Main Menu

নাসিরনগরে হামলা: তালিকায় শতাধিক যুবক, গ্রেপ্তারে জন্য সারা দেশে একাধিক টিম

+100%-

img_20161124_171731

নাসিরনগর(ব্র্রাহ্মণবাড়িয়া) সংবাদদাতা:ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর হামলা ও মন্দির ভাংচুর ঘটনার সাথে শতাধিক যুবকের সংশ্লিষ্ঠতার প্রমান পেয়েছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। এই তালিকায় নিয়ে এখন মাঠে নেমেছে পুলিশ, র‌্যাব, বিজিপিসহ গোয়েন্দা সংস্থা গুলো। তবে তাদের এই অভিযান নিয়ে কেউ সরাসরি কথা বলতে আগ্রহী নন। তারা গনহারে আর কাউকে গ্রেপ্তার আগ্রহী নন বলে সূত্রটি নিশ্চিত করেছেন। বৃহস্প্রতিবারও ৪জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
অনুসন্ধানে জানা যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে হামলায় অংশগ্রহনকারী তরুনদের সংখ্যাই ছিল বেশি। যাদের বয়স ২০/৩০ বছরের মধ্যে। হামলার নেতৃত্বে ছিল এই সকল যুবক। তবে তারা স্থানীয়দের কাছে অপরিচিত। তাদের অধিকাংশ সেদিন শার্ট প্যান্ট পরিহিত ছিল। তারা কারা। কি তাদের পরিচয়। এখনো অজানা স্থানীয়দের কাছে। সেদিনের কথা এখনো মনে তাড়া দেয় এখানকার সংখ্যালুঘদের। তবে এই নিয়ে যখন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভুমিকা নিয়ে আলোচনা আর সমলোচনা শুরু হয়। তার পর নড়েচড়ে বসে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার নিয়ে মাঠে নামে তারা। সফলতা ও আসে। প্রমান হিসাবে তথ্য প্রযুক্তি আর ভিডিও ফুটেজ ও মোবাইল ট্্েরকিং মাধ্যমে। সন্ধ্যান মেলে এই ঘটনায় শতাধিক যুবক অংশ নেয় হামলা ও লুটপাটে। তবে এই শতাধিক যুবকের তালিকা প্রকাশ হয়নি এখনো। অনেকটা গোপনেই কাজ করছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী।

পুলিশে বক্তব্য:
এ ব্যাপারে নাসিরনগর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু জাফর জানান হামলার জড়িতরা এখন আমাদের নজরদারীতে। মুল হামলার আর লুটপাটে সাথে জড়িতরা বয়সে তরুণ বলে তিনি জানান। এ সময় আরও জানান তাদের গ্রেপ্তারে জন্য সারা দেশে একাধিক টিম কাজ করছে। পাশপাশি গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত আছে।

দাতঁমন্ডলে উঠান বৈঠক:
সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তায় উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে নাসিরনগরে দাতঁমন্ডলে। উঠান বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা আবদুল মান্নাফ। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নিবার্হী অফিসার লিয়াকত আলী, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু জাফর, উপজেলা যুবলীগের সাবেক প্রচার সম্পাদক নজরুল ইসলাম, নাসিরনগর সদর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আবদুল গাফফার, সংখ্যালঘুদের পক্ষে সংকর দেব ও রতিন্দ্র দেব নাথ প্রমুখ। সভায় বক্তারা এই ঘটনায় আতংকিত না হওয়ার আহবান জানান। পাশপাশি আগের মত হিন্দু ও মুসলমান এক সাথে চলাচল করতে পরার্মশ ও দেওয়া হয়েছে।

বাড়িতে থাকার জন্য মাইকিং:
নিরাপদে সবাই বাড়িতে থাকার জন্য মাইকিং করেছে উপজেলা প্রশাসন। বলা হয়েছে সবাই নিরাপদে বাড়িতে থাকবেন। নিরঅপরাধ কাউকে হয়রানি করা হবে না। রাতে বাড়িতেই ঘুমাবেন। কেউ হয়রানি করলে থানায় কিংবা উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তাকে ফোন করার কথা বলা হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে নাসিরনগর উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মো. লিয়াকত আলী জানান সচেতনতার জন্য এই প্রচরনা করা হয়েছে। আশা করি এই প্রচারণার পর নিরাপদে সবাই বাড়িতে বসবাস করবেন।

উল্লেখ্য, গত ২৯ অক্টোবর ফেসবুকে পবিত্র কাবা শরীফ নিয়ে ব্যাঙ্গচিত্র করে পোস্ট দেয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত ৩০ অক্টোবর দুস্কৃতিকারীরা নাসিরনগর উপজেলা সদরে তা-ব চালায়। এসময় দুস্কৃতিকারীরা উপজেলার অন্তত ১০টি মন্দির ও শতাধিক ঘর-বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট করে। এরপর ৪ নভেম্বর ভোরে ও ১৩ নভেম্বর ভোরে দুস্কৃতিকারীরা আবারও উপজেলা সদরে হিন্দু সম্প্রদায়েরর অন্তত ৬টি ঘর-বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে। এসব ঘটনায় নাসিরনগর থানায় পৃথক সাতটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় এখন পর্যন্ত ভিডিও ফুটেজ দেখে ৯৯ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।






Shares