Main Menu

উত্তপ্ত নাসিরনগর, প্রশাসনের ১৪৪ ধারা জারি!!!

+100%-

13এস.এম.বদিউল আশরাফ,নিজস্ব প্রতিবেদক :: ব্রাহ্মণবাড়িয়া নাসিরনগর উপজেলায় মাদক-সন্ত্রাস ও জঙ্গী বিরোধী সমাবেশকে কেন্দ্র করে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনের পর থেকেই জেলা ও উপজেলা ছাত্রলীগের মধ্যে দীর্ঘ দিন ধরে দ্বন্ধ চলে আসছে। আজ বৃহস্পতিবার বেলা তিনটার দিকে উপজেলা পরিষদের সামনে শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।
উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশে ভাষ্য, বিশৃঙ্খলা এড়াতে উপজেলায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।
জেলা ছাত্রলীগ সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বেলা তিনটার দিকে নাসিরনগর উপজেলা সদরের শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে মাদক-সন্ত্রাস ও জঙ্গী বিরোধী সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। জেলা ছাত্রলীগের নেতৃত্বে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ছাত্রলীগের আটটি ইউনিট (উপজেলা ছাত্রলীগ) ও নাসিরনগরের বিভিন্ন ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা অংশ নিবে।
নাসিরনগর উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক নাসিরউদ্দিন রানা এ প্রতিনিধিকে বলেন, এই ধরণের সমাবেশকে আমারা সাধুবাদ জানাই। তবে এ বিষয়ে আমাদের কিছু জানানো হয়নি। এম বি কানিজ নামে উপজেলার এক নেত্রী টাকা পয়সা দিয়ে এসব করাচ্ছেন বলে তিনি অভিযোগ করেন। তিনি আরও বলেন, উপজেলায় সচেতন ছাত্রসমাজ নামে কোনো ধরণের কোনো সংগঠন নেই। ছাত্রলীগ সভাপতি মাসুম বিল্লাহর ফেইসবুক পেইজ সূত্রে তাঁরা আয়োজন সম্পর্কে জানতে পেরেছেন বলে জানান তিনি।
জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রবিউল ইসলাম বলেন, জেলা কমিটির নেতৃত্বে ছাত্রলীগে আটটি ইউনিটের নেতারা এই সমাবেশে যোগ দিবে। উপজেলা আওয়ামী লীগ বা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের জানানো প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জেলা আওয়ামীলীগকে এ বিষয়ে জানানো হয়েছে। আর নাসিরনগরে উপজেলা ছাত্রলীগের কোনো কমিটি বর্তমানে নেই। ১৪৪ ধারা জারি হয়েছে শুনে তিনি বলেন, আমরা আড়াইটার দিকে রওয়ানা হব।

npএদিকে এ সমাবেশকে কেন্দ্র করে নাসিরনগরে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। স্হানীয় লোকজন এ সমাবেশকে প্রতিহত করার জন্য উপজেলার বিভিন্ন পয়েন্টে জমায়েত হয়েছে। এ সময় তাদের হাতে লাঠি-সোটা সহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র দেখা যায়।
জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক এম বি কানিজ বলেন, সাবেক ও বর্তমান ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা এই আয়োজন করছে। আমি তাদের সহযোগিতা করছি। এখন ছাত্রলীগের নাম তো আর লেখা যাবে না। তাই সচেতন ছাত্রসমাজের ব্যানারে এই আয়োজন করা হয়েছে। জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে জানানো হয়েছে।
উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি রাফিউদ্দিন বলেন, এসব বিষয়ে জেলা থেকে কেউ আমাদের কিছু জানায়নি।
নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের বলেন, বিষয়টি নিয়ে উপজেলা আওয়ামীলীগ, এর বিভিন্ন অঙ্গসংগঠন ও উপজেলার সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। তাঁরা যে কোনো মূল্যেই এটা প্রতিহত করবে বলে আমাদের জানিয়েছেন। আমরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছি।






Shares