেন্দ্রিয় মসজিদ ওয়াকফা এস্টেট কমিটির সংগে পাশ্ববর্তী অপর একটি আহলে হাদিস মতাদর্শের মসজিদ কমিটির নেতৃবৃন্দের বিরোধ চলে আসছিলো। এ নিয়ে মসজিদের ধান চুরি ও মসজিদের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গ্রামের ওবায়দুল হক, আবু তাহের, ইয়াছিন আরাফাত, ফয়েজ আহাম্মদ ও আলাউদ্দিনের বিরুদ্ধে গত বছর উপজেলা প্রশাসনের নিকট অভিযোগ পেশ করেন ওয়াকফ এস্টেট কমিটির সভাপতি মোঃ সোহরাওয়ার্দী। অভিযুক্তরা সভাপতিকে প্রাণনাশের হুমকি দিলে তাদের বিরুদ্ধে থানায় একটি সাধারন ডাইরীও করেন তিনি।

বিষয়টি সমাধানে স্থানীয় কুটি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ছাইদুর রহমান স্বপন ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) সনজিব সরকার একাধিকবার দু’পক্ষের মধ্যে সমঝোতা করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। পরে গত শনিবার (১০ জুন) বিকেলে কসবা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আমিমুল এহসান খান ঘটনাস্থলে গিয়ে দু’পক্ষের সংগে আলোচনা করে কেন্দ্রিয় ওয়াকফা প্রশাসক কর্তৃক অনুমোদিত কমিটির মাধ্যমে মসজিদ পরিচালনা করার নির্দেশ দিয়ে সহ অবস্থান করার পরামর্শ দেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার চলে আসার পরপরই জাজিয়ারা কেন্দ্রিয় জামে মসজিদ ওয়াকফ এস্টেট কমিটির সমর্থকদের পেছন থেকে প্রতিপক্ষের লোকজন রাম দা, কিরিচসহ দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে উপুর্যপুরি হামলা চালায়। এতে বীর মুক্তিযোদ্ধা মহসিন মুলক (৭৩), হাবিবুর রহমান (৬৫) মাথায় ও মুখে কোপের আঘাতে মারাত্মক জখমপ্রাপ্ত হন। ছেচা ফুলা জখম প্রাপ্ত হন ওয়াকফা এস্টেটের সভাপতি মামলার বাদী মোঃ সোহরাওয়ার্দী। খবর পেয়ে কসবা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আমিমুল এহসান খান জানান, তিনি শান্তিপুর্নভাবে দু’পক্ষের মধ্যে সমঝোতা করে চলে আসেন। তিনি চলে আসার পর অনাকাঙ্খিত হামলার ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। বিষয়টি এখন আইনগতভাবে দেখা হবে।

অফিসার ইনচার্জ কসবা থানা মোহাম্মদ মহিউদ্দিন জানান, তিনি খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। তিনি বলেন এ ব্যাপারে একটি মামলা গ্রহন করা হয়েছে। জড়িতদের ছাড় দেয়া হবে না।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত পাশ্ববর্তী আহলে হাদিস মতাদর্শের নাজমুল হাসানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমরা তাদের মসজিদে যাইনা, আমরা আহলে হাদিস মসজিদে নামাজ পড়ি। তার ভাইও আহত হয়ে জেলা সদর হাসপতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আমি এবং আমার ভাইকে আসামী করে মামলা দেয়া হয়েছে।






Shares