Main Menu

আশুগঞ্জ নৌবন্দর থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর পর্যন্ত ৫০ কিলোমিটার সড়ক ৪ লেনে উন্নিতকরন-১৬০৮ কোটি টাকা ব্যয়

+100%-

ডেস্ক ২৪::আশুগঞ্জ নৌবন্দর থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর পর্যন্ত সড়ক চার লেনে উন্নীত হচ্ছে। খুব শীঘ্রই এ কাজ শুরু হবে। ১৬শ’ ৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ৫০.৭৮ কি. মি রাস্তার কাজ সম্পন্ন করতে রাজি হয়েছে ভারত ও বাংলাদেশ সরকার। আগামী তিন বছরের মধ্যে এ কাজ শেষ হবে।

এ কাজে ভারত সরকার দেবে ১৫শ’ ৭৩ কোটি টাকা আর বাংলাদেশ সরকার ভূমি অধিগ্রহণ সংক্রান্ত ব্যয় করবে ৩৫ কোটি টাকা।

রবিবার দুপুরে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের আখাউড়া স্থলবন্দর এলাকার দু’পাড়ে ভারত ও বাংলাদেশের সাংবাদিকদের সঙ্গে পৃথকভাবে এ কথা বলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, এ রাস্তার কাজ চার লেনে উন্নীত হলে ভারত-বাংলাদেশের যোগাযোগ বাড়ার পাশাপাশি দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক বৃদ্ধি ও পণ্য পরিবহন দ্রুততর হবে।

সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, ‘এ ব্যাপারে ত্রিপুরায় ল্যান্ডপোর্ট এলাকায় দু’দেশের মন্ত্রী ও কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠক হয়েছে। সেখানে আলোচনা হয়েছে ফেনী নদীর উপর ত্রিপুরা রাজ্য সরকার একটি সেতু নির্মাণ করবে। তারা এ ব্যাপারে জরিপ করাবে। এ সেতু নির্মিত হলে দু’দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।’

তিনি আরও বলেন, ভারত-বাংলাদেশের অনেক অমীমাংসিত ব্যাপারেও দু’দেশের সরকারের মধ্যে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে, হচ্ছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ১৯৭৪ সালের সীমান্ত চুক্তির ব্যাপারে ভারত সরকার ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে। তিস্তা পানি চুক্তির ব্যাপারেও বরফ গলেছে। পশ্চিম বাংলার মূখ্যমন্ত্রী মমতা একুশে ফেব্রয়ারি বাংলাদেশে আসবেন, তখন এ ব্যাপারে কার্যকরী কথা হবে। প্রথমদিকে দ্বিমত পোষণ করলেও এখন তিনি ইতিবাচক সাড়া দিচ্ছেন। এছাড়া ছিটমহল বিনিময়ের ব্যাপারেও ভারত সরকার আন্তরিক। খুব দ্রুত এসব ব্যাপারে কাজ শুরু হবে।’

আওয়ামী লীগের এই জ্যেষ্ঠ নেতা জানান, ‘ভারত সরকার বদল হলেও আমাদের সম্পর্কের কোনো পরিবর্তন হয়নি। আমাদের সম্পর্ক দিন দিন আরো বাড়বে। ঢাকা-গোহাটি বাস সার্ভিস চালু, আখাউড়া-আগরতলা রেল চলাচল কার্যক্রম অনেক দূর এগিয়েছে। কসবা সীমান্তে একটি সীমান্ত হাটের কাজও এগিয়েছে।’

এ সময় ত্রিপুরার পরিবহনমন্ত্রী মানিক দে বলেন, ‘আমরা বাণিজ্যিক ও সাংস্কৃতিক বিনিময় বাড়ানোর কথা বলেছি। সম্পর্ক উন্নয়নের ব্যাপারে ভারত-বাংলাদেশ দু’দেশের সরকারই আন্তরিক। যেসব সমস্যা আছে তার দ্রুত সমাধান হবে বলেই কথা হয়েছে।’

এ সময় বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার পঙ্কজ শরন বলেন, আশুগঞ্জ-আখাউড়া স্থলবন্দরের রাস্তার চার লেনের কাজ সংক্রান্ত প্রতিবেদন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আছে। তারা ভারত সরকারের কাছে প্রস্তাব পাঠালে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর অর্থ বরাদ্দ পেয়ে কাজ দ্রুত শুরু হবে।

তিনি আরও বলেন, ভারতীয় ভিসা প্রদান সহজতর করার জন্য কাজ চলছে। এ ব্যাপারে নতুন ব্যবস্থা চালুর চিন্তা চলছে।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ সদর আসনের এমপি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, জেলা প্রশাসক ড. মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেন, পুলিশ সুপার মনিরুজ্জামান পিপিএম, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পৌর মেয়র হেলাল উদ্দিন, আখাউড়া পৌর মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল, আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আহসান হাবিব, ভারতীয় হাই কমিশনের ফার্স্ট সেক্রেটারি অরুন্ধতি দাস, ত্রিপুরা পশ্চিম জেলা শাসক অভিষেক সিংহ, ত্রিপুরা রাজ্য সরকারের মূখ্য সচিব (পরিবহন) সমরজিত ভৌমিক, মহকুমা শাসক মানিক লাল দাস, ল্যান্ড পোর্ট অথরিটির ম্যানেজার দেবাশীষ নন্দী, বিজিবির রিজিওনাল কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল লতিফুল হায়দার এনডিসি, পিএসসি, সেক্টর কমান্ডার কর্নেল সৈয়দ ফজলে কাদের আহমেদ।






Shares