Main Menu

দেশকে ভালোবেসে এগিয়ে না আসলে শিক্ষা ব্যবস্থার পরিবর্তন হবেনা::অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ বশিরুল হক ভূঞা

+100%-

IMG_5779

এডুকেশন ওয়াচ-২০১৫ এর অবহিতকরন সেমিনার

প্রতিনিধি:: অতিরিক্তি জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ বশিরুল হক ভূঞা বলেছেন, বর্তমান সরকার শিক্ষা বান্ধব সরকার। শিক্ষার মান উন্নয়নে সরকার নিরলসভাবে কাজ করছে। কিন্তু মানসম্মত শিক্ষক না থাকলে মানসম্মত শিক্ষা সম্ভব নয়। তিনি বলেন, সরকারের একার পক্ষে সবকিছু করা সম্ভব নয়। এজন্য দরকার সকলের ঐক্যবদ্ধ প্রচেস্টা।
তিনি বুধবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সুর সম্রাট দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গনে এনজিও সংস্থা ভরসা ও গনসাক্ষরতা অভিযানের উদ্যোগে “ সহস্রাব্দ উন্নয়ন থেকে টেকসই ভবিষ্যৎ প্রয়োজন মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষার উন্নতির গতিবৃদ্ধি” এডুকেশন ওয়াচ-২০১৫ এর অবহিতকরন সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়াস্থ নাসিরনগর উপজেলা সমিতির সভাপতি ডাঃ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অতিরিক্তি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ বশিরুল হক ভূঞা আরো বলেন, স্কুলে খেলার মাঠ থাকলে শিক্ষার্থীদের মন বড় হয়। মন বিশাল না হলে বিশাল কিছু করা যায়না। তিনি বলেন, আমাদের মন মানসিকতার পরিবর্তন করতে হবে, নৈতিকতার উন্নয়ন করতে হবে। নৈতিক শিক্ষা পরিবার থেকেই আসে। তিনি বলেন, শিক্ষা জাতির অমূল্য সম্পদ। শিক্ষিত লোক কখনো দেশের বোঝা হয়না। তিনি শ্রেণীকক্ষে শিক্ষকদেরকে পাঠ দানে আরো যত্নশীল হওয়ার আহবান জানিয়ে বলেন, দেশকে ভালোবেসে এগিয়ে না আসলে শিক্ষা ব্যবস্থার পরিবর্তন হবেনা।

সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ আনোয়ার হোসেন, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সুব্রত কুমার বনিক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মু. মুজিবুর রহমান, পিটিআই এর সুপারিনটেনডেন্ট মোঃ হুমায়ুন কবির। সেমিনারে বিভিন্ন মাধ্যমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, সাংবাদিক ও এনজিও কর্মকর্তাগন উপস্থিত ছিলেন।
সেমিনারে গবেষণার সংক্ষিপ্ত তথ্য উত্থাপন করেন গণসাক্ষরতা অভিযানের উপ-পরিচালক কে এম এনামুল হক। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ভরসার নির্বাহী পরিচালক মোঃ আলমগীর তালুকদার।
বক্তব্য রাখেন ইউপি চেয়ারম্যান দেওয়ান আতিকুর রহমান, বাকি বিল্লাহ জুয়েল, সাংবাদিক পিযুষ কান্তি আচার্য, মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা, শিহাব উদ্দিন বিপু, বিশ্বজিৎ পাল বাবু, নাসিরনগর প্রেসক্লাবের সভাপতি সুজিত কুমার বনিক, নিয়াজ মুহাম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাহিদুল ইসলাম, ভাদুঘর ঋষিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জেরিন সুলতানা ও সাংবাদিক আসাদুজ্জামান কল্লোল।
সেমিনারে জানানো হয়, গবেষণার আওতায় পড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর ৫৯ শতাংশের আশেপাশে নিরিবিলি পরিবেশ দেখা গেছে। ৩৫ শতাংশ বিদ্যালয়ের চারপাশ কিছুটা কোলাহলপূর্ণ ছিল এবং ছয় শতাংশ ছিল কোলাহলপূর্ণ। বিদ্যালয়গুলোতে নারী শিক্ষকদের অনুপাত বেড়েছে। ১৯৯৮ সালে মোট শিক্ষকদের ৩২ শতাংশ ছিলেন নারী। এই হার ২০০৮ সালে ৩৯.৩ শতাংশে ও ২০১৪ সালে ৬৩.৪ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। নারী শিক্ষকদের হার গ্রামীণ বিদ্যালয়গুলোর তুলনায় শহরের বিদ্যালয়গুলোতে সবসময় বেশি ছিল।






Shares