প্রয়াত ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়, একটি যুগের অবসান
লড়াই শেষ হল। প্রয়াত ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়। সোমবার বিকেলে ট্যুইট করে প্রণববাবুর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেন তাঁর ছেলে অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়।
২১ দিনের লড়াই শেষ করে চলে গেলেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়। গভীর কোমায় আচ্ছন্ন ছিলেন তিনি। সোমবার বিকেলে ট্যুইট করে প্রণববাবুর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেন তাঁর ছেলে অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়। তিনি লেখেন চিকিৎসকেরা তাঁদের সবরকম চেষ্টা করেছেন। তবু গভীর ভারাক্রান্ত হৃদয়ের সঙ্গে জানাচ্ছেন তাঁর বাবা চলে গেলেন। সোমবার সকালেই চিকিৎসকেরা জানিয়েছিলেন যে প্রণববাবুর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। তাঁর দেহে সেপটিক শক ছড়িয়েছে। যা ফুসফুসে সংক্রমণ থেকে ছড়িয়ে পড়েছে।
মৃত্যুকালে প্রণববাবুর বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর। ভারতের রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব সামলানোর আগে তিনি ছিলেন এক অভিজ্ঞ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। যাঁকে কংগ্রেসের কৌটিল্য বলে অভিহিত করা হত। বাংলার রাজনীতি তো বটেই, প্রণববাবুর প্রয়াণে বড় ক্ষতি হল দেশের রাজনীতির। তাঁর মৃত্যুর খবর পেয়ে রাজনৈতিক মতাদর্শ নির্বিশেষে সকলে তাঁর প্রয়াণে গভীর দুঃখ প্রকাশ করেন।
প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয়েছে, সোমবার সকালে একটি মেডিক্যাল বুলেটিনে একথাই জানায় দিল্লির সেনা হাসপাতাল। যেখানে তিনি ভেন্টিলেটর সাপোর্টে গভীর কোমার আচ্ছন্ন অবস্থায় ছিলেন। হাসপাতালের তরফে জানানো হয় প্রণববাবুর ফুসফুসে যে সংক্রমণ ধরা পড়েছিল তার থেকে ‘সেপটিক শক’ তৈরি হয়েছে দেহে। ফলে তাঁর শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয়।
গত সপ্তাহেই তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছিল। তাঁর রেনাল প্যারামিটারে সামান্য অবনতি লক্ষ্য করা গিয়েছিল। তাঁকে পর্যবেক্ষণে রাখার জন্য চিকিৎসকদের একটি দল গঠন করা হয়েছিল আগেই। সেই দল প্রণববাবুকে ২৪ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রাখছিল। তাঁকে যখন গত ১০ অগাস্ট হাসপাতালে আনা হয়েছিল তখন তাঁর করোনাও ধরা পড়েছিল। তারপর ২১ দিন ধরে তিনি হাসপাতালেই ভর্তি ছিলেন।
গত ১০ অগাস্ট রাতে বাথরুমে পড়ে গিয়ে মাথায় আঘাত পান প্রণব মুখোপাধ্যায়। তাঁকে সেনা হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে তাঁর করোনাও ধরা পড়ে। এদিকে মাথায় রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়ায় দ্রুত তা বার করতে তাঁর মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচার করা হয়। সেই অস্ত্রোপচার ঠিকঠাক হলেও তারপর থেকেই তাঁকে ভেন্টিলেশনে দিতে হয়। সেখানেই ক্রমে তিনি কোমায় আচ্ছন্ন হন। অবশেষে সব লড়াই শেষ করে চলে গেলেন প্রণব মুখোপাধ্যায়। শেষ হল একটি অধ্যায়ের। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা। সূত্র: নীলকন্ঠ