নিরাপত্তার স্বার্থে আরও শক্ত নিয়ম আমেরিকামুখী বিমানে
আমেরিকাগামী সমস্ত উড়ানের যাত্রীনিরাপত্তা নিয়ে আরও কড়া হচ্ছে মার্কিন-প্রশাসন। জারি করা হয়েছে একাধিক নিয়ম। যেমন, নিরাপত্তার খাতিরেই এ বার থেকে বিমান ওঠার আগে যাত্রীদের নানাবিধ প্রশ্ন করা হবে। হাতব্যাগে ল্যাপটপ নেওয়া চলবে না। শুধুমাত্র আমেরিকার জন্য এই দেশ-ভিত্তিক নিরাপত্তা ব্যবস্থায় ইতিমধ্যেই বিতর্ক শুরু হয়ে গিয়েছে।
প্রতিদিন ১০৫টি দেশের ২৮০টি বিমানবন্দর থেকে ১৮০টি এয়ারলায়েন্সের বিমান এসে পৌঁছয় আমেরিকায়। দু’হাজার উড়ানে অন্তত ৩ লক্ষ ২৫ হাজার যাত্রী পা রাখেন মার্কিন-মুলুকে। আগামিকাল, বৃহস্পতিবার থেকেই সেই সব যাত্রীর জন্য জারি হচ্ছে এই নিয়ম।
ল্যাপটপ নিয়ে নিষেধাজ্ঞা অবশ্য আগেও জারি করা হয়েছিল। কিন্তু জুন মাসে ঘোষণা করা হয়, বিমানে ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি সঙ্গে রাখা নিয়ে সব রকম বিধিনিষেধ তুলে দেওয়া হবে। জুলাই মাসেই সেই ঘোষণা কার্যকর হয়। কিন্তু একই সঙ্গে জানানো হয়, যে কোনও দিন পুরনো নিয়ম পুনর্বহাল করা হবে। বিশেষ করে, বিমানবন্দর ও উড়ানসংস্থাগুলো নিরাপত্তা নিয়ে আরও কড়া না হলে।
লুফৎহানসা জানিয়ে দিয়েছে, বৃহস্পতিবার থেকেই নয়া নিয়ম জারি হয়ে যাবে। চেক-ইন করার সময়ে বা গেটে প্রশ্নোত্তর পর্বের মুখোমুখি হবেন যাত্রীরা। বিমান ওড়ার অন্তত ৯০ মিনিট আগেই সেরে ফেলা হবে তা। ক্যাথে প্যাসিফিক এয়ালায়েন্স জানিয়েছে, এ বার অন লাইনে চেক-ইন করা যাবে না। বিমানবন্দরে এসে লাইনে দাঁড়িয়ে চেক-ইন করতে হবে। যাত্রীরা নিজেরা ব্যাগ-ড্রপ করতেও পারবেন না। প্রশ্নোত্তর পর্বের জন্য তিন ঘণ্টা আগে বিমানবন্দরে পৌঁছে যেতে অনুগ্রহ করা হচ্ছে যাত্রীদের।
একটি উড়ান সংস্থার কথায়, ‘‘নয়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা খুবই জটিল। কিন্তু সে সব নিয়ম সঠিক ভাবে কার্যকর করার জন্য আমাদের যে সময় দেওয়া হয়েছে, তার জন্য মার্কিন প্রশাসনকে ধন্যবাদ।’’ ‘অ্যাসোসিয়েশন অব এশিয়া প্যাসিফিক এয়ারলায়েন্স’-এর ডিরেক্টর জেনারেল অ্যান্ড্রু হার্ডম্যান অবশ্য এমন নিয়মে কিছুটা ক্ষুব্ধই। তাঁর প্রশ্ন, দেশ-ভিত্তিক নিরাপত্তা ব্যবস্থার থেকে গোটা পৃথিবীর সব দেশের জন্য এক রকম ব্যবস্থা থাকলে ভাল হত না? ‘‘এটা মোটেই সঠিক নয়,’’ মন্তব্য হার্ডম্যানের।