Main Menu

অবরোধ-হরতালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১৫ দিনে ১০ মামলা ॥ ২৪১ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার ॥ শহরে বোমাতংক

+100%-

শামিম উন বাছির:: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সন্ত্রাসী কার্যকলাপ ও নাশকতার অভিযোগে বিএনপি-জামাতের ২শ ৪১জন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত ৪ জানুয়ারী থেকে গত শনিবার পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে বেশ কয়েকজন বোমাবাজও রয়েছেন। গত ১৫ দিনে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে জেলার বিভিন্ন থানায় ১০টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় ৭টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মোঃ মনিরুজ্জামান পিপিএম বলেন, জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহ থেকে অবরোধ-হরতালকে কেন্দ্র করে সন্ত্রাস, নাশকতাকারীদের গ্রেপ্তারের পাশাপাশি তাদের আশ্রয়দাতা, অর্থযোগান দাতাদের সনাক্ত করন ও তাদেরকে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চলছে। তিনি বলেন, গত ১৫ দিনে জেলার বিভিন্ন থানায় ১০টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর মধ্যে সদর মডেল থানায় ৭টি মামলা দায়ের করা হয়। একই সময়ে জেলার বিভিন্নস্থান থেকে শতাধিক ককটেল, অস্ত্র গুলি উদ্ধার করা হয়। তিনি বলেন এই সময়ে ২৪১জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। এর মধ্যে বেশ কয়েকজন পেশাদার বোমাবাজ রয়েছেন। নৈরাজ্য-নাশকতা সৃষ্টি ও তাদের সহযোগিতার অভিযোগে গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে উল্লেখ যোগ্যরা হলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলাম, জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট গোলাম সারোয়ার ভূইয়া খোকন, জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান মঞ্জু, জেলা বিএনপির সাবেক অর্থ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ইমাম হোসেন, সাবেক তথ্য গবেষণা সম্পাদক অ্যাডভোকেট সামসুজ্জামান কানন, জেলা বিএনপি নেতা উত্তম ঘোষ, পৌর বিএনপির সহ-সভাপতি হাসেম আল মামুন, সদর উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক শাহেদুল ইসলাম সাহেদ, জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক বোমাবাজ মামুন ওরফে পেটকাটা মামুন, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মোঃ আক্তার হোসেন, পৌর যুবদলের আহবায়ক আসাদুল হক মেরাজ, পৌর যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক শাহানুর, বোমাবাজ সজীব, তুন্ডা তুষার, বোমাবাজ কাজী পাপেল, বোমাবাজ নাঈম, বোমাবাজ অথৈ, আখাউড়া পৌর জামায়াতের সমাজ কল্যাণ সম্পাদক মোঃ বোরহান উদ্দিন, কসবা পৌর যুবদল নেতা দুলাল মিয়া, কসবা পৌর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সহিদুল খান।
পুলিশ সুপার মোঃ মনিরুজ্জামান পিপিএম বলেন, সাধারণ মানুষের জান মালের নিরাপত্তা রক্ষা ও আইন শৃঙ্খলা সমুন্নত রাখতে পুলিশ তাদের উপর অর্পিত রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালনে বদ্ধপরিকর।
উল্লেখ্য পুলিশের কঠোর অবস্থানের কারনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অবরোধে মাঠে নেই বিএনপি ও ২০ দলীয় জোটের নেতারা। জেলা বিএনপিও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের প্রায় সকলেই আত্মগোপনে চলে গেছেন। দিনের বেলা ব্যাপক পুলিশী তৎপরতার কারনে অবরোধকারীরা রাস্তায় নামতে না পারলেও  রাতের বেলা তারা শহরের বিভিন্ন স্থানে ককটেল বিষ্ফোরন ঘটিয়ে শহরে আতংক সৃষ্টি  করে আসছেন। সর্বশেষ শুক্রবার রাতে সন্ত্রাসীরা সদর মডেল থানার সামান্য দূরে খালপাড়ে পর পর ১১টি ককটেলের বিষ্ফোরন ঘটিয়ে পালিয়ে যায়।
গত ৪ জানুয়ারির পর থেকে প্রতিরাতেই রাতেই শহরের প্রধান রাস্তা টি.এ.রোডে ককটেল বিষ্ফোরণ করে শহরবাসীর মধ্যে আতংকের সৃষ্টি করে। প্রতিদিন সন্ধ্যার পর বিভিন্ন মহল্লার চিপাগলি দিয়ে কিশোর বয়সী কিছু ছেলে শহরের কালীবাড়ি মোড়, মাদ্রাসা রোড, রেলগেইট, জেল রোডসহ প্রধান রাস্তা টি.এ. রোডে পর পর ৮/১০টি ককটেলের বিষ্ফোরণ ঘটিয়ে দ্রুত স্থান ত্যাগ করে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শহরের টি.এ. রোডের একজন ব্যবসায়ী বলেন, গত ৪ জানুয়ারির পর থেকে প্রতিদিন সন্ধ্যায় আতংকে থাকি। তিনি বলেন, বোমাতংকের কারনে ব্যবসা মন্দা। তিনি দাবি করেন গত ৪ জানুয়ারির পর থেকে শহরের বিভিন্ন স্থানে প্রায় এক হাজার ককটেল বিষ্ফোরন  করেছে।






Shares