Main Menu

ফলো আপ : সাংবাদিক লাঞ্ছিতের ঘটনায় চিকিৎসক প্রত্যাহার

+100%-

নিজস্ব প্রতিনিধি::দুই সাংবাদিককে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসাপাতালের চিকিৎসক এমরান খানকে হাসপাতালের জরুরী বিভাগ থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। গতকাল সোমবার তাকে সরিয়ে নেওয়ার বিষয়টি কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছেন। এ ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ একটি তদন্ত কমিটি গঠন করবে বলেও জানিয়েছে।
গত রোববার দুপুর সোয়া দুইটার দিকে সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগে প্রথম আলোর ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি শাহাদৎ হোসেন ও চ্যানেল নাইনের প্রতিনিধি আল-মামুন পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষের ঘটনায় মারাত্মক আহত এক পুলিশ সদস্যের শারিরীক অবস্থার খোঁজ নিতে গেলে চিকিৎসক এমরান খান তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে। এসময় সে তথ্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করে জানায়, লিখিত না দিলে এ ব্যাপারে  সাংবাদিকদের তথ্য দেওয়া যাবে না। একথা বলেই ওই চিকিৎসক সাংবাদিকদের প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে তাদেরকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে। এক পর্যায়ে সে তার কক্ষে থাকা ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধি ও বেসরকারি ক্লিনিকের কয়েকজন দালালকে ডেকে এনে তাদেরকে (দুই সাংবাদিক) ধরে পেটাতে বলেন। পরক্ষণেই তিনি দুই সাংবাদিককে ধরিয়ে দিতে পুলিশ ডাকতে বলেন। পরে ওই সাংবাদিকেরা নিজেদের পেশাগত পরিচয় দেয়ার পরও সে অশোভন আচরণ করে এক পর্যায়ে তাদেরকে পেটাতে তেড়ে আসেন।
এ ঘটনার পর ওই দুই সাংবাদিক স্থানীয় প্রেসক্লাব ও সাংবাদিক সংগঠনের নেতাদের জানানোর পর সাংবাদিকেরা ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়ে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আকবর হোসেন চৌধুরীর সঙ্গে দেখা করেন। এসময় তারা তত্ত্বাবধায়কের কাছে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেন।
এদিকে এ ঘটনার খবর পেয়ে জেলার সাংবাদিক নেতারা ক্ষোভ প্রকাশ করে ওই চিকিৎসককে হাসপাতাল থেকে প্রত্যাহারের দাবি জানান।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি সৈয়দ মিজানুর রেজা, সহসভাপতি পীযূষ কান্তি আচার্য, সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন জামি ও জাবেদ রহিম বিজন বলেন, চিকিৎসক এমরান এর আগেও আরও কয়েক সাংবাদিকের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেছেন। তাছাড়া তার বিরুদ্ধে হাসপাতালের চিহ্নিত দালাল ও সন্ত্রাসিদের সঙ্গে আঁতাতের অভিযোগ রয়েছে। অবিলম্বে তাকে প্রত্যাহারের দাবি জানান তারা।
লিখিত অভিযোগ প্রাপ্তির কথা স্বীকার করে জেলা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আকবর হোসেন চৌধুরী বলেন, ঘটনাটি আমি শুনেছি। একজন চিকিৎসক হিসেবে আমি এমন ঘটনার জন্য দু:খ প্রকাশ করছি। অভিযুক্ত চিকিৎসককে হাসপাতালের জরুরী বিভাগের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।






Shares