Main Menu

নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও সাব সেন্টারে ১২৬ পদ শূন্য- মুখ থুবড়ে পড়েছে স্বাস্হ্য সেবা

+100%-
মোঃ আব্দুল হান্নান- নাসিরনগর(ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধিঃ প্রায় তিন লক্ষ লোকের চিকিৎসার জন্য  ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলা ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাহতালে বিভিন্ন পদে ১২৬ কর্মকর্তা কার্মচারীর পদ শূন্য থাকার কারণে মুখ থুবরে পড়েছে চিকিৎসা ব্যবস্থা। বিভিন্ন গরীব ও অসহায় রোগীরা চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানায়, অত্র হাসপাতালে দুই মেডিকেল অফিসারের মাঝে দুইটি পদই শূন্য। সিনিয়র ষ্টাফ নার্স ১৮জনে ১৩টি পদই শূন্য। মেডিকেল টেকনলোজিষ্ট একটি,সহ সেবক ৪ জনে তিনটি ওয়ার্ড বয়, নিরাপত্তা প্রহরী দুই জনে দুইটি, এম এল এস এস চার জনে দুইটি। ঝারুদার দুই জনে ১টি । গোকর্ণ ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে মেডিকেল অফিসার ১টি। স্যাকমো ১টি। মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট ১টি। এম এল এস এস ১টি। হরিপুর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র। মেডিকেল অফিসার ১টি। স্যাকমো ১টি, মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট ১টি, এম এল এস এস ১টি। ফান্দাউক ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে স্যাকমো ১টি, মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট ১টি । এইচ এন্ড এফ ডব্লিউ সি  ৮টি,। প্রথম শ্রেনীর কর্মকর্তাদের মাঝে জুনিয়র কনসালটেন্ট ১টি,জুনিয়র কনসালটেন্ট স্যার্জিকেল ১টি, জুনিয়র কনসালটেন্ট এ্যাসেথেসিয়া ১টি, জুনিয়র কনসালটেন্ট গাইনী ও অবস ১টি, জুনিয়র কনসালটেন্ট শিশু ১টি, জুনিয়র কনসালটেন্ট কার্ডিওলোজি এক, সহকারী ডেন্টাল সার্জন ১টি, ই এম ও ১টি, আই এম ও ১টি, এম ও ১টি, সহ প্রথম শ্রেনীর মোট ১০জন। নাসিং সুপারভাইজার ১ জন, সিনিয়র ষ্টাপ নার্স ১৩ জন। দ্বিতীয় শ্রেণীর মোট ১৪জন। তৃতীয় শ্রেনীর ১৯ জন, চতুর্থ শ্রেনীর ২৬ জন। গুনিয়াউক পল্লী স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ১৮জন, গোকর্ণ ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও কল্যাণ কেন্দ্রে জন। হরিপুর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে চার জন, ফান্দাউক ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে ৪ জন। এইচ এন্ড এফ ডাব্লিউ সি আট ৮টি সহ মোট ৪০টি পদ শূন্য রয়েছে। গত কাল সরজমিন হাসপাতাল গিয়ে দেখা দেগেছে নার্স সংকটের কারণে ঝারুদার জেসমিন আক্তার বিভিন্ন রোগীর শরীরে ইনজেকশন ও স্যালাইন পুশ করছে। হাসপাতালে ডায়রিয়া ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা গেছে বিভিন্ন রোগীরা অন্ধকারে গরমে চটপট করছে। লাইট থাকলেও মিটমিট করে আলো জ্বলছে। তিনটি ফ্যানের মধ্যে দুইটি নষ্ট। টয়লেট গুলো অন্ধকারে নিমজ্জিত। পচাঁ দুরগন্ধে নাকে রোমাল চেপে ধরতে হয়। হাসপাতালের চারপাশে পচাঁ আর দুর্গন্ধ। খাবারের বেলাও অনিয়ম রয়েছে বলে বিভিন্ন রোগীর কাছ থেকে জানা যায়। হাসপাতালে অধিকাংশ জানালার কাচ ভাঙ্গা। এ বিষয়ে জানতে চাইলে টি এইচও ডা: আবু ছালেহ মোঃ মুসা খান বলেন দায়িত্ব অবহেলার কারণে সিভিল সার্জন ৫ ডাক্তারকে শোকজ করেছেন। এ বিষয়ে জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ সরফরাজ খান চৌধুরীর সাথে মোবাইল ফোনে হাসপাতালের দুর অবস্তার কথা জানতে চাইলে তিনি এই বিষয়টি দ্রুত ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান।






Shares