Main Menu

মেহেদী হাসান পলাশ সভাপতি, এ.কে.এম. মুসা সাধারণ সম্পাদক

বাঞ্ছারামপুর উপজেলা বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত

+100%-

টান টান উত্তেজনা, একাংশের নেতা-কর্মীদের বিক্ষোভ ও প্রশাসনের ১৪৪ ধারা জারির মধ্যে দিয়েই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলা বিএনপির সম্মেলন আজ বুধবার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ বুধবার দুপুরে উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের রাধানগর মাদরাসা মাঠে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির কুমিল্লা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ সেলিম ভূইয়া। সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর প্রধান অতিথি থাকার কথা থাকলেও তিনি সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন না।

উপজেলা বিএনপির আহবায়ক লিয়াকত আলী ফরিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির রংপুর বিভাগের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সিরাজুল ইসলাম।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির কুমিল্লা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ সেলিম ভূইয়া বলেন, আমাদের নেতা তারেক রহমান বলেছেন, এই অন্তবর্তী সরকারকে আমরা সহযোগিতা করার জন্য। আমরা তাই সহযোগীতা করছি।

তিনি বলেন, বিএনপি হচ্ছে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল। আমাদের দলের সাথে ষড়যন্ত্র করে আওয়ামীলীগ টিকতে পারেনি। আপনারা যদি ষড়যন্ত্র করেন, আপনারাও টিকতে পারবেন না। মানুষ এখন নির্বাচনমুখী। তাই দ্রুত আগামী ফেব্রুয়ারী মাসের মধ্যে নির্বাচনের ব্যবস্থা করে দিন। আমরা আপনাদেরকে সহযোগীতা করব।তিনি বলেন, নির্বাচনে বিএনপি ক্ষমতায় এসে তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিলে দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে।

সম্মেলন শেষে কেন্দ্রীয় কৃষকদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান পলাশকে সভাপতি ও বর্তমান কমিটির সদস্য সচিব এ.কে.এম. মুসাকে সাধারণ সম্পাদক করে আগামী দুই বছরের জন্য নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়।

এদিকে সম্মেলনকে কেন্দ্র করে সকাল থেকে বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে দলীয় নেতা-কর্মীরা রং বেরঙের ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে সমাবেশে চলে আসতে থাকে। পরে কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে সমাবেশ স্থল।

তবে ১৪৪ ধারা জারির ফলে সম্মেলনের পূর্ব নির্ধারিত স্থল বাঞ্ছারামপুর উপজেলা সদরের এস. এম. মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সম্মেলন করতে পারেনি আয়োজকরা। উল্লেখ্য, বাঞ্ছারামপুরে উপজেলা বিএনপির সম্মেলননে কেন্দ্র করে গত সোমবার দুপুরে বিবাদমান দুই গ্রুপের সংঘর্ষে কমপক্ষে অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মী আহত হন।

সংঘর্ষ চলাকালে ৪টি মোটর সাইকেলে ভাংচুর, অগ্নিসংযোগসহ কমপক্ষে ৩০টি দোকানপাট ভাংচুর করা হয়। আহতদেরকে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। আশঙ্কাজনক ৪জনকে ঢাকায় পাঠানো হয়।

সম্মেলনের বিরোধিতা করে একই মাঠে একই সময়ে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের আলোচনা সভার ডাকে সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবদুল খালেকের অনুসারীরা।

উদ্ভুত পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কায় মঙ্গলবার রাতে সম্মেলনস্থল ও আশপাশ এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে উপজেলা প্রশাসন।

পরে উপজেলা বিএনপি বাঞ্ছারামপুর উপজেলা সদরের এস. এম. মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ থেকে তাদের সম্মেলন উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের রাধানগর মাদরাসা মাঠে স্থানান্তর করে।

এদিকে বুধবার দুপুরে উপজেলা সদরের অদূরে কৃষ্ণনগর এলাকায় সড়কে গাছ ফেলে অবরোধ সৃষ্টি, গাড়ি ভাঙচুর ও আগুন দিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে সম্মেলন বিরোধীরা।