Main Menu

দিল্লি পৌঁছলেন হাসিনা, প্রোটোকল ভেঙে নিজেই বিমানবন্দরে হাজির মোদী

+100%-

আনন্দবাজার:: বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানাতে প্রোটোকল ভেঙে নিজেই বিমানবন্দরে হাজির হলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। লোককল্যাণ মার্গের বাসভবন থেকে ইন্দিরা গাঁধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পর্যন্ত যে রাস্তা ধরে এ দিন গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী, সে রাস্তায় কোনও রকম ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হয়নি। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বাঙালি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়ও।

সাত বছর পর কোনও দ্বিপাক্ষিক কর্মসূচিতে ভারতে এলেন শেখ হাসিনা। এর মাঝে ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের স্ত্রী শুভ্রা মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণের পর এবং গোয়ায় আয়োজিত একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দিতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ভারতে এসেছিলেন। কিন্তু কোনও দ্বিপাক্ষিক কর্মসূচিতে অংশ নিতে গত সাত বছরের এই প্রথম বার ভারতে এলেন তিনি। স্বাভাবিক ভাবেই বহুপ্রতীক্ষিত ছিল হাসিনার এই ভারত সফর। তাই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে প্রধানমন্ত্রী মোদী নিজেই হাজির হয়ে যান বিমানবন্দরে। কর্মসূচি অনুযায়ী কিন্তু মোদীর বিমানবন্দরে যাওয়ার কথা ছিল না। কিন্তু বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিমান থেকে বেরিয়েই চমকে যান শেখ হাসিনা। দেখেন ফুলের তোড়া হাতে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদী নিজেই দাঁড়িয়ে রয়েছেন তাঁর অপেক্ষায়। সঙ্গে বাবুল সুপ্রিয়।

হাসিনাকে মোদী স্বাগত জানানোর পর পিএমও-র টুইট।

শেখ হাসিনার এই ভারত সফরে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বেশ কয়েকটি চুক্তি এবং মউ স্বাক্ষরিত হওয়ার কথা। হাসিনা চার দিনের সফরে ভারতে এসেছেন। আগামীকাল অর্থাৎ শনিবার প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে শেখ হাসিনার বৈঠক হবে। বাণিজ্যিক, সামরিক, শক্তি এবং জলবণ্টন সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা হওয়ার কথা। বাংলাদেশের পরিকাঠামো উন্নয়নে ভারত ৫০০ কোটি মার্কিন ডলারের সহায়তা ঘোষণা করতে পারে বলেও শোনা যাচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী মোদী এ দিন যখন বিমানবন্দরে যান, তখন দিল্লির রাজপথে কোনও ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হয়নি বলে খবর সংবাদ সংস্থা সূত্রের। স্বাভাবিক ট্র্যাফিকের মধ্যে দিয়েই তাঁর কনভয় বিমানবন্দরে পৌঁছয়। সম্প্রতি মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর দিল্লি সফর উপলক্ষে রাজধানীর রাজপথে ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছিল। একটি অ্যাম্বুল্যান্স সে সময় এক রক্তাক্ত রোগীকে নিয়ে হাসপাতালের দিকে যাচ্ছিল। অন্য সব গাড়ি অ্যাম্বুল্যান্সটিকে পথ করে দিলেও পুলিশ রাস্তা ছাড়তে রাজি হয়নি বলে অভিযোগ। ঘটনার একটি ভিডিও ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। রক্তাক্ত রোগীকে নিয়ে অ্যাম্বুল্যান্সটিকে আটকে থাকতে দেখা যায় সেই ভিডিওতে। তবে পুলিশের দাবি, অ্যাম্বুল্যান্সটিকে সাহায্যই করা হয়েছিল, পথ আটকানো হয়নি। ঘটনাটি নিয়ে বিস্তর বিতর্ক হয়। সেই বিতর্কের প্রেক্ষিতেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এ দিন ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণ চাননি, নাকি অন্য কোনও কারণে, সে নিয়ে পিএমও কিছু জানায়নি। তবে হাসিনাকে স্বাগত জানাতে যে প্রধানমন্ত্রী নিজেই বিমানবন্দরে গিয়েছিলেন, পিএমও-র টুইটার হ্যান্ডলে সে কথা জানানো হয়।






Shares