Main Menu

ত্রিপুরার বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সেতু ফেব্রুয়ারিতে চালু হচ্ছে

+100%-

ফেনী নদীর উপর দিয়ে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরে উত্তরপূর্ব রাজ্যগুলির অ্যাক্সেস পয়েন্টে অবস্থিত এই সেতুটি দুই দেশের মধ্যে যোগাযোগ আরো সহজ করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সেতু যা মৈত্রী সেতু নামেও পরিচিত, উদ্বোধনের প্রায় তিন বছর পর ফেব্রুয়ারিতে চালু হতে যাচ্ছে৷ ল্যান্ডপোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার (এলপিএআই) চেয়ারম্যান আদিত্য মিশ্র বুধবার দক্ষিণ ত্রিপুরার সাব্রুমে এই ঘোষণা দিয়েছেন।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফেনী নদীর উপর দিয়ে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরে উত্তরপূর্ব রাজ্যগুলির অ্যাক্সেস পয়েন্টে অবস্থিত এই সেতুটি দুই দেশের মধ্যে যোগাযোগ আরো সহজ করবে।

মঙ্গলবার এলপিএআই চেয়ারম্যান আদিত্য মিশ্র, এলপিএআই সচিব বিবেক বর্মণ, এলপিএআই সদস্য সঞ্জীব গুপ্ত এবং বিএসএফ ত্রিপুরার মহাপরিদর্শক পীযূষ প্যাটেলের সাথে সাব্রুম পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে তারা সাব্রুম ইন্টিগ্রেটেড চেক পোস্টের (আইসিপি) চলমান

কাজের অগ্রগতি এবং মৈত্রী সেতু ব্যবহারের মাধ্যমে ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়ানোর লক্ষ্যে অন্যান্য উন্নয়নমূলক উদ্যোগের মূল্যায়ন করেন।

মিশ্র বলেন, “আমাদের নজরদারিতে প্রকল্পটি প্রায় শেষের দিকে। আগামী মাসের মধ্যে এই বন্দরটি উদ্বোধন করার জন্য আমরা সম্ভাব্য সব ধরনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। এই বন্দরটি দুই দেশের মধ্যে পণ্য ও যাত্রী চলাচল সহজ করবে এবং এই অঞ্চলের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করবে।”

প্রায় ৮০ কিলোমিটার দূরত্বের সাব্রুম (ভারত) এবং চট্টগ্রাম বন্দরকে (বাংলাদেশ) সংযুক্তকারী প্রায় ১.৯ কিলোমিটার দীর্ঘ মৈত্রী সেতু ২০২১ সালের মার্চে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করলেও সেটি চালু করা যায়নি।

টাইমস অফ ইন্ডিয়ার মতে, ভূমি আইসিপির অনুপস্থিতি এবং বাংলাদেশের দুর্বল সড়ক ব্যবস্থার কারণে সেতুটি চালু করা যায়নি।

মিশ্র বলেছেন, মৈত্রী সেতু দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলো এবং উত্তরপূর্ব ভারতের মধ্যে বাণিজ্য ও যোগাযোগের নতুন পথের সূচনা করেছে। পাশাপাশি এটি ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্য ও যাত্রী চলাচল বাড়াতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

কার্গো এবং ট্রান্সশিপমেন্ট ছাড়াও সাব্রুম আইসিপি উভয় দেশের যাত্রীদের চলাচলের সুবিধা দেবে।

এলপিএআই কর্মকর্তাদের পরিদর্শনকালে রামগড় বন্দরের পরিচালক সারওয়ার আলম, সিও লেফটেন্যান্ট কর্নেল সৈয়দ ইমাম হোসেন, রামগড়ের ইউএনও মমতা আফরিন, রামগড়ের এসি ল্যান্ড মানস চন্দ্র দাস এবং বাংলাদেশের ট্র্যাফিক কর্মকর্তাদের নেতৃত্বে বাংলাদেশের একটি প্রতিনিধি দল উপস্থিত ছিলেন। তারা পূর্ণ সহযোগিতা করার পাশাপাশি দ্রুত সেতুটি চালু করার ব্যাপারে আশ্বাস দেন।