Main Menu

তাদের দুই কান কাটা তাই তারা শুনেন না.. খালেদা জিয়া

+100%-


মনিরুজ্জামান পলাশ : বিএনপি’র চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, সারা দেশ এখন কঠিন সময় অতিক্রম করছে। ঘরে বাইরে মানুষ নিরাপদ নয়। দাঁড়িওয়ালা, টুপিওয়ালা দেখলে তাদের উপর আক্রমন করা হয়। হিন্দুদের মন্দির ভেঙ্গে ফেলা হচ্ছে, গির্জায় আক্রমন হচ্ছে। মানুষ খুন এবং গুম করছে সরকার। মানুষের নিরাপত্তা নেই। দেশের বিভিন্ন স্থানে মানুষ হত্যা করা হচ্ছে। বাধ্য হয়ে মা-বোনরা লাঠিসোটা নিয়ে বেরিয়ে আসছে। তাদের দুই কান কাটা তাই তারা শুনেননা। টর্ণেডোয়
ক্ষতিগ্রস্থদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমরা আপনাদের পাশে আছি। পাশে থাকবো। জালেমদের হাত থেকে দেশ মুক্ত করে মানুষের নিরাপত্তা দেয়ার কথা বলেন তিনি।

শনিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া টর্নেডোয় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ত্রান বিতরণ অনুষ্ঠানে বেগম জিয়া আরো বলেন, আমরা বক্তৃতা করতে আসিনি। যারা আহত হয়েছে মারা গেছে তাদের খোঁজ নিতে এসেছি। তাদের পরিবার-পরিজনদের সান্তনা দিতে এসেছি। ব্যাপক ক্ষয়তিতে ব্যাপক সাহায্য প্রয়োজন। আমরা শুনেছি ব্যাপক ত্রান আসেনি। তিনি ক্ষতিগ্রস্থদের সাহায্য দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি দাবী জানান। তিনি বলেন, সামনে বর্ষাকাল। তখন আরো কষ্ট হবে। বিপদের দিনে আমরা দুর্গতদের সাহায্য দেয়ার চেস্টা করেছি। আরো করবো। এখন মূল প্রয়োজন হলো সরকারের সাহায্য করা। চাল-ডাল শুকনো খাবার দরকার। ত্রানের খবরের দরকার নেই। পরিবেশ রক্ষার জন্য তিনি আহবান জানান। বিত্তবানদের প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন, আপনারা এগিয়ে আসুন। ক্ষতিগ্রস্থ মসজিদগুলো তৈরি করে দেয়ার জন্য বিত্তবানদের প্রতি আহবান জানান।

সংক্ষিপ্ত বক্তৃতা শেষে ক্ষতিগ্রস্থ পরবিারের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন খালেদা জিয়া। নিহতদের পরিবারের সদস্য বদরুল হক মোল্লা, সোহেল, আসমা বেগম, সাহাবুল, শুক্কুর মিয়া, মজনু মিয়া প্রত্যেককে নগদ ত্রিশ হাজার টাকা, দশ কেজি চাল, একটি শাড়ি ও একটি লুঙ্গী দেন বিএনপি চেয়ারপারসন।

চিনাইর এলাকার সুলতান-আখাউড়া সড়কের পাশে বালুর মাঠে স্থানীয় বিএনপির উদ্যোগে আায়েজিত ত্রান বিতরণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কেন্দ্রীয় বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান, জেলা বিএনপি সভাপতি সাবেক প্রতিমন্ত্রী এডঃ হারুন আল রশিদ, স্থায়ী কমিটির সদস্য ডঃ মঈন খান, বক্তব্য রাখেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী উকিল আব্দুস সাত্তার, সাবেক এমপি খায়রুল কবীর খোকন, জাতীয়তাবাদী আইনজীবি ফোরামের যুগ্ম মহাসচিব এডঃ খুরশেদ আলম, সাবেক রাষ্ট্রদূত চট্টগ্রাম বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম আকবর খন্দকার, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সাবেক এমপি মুশফিকুর রহমান, মুসলিমলীগের কেন্দ্রীয় মহাসচিব আতিকুল ইসলাম খোকন, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারন সম্পাদক সরাফত আলী সপু, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল বারী বাবু, কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য রফিক শিকদার, ইসলামী ঐক্যজোট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক হাফেজ ইদ্রিছ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক মইনুল হোসেন চপল, যুগ্ম আহবায়ক, আব্দুর রহিম গোলাপ প্রমুখ। জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক মোমিনুল হকের সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন, আখাউড়া উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পদক আবুল মনসুর মিশন, কেন্দ্রীয় নেত্রী নুরে আলম শাফাত, জেলা বিএনপি’র সহ সভাপতি এডঃ গোলাম সারোয়ার খোকন, জেলা বিএনপি’র সহ সভাপতি জিল্লুর রহমান, জেলা ছাত্রদলের সাধারন সম্পাদক ইয়াছিন মাহমুদ, কৃষক দলের যুগ্ম সম্পাদক তকদীর হোসেন মোঃ জসীম, জেলা বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, জেলা বিএনপি’র সিনিয়র সহ সভাপতি হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি, কেন্দ্রীয় কমিটির প্রবাসী কল্যাণ সম্পাদক একে একরামুজ্জামান, কেন্দ্রীয় বিএনপির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এমপি, জেলা বিএনপি’র সাধারন সম্পাদক জহিরুল হক খোকন, সহ সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল।


এর আগে দুপুর পৌনে তিনটায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সার্কিট হাউজে পৌছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন । কিছু সময় বিশ্রাম নেওয়ার পর সোয়া চারটায় ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন শুরু করেন তিনি। সার্কিট হাউজ থেকে প্রথমে তিনি যান উর্ষীউড়া, এরপর মাছিহাতা ইউনিয়নে ফুলবাড়িয়া গ্রামের মনিরুজ্জামান, মালেক, রোকেয়া ও সিদ্দিক ফকিরের বাড়িতে। কথাও বলেন তাদের সঙ্গে। তিনি তাদের খোঁজ খবর নেন ও শান্তনা দেন। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ড. আবদুল মঈন খান, ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকা, সেলিমা রহমান প্রমুখ।






Shares