Main Menu

নিছিদ্র নিরাপত্তা বেষ্টনীতে নাসিরনগর উপ-নির্বাচন

+100%-

এম.ডি.মুরাদ মৃধা, নাসিরনগর হতে:সকল প্রস্তুতি শেষ। কে হচ্ছেন নাসিরনগরের নতুন অভিভাবক এ আলোচনা রাজনৈতিক মহলে। ভোটাররাও মুখ খুলছেন না। চলছে শেষ মুহূর্তের ভোটের হিসাব-নিকাশ। এখন শুধুই অপেক্ষা ফলাফলের। এদিকে ভোটযুদ্ধের জন্য প্রস্তুত প্রার্থীরা। বছরের শেষ ভোট সুষ্ঠু-শান্তিপূর্ণ করতে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নির্বাচন ঘিরে জাতীয় পার্টির মধ্যে কিছুটা সংশয় থাকলেও সর্বত্র নেওয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে মাঠে রয়েছেন বিজিবি, র‌্যাব, পুলিশ ও আনসার সদস্যরা। থাকবে চার স্তরের নিরাপত্তাবলয়।

নিছিদ্র নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে গেছে সমগ্র উপজেলা। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীবাহিনী এবং নির্বাচনী কর্মকর্তাদের ভীড় এখন নাসিরনগরে। নির্বাচনী সরঞ্জাম বুঝিযে দেয়া হচ্ছে তাদের হাতে। দুপুর ১২টায় নাসিরনগর সদরের বিআরডিবি অফিস প্রাঙ্গন থেকে এসব মালামাল বুঝিয়ে দেয়া হয়। শুরু হয় কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসারদের হাতে নির্বাচনী বাবদ মালামাল বুঝিয়ে দেয়ার পর্ব। এরপরই তারা যার যার কেন্দ্রের দিকে রওনা হচ্ছেন। এরআগে সকালে আশুতোষ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ভোট কেন্দ্রে দায়িত্বপালনকারী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদেরও ব্রিফিং করা হয়। জেলার পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান এই ব্রিফিং করেন। এখানে নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার কুমিল্লার বিভাগীয় নির্বাচন কর্মকর্তা সাহেদুন্নবী চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলবে ভোট গ্রহণ। ভোটের দিন সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে নাসিরনগরে। বিশেষ নিরাপত্তাব্যবস্থায় বিভিন্ন ভোট কেন্দ্রে ব্যালট বাক্স, ব্যালট পেপারসহ নির্বাচনসামগ্রী পাঠানো হয়েছে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নাসিরনগর জুড়ে এখন উৎসবের আমেজ। শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত ঘাম ঝরিয়েছেন তিন হেভিওয়েট প্রার্থী আওয়ামী লীগের বিএম ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম, জাতীয় পার্টির রেজওয়ান আহম্মেদ ইসলামি ঐক্য জোটের কে এম আশরাফুল হক। গতকাল মধ্যরাত থেকে আগামীকাল মধ্যরাত পর্যন্ত স্থলযান, বেবিট্যাক্সি, অটোরিকশা, মাইক্রোবাস, জিপ, পিকআপ, কার, বাস, ট্রাক, টেম্পো, ইজিবাইকসহ সব ধরনের যানবাহনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
নাসিরনগর মোট ইউনিয়ন রয়েছে ১৩টি। মোট ভোট কেন্দ্র ৭৪টি। মোট ভোটার ২ লাখ ১৪ হাজার ৯ জন। নারী ভোটার ১ লাখ ৩৫ হাজার ৯৯ জন। পুরুষ ভোটার ১ লাখ ১০ হাজার ৪ শত ১০ জন। মোট ভোট কক্ষ ৩৬৪টি (অস্থায়ী কক্ষ ১৮ টি) মোট বিজিবি ৫ প্লাটন। মোট পুলিশ সদস্য ১৩০২ জন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ২০ জন। জুডিশিয়্যাল ম্যাজিস্ট্রেট ৫জন। র‌্যাব ১৩টিম (২৫০ জন) সদস্য মাঠে কাজ করবে। প্রিসাইডিং অফিসার: ৭৪ জন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসনের উপ-নির্বাচনের সহকারি রিটার্নি অফিসার ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. শফিকুর রহমান বলেন, নির্বাচনকে সুষ্ট ও নিরপেক্ষ করতে আমাদের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। আমরা আশা করছি একটি উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হবে।






Shares