শ্রদ্ধাজ্ঞলি…………..
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
বাংলাদেশের স্থপতি, বাঙ্গালী জাতির জনক, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী, স্বাধীনতা সংগ্রামের মহানায়ক, বাঙ্গালীর অহংকার। আপোষহীন নেতৃত্ব, অসিম সাহস, রাজনৈতিক দুরদর্শীতা, সিধান্তে বিচক্ষণতা, অকৃত্তিম ত্যাগ দিয়ে তিনি পৃথিবীর বুকে রচনা করছেন এক নতুন ইতিহাস। একটি দেশ, একটি জাতি জন্ম দিয়ে তিনি হলেন এর গর্বিত পিতা।
মায়ের আদরের খোকা শেখ মুজিব, শেখ মুজিব থেকে বঙ্গবন্ধু, বঙ্গবন্ধু থেকে জাতির পিতা, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ট বাঙ্গালী। মাত্র ৫৫ বছরের জীবনের অর্ধেকটাই কেটেছে পাকিস্থানী রাষ্টীয় নিপীড়নে। ১২ বছর ছিলেন জেলে। স্বপ্œের স্বাধীন বাংলাদেশে বেঁচে ছিলেন মাত্র সারে তিন বছর।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান বাংলাদেশকে শুধু স্বাধীনই করেননি। তিনি যুদ্ধ বিদ্ধস্থ বাংলাদেশকে অতিঅল্প সময়ে পূনর্গঠন করতে সক্ষম হয়েছিলেন। তিনি আগামী দিনের বাংলাদেশের জন্য একটি রপরেখা তৈরী করেছিলেন। তাই তিনি একজন সফল রাষ্ট্র নায়ক, যা তার অসিম দেশপ্রেম ও যোগ্য নেতৃত্বের ফলে সম্ভব হয়েছে।
১৯৭৫ এর ১৫ আগষ্ট আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের মাত্র কয়েক বছর পর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানকে সপরিবারে হত্য করা হয়। বঙ্গবন্ধু কে সপরিবারে হত্য করা বাঙ্গালী জাতির ইাতিহাসে এক কলঙ্ক জনক অধ্যায়। যারা এই কলঙ্ক জনক অধ্যায়ের রচিয়তা এবং যারা বর্বরচিত এই হত্যাকে সমর্থন করেন তারা চিরদিনই বাঙ্গালীর ইতিহাসের ঘৃনিত পাত্র হিসেবে বিবেচিত হবে।
বঙ্গবন্ধু ছিলেন জনগনের নেতা। জনগণের জন্য ছিল তার জীবন আদর্শ এবং রাজনৈতিক দর্শন। সে কারেনই তাঁর মৃত্যুরপর দীর্ঘদিন আওয়ামীলীগ ক্ষমাতয় না থাকলেও বঙ্গবন্ধুর আর্দশ বেঁচে ছিল এবং তা আজ বহুগুনে পূর্ণউজ্জবিত হয়ে সারাদেশে, সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পরেছে।
এই দেশকে, এই জাতিকে এগিয়ে নিতে হলে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে ধারণ করতে হবে। সেই সাথে আমাদের মনে রাখতে হবে, কোন আদর্শই ক্ষমতা আর অস্ত্রের জোরে প্রতিষ্ঠা পায় না। হিংসা, বিদ্ধেষ দিয়ে আর্দশের প্রচার হয় না। আদর্শ প্রতিষ্ঠা পায় মানুষের সাথে ভালো ব্যবহারে, মানুষের জন্য, দেশের জন্য কল্যাণকর কাজ করে। প্রয়োজনে দেশের জন্য জীবন বাজি রেখে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান আমাদেরকে সেই আদর্শরই শিক্ষা দিয়েছেন। আমরা এই আদর্শের অনুসারী। এই আদর্শ দেশের ১৬ কোটি মানুষের কাছে ছড়িয়ে দিতে হবে। কারণ বঙ্গবন্ধু শুধু বিশেষ কোন রাজনৈতিক দলের আদর্শ বা সম্পত্তি হতে পারেন না। তিনি হবেন দেশের ১৬ কোটি মানুষের আদর্শ। তাঁকে সম্মানের উর্দ্ধে রেখে দেশের সকল দলের, সকল মানুষের রাজনীতি হওয়া উচিৎ। তিনি বাংলাদেশের জাতীয় গৌরব, এদেশের অনাগত সব বাঙ্গালীর বঙ্গবন্ধু। সর্ব কালের সর্ব শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী।
বঙ্গবন্ধুকে পড়তে হবে, বঙ্গবন্ধুকে জানতে হবে। তাঁর আদর্শকে নতুন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বলিয়ান হয়ে তারই তার সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশে গনতন্ত্র, উন্নয়ন ও ডিজিটালইজেশনের যে আন্দলোন শুরু করেছেন তার সঙ্গে আমাদের সকলকে সম্পৃক্ত হতে হবে।
আসুন আমরা সবাই বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নিজেদের বুকে ধারণ করি, তাঁর আর্দশ, তাঁর চেতনা সারা দেশে, সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দেই। একটি সুখী-সম্মৃদ্ধ, ক্ষুধা-দারিদ্র মুক্ত, হিংসা-বিদ্ধেষ মুক্ত, জ্ঞানে-বিজ্ঞানে, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যে সম্মৃদ্ধ একটি বাংলাদেশ। আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি, জন্মভূমি সোনার বাংলাদেশ বির্নিমানে নিজ নিজ অবস্থান থেকে ভূমিকা রাখি। তাহলেই বঙ্গবন্ধুর চেতনা ও আদর্শের সফল বাস্তবায়ন হবে। তাহলেই বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের আত্ম ত্যাগ সফল হবে।
(১৫ আগষ্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের ৪০তম শাহাদৎ বার্ষিকী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুকে গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি এবং তাঁর ও তাঁর পরিবারের সকল শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি)
মনিরুল ইসলাম শ্রাবণ,
সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক, জেলা ছাত্রলীগ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।