কসবা উপজেলার শ্যামবাড়িতে প্রতিপক্ষের হামলায় ৫ মহিলা আহত
কসবা প্রতিনিধি: কসবা উপজেলা মূলগ্রাম ইউপির শ্যামবাড়ি তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে দুই পক্ষের মাঝে সংঘর্ষ,বাড়ি ঘর ভাংচুর,লুটপাট,মামলা হামলার ভয়ে উজির পাড়া পুরুষ শূন্য হয়ে পড়েছিল। জনশূন্য উজির পাড়ায় রাতের আধারে পুকুরের পাকা ঘাটলা ভেঙ্গে দিয়েছে একদল সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসীরা ।এখন আবার মহিলারা বাড়িতে ফিরে গেলে ৫ মহিলাকে আহত করার সংবাদ পাওয়া গেছে।
প্রকাশ থাকে যে, ঘটনাটি ঘটেছে ১৮ আগষ্ট শুক্রবার সকাল প্রায় ৯টায়। হাসপাতালে আহতরা স্থানীয় সাংবাদিদেরকে জানান, প্রতিপক্ষদের ভয়ে দীর্ঘ দিন বাড়ি ঘরে ফিরে না যেতে পেরে অবশেষে কসবা থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মহিউদ্দিনের নির্দেশে শুক্রবার সকালে মহিলারা স্ব-স্ব বাড়িতে যাওয়ার পরই ফায়েজ,উজ্জল,মিজান,শরিতউল্লাহসহ প্রায় ১০ থেকে ১২ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল লাঠি, সোটা, রড নিয়ে হামলা চালায়। হামলায় উজির পাড়ার মর্জিনা আক্তার (৩০), রেখা আক্তার (২৩), হালিমা বেগম (৭০),সাদিয়া আক্তার (২৪),জরিনা বেগম (৬০) গুরুত্বর আহত হয়। আহতদেরকে কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
এই দিকে উজির পাড়ার ক্ষতিগ্রস্থতরা জানান, একই গ্রামের শিশু মেম্বার ও প্রভাবশালী নেতা লোকমান হেকিম ভুইয়ার নেতৃত্বে উজির পাড়ার প্রায় ১৫টি বাড়ি ঘর লুটতরাজ ও ভাংচুর করেছিল। এখন পরিকল্পিত ভাবে বিএনপি দলীয় শক্তি বৃদ্ধি করার জন্য মূলগ্রামের লোকমান হেকিম ভুইয়া শিশু মেম্বারকে হাতে নিয়ে উজ্জল ভুইয়া, বাইতুল ভুইয়া, মিজান,শরিতউল্লাহসহ ১৫জনের একটি দল সুসংগঠিত করেছেন। এই দলটিই উজির পাড়ার আইয়ুব ও নোয়াব মিয়ার নির্মিত পুকুর পাড়ের পাকা ঘাটলাটি ভেঙ্গে দিয়েছিল।
আহত মহিলার পরিবারের সদস্যরা শুক্রবার সকালে কসবা থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মহিউদ্দিনকে ঘটনাটি জানিয়েছেন এবং কসবা থানার এস আই মুজিবুর রহমান (১),এস আই মুজিবুর রহমান (৩)সহ পুলিশ ফোর্স নিয়ে হাসপাতালে এসে আহতদের খোঁজখবর নেন।
স্থানীয় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কসবা থানা ওসি মোহাম্মদ মহিউদ্দিন জানান, তদন্তক্রমে অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মামলা লেখার প্রস্তুতি চলছে বলে আহতদের পরিবার জানান। এলাকাবাসী জানায়, শ্যামবাড়ি উজির পাড়ার শান্ত পরিবেশকে প্রতিপক্ষরা আবারও অশান্ত করে তুলছে।