Main Menu

ধর্ষণকারী ভন্ড কবিরাজ আটক

+100%-

প্রেস রিলিজ ::ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া থানাধীন মনিয়ন্দ গ্রামের জনৈক রেনু মিয়ার ছেলে কথিত ভন্ড কবিরাজ ফিরোজ মিয়া (৩৫) দীর্ঘদিন যাবৎ কবিরাজের নামে ঝার ফুক ও বিভিন্ন গাছ-পালার ঔষধ তৈরি করে প্রতারনার মাধ্যমে নিরীহ যুবতী ও কিশোরীদের ফাঁদে ফেলে তাদের ধর্ষণ করে থাকে। ইতোপূর্বে কুমিল্লা জেলার সুলতানা (ছদ্মনাম) কে ২০০৫ সালে প্রতারনার ফাঁদে ফেলে তাকে ধর্ষণ শেষে হত্যা করে। পরবর্তীতে তারই আপন মামাতো বোন হাফসানা (ছদ্মনাম) কে পুনরায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে মুখে মুখে বিবাহ করে কিছুদিন ঘর সংসার করার পর তার বাড়ী হতে বের করে দেয়। স্থানীয় লোকজন তার বিরুদ্ধে মৌখিক অভিযোগ করে। তাকে গ্রেফতারের পর জনসাধারন আনন্দ প্রকাশ করে।

উল্লেখ্য যে, ভিকটিম জিনিয়ার (ছদ্মনাম) ভাই গত ২২শে জানুয়ারি ২০১৫খ্রিঃ আখাউড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে জানান যে, তার বোন গত ১২ই জানুয়ারি ২০১৫খ্রিঃ মনিয়ন্দ গ্রামে চাচার বাড়িতে বেড়াতে যায়। আসামী ফিরোজ মিয়ার বাড়ী চাচার বাড়ীর পাশাপাশি হওয়ার সুবাদে জিনিয়ার (ছদ্মনাম) সাথে পরিচয় হয়। পরিচয়ের সময় জিনিয়াকে (ছদ্মনাম) ভন্ড কবিরাম ফিরোজ তার ভিজিটিং কার্ড দেয় এবং জিনিয়ার মোবাইল নম্বর নেয়। চাচার বাড়ি বেড়ানো শেষে জিনিয়া নিজ বাড়ীতে চলে আসে। পরবর্তীতে ভন্ড কবিরাম ফিরোজ মোবাইল ফোনের মাধ্যমে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। এতে জিনিয়া রাজি না হলে গত ১৫ই জানুয়ারি ২০১৫খ্রিঃ ফিরোজ বায়েক এলাকায় যেয়ে জিনিয়াকে বোনকে ফুসলিয়ে অপহরণ করে নিজ বাড়ি মনিয়ন্দ গ্রামে নিয়ে আসে এবং খড়মপুর মাজারে নিয়ে মৌখিকভাবে বিবাহ করে। অতঃপর ৭/৮দিন ভিকটিমের সাথে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। আটককৃত ভন্ড কবিরাজ ফিরোজকে জিজ্ঞাসাবাদে সে উপরোক্ত সকল ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে। উল্লিখিত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আখাউড়া থানার মামলা নং-৩৫, তারিখ-২২/০১/২০১৫খ্রিঃ, ধারা-নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধন/০৩) এর ৭/৯(১)।






Shares