Main Menu

বাড়ি ফিরে হাত-পা না ধোয়ার ফল

+100%-

সারাদিনের কর্মব্যস্ততা আর ঘোরাঘুরি শেষে যখন বাসায় ফিরেন তখন মন থাকে সোজা বিছানায়। পোশাক-আশাক কোনোরকমে খুলে ফেলে লাফ মেরে বিছানার নরম জায়গাটিতে শরীর এলিয়ে দিতে মন চায়। কিংবা কোনো ধকল নয়, ছোটখাটো একটি কাজ করে এলেন, কিন্তু বাসায় ফিরেই অন্য কাজে লেগে গেলেন। বাইরে থেকে ঘুরে এসে হাত-পা ধোয়ার কথাটা মাথাতেই থাকে না। তবে এমন বদভ্যাস চালিয়ে গেলে অসুস্থ হয়ে পড়ার পাশাপাশি আরও অনেক সমস্যা রয়েছে। লিখেছেন সাইফুল ইসলাম জুয়েল

বাইরে কাজ শেষে ঘরে ফিরে অনেকেরই হাত-পা ধোয়ার কথা মনে থাকে না। আবার অনেকেই যুক্তি দেখান, ‘আরে আমি তো কভারড জুতা পরেছিলাম’ কিংবা ‘পা-তো আর বিছানায় তুলিনি’। কিংবা আরও অকাট্য যুক্তি, ‘উফ! যা টায়ার্ড, একটু বিশ্রাম নিই, তারপরে বাথরুমে যাচ্ছি।’ বলাই বাহুল্য, এর কোনো একটি যুক্তিও মেনে নেওয়া যায় না। ক্লান্ত লাগছে বলে হাত-পা না ধুয়ে সোজা ঘরের মধ্যে চলে আসবেন—এটা কোনো গ্রহণযোগ্য যুক্তি হতে পারে না। কারণ, এটিও এক ধরনের বদভ্যাসের পর্যায়েই পড়ে।

প্রতিদিন কাজের মাঝেই আমরা রাস্তাঘাটে কিংবা অফিসে অনেক লোকজনের সংস্পর্শে আসি। তাদের অনেকেরই হয়তো নানা ধরনের অসুখ থাকতে পারে। আমাদের অজান্তেই হয়তো আমরা সেই সকল অসুখের জীবাণুর সংস্পর্শে চলে আসি। আর খুব স্বাভাবিকভাবেই আমরা যখন বাইরে থেকে বাসায় ফিরি, আমাদের সাথে সাথে এই সকল জীবাণুও আমরা বাড়ির অন্দর মহলে নিয়ে আসি। এই বাজে অভ্যাসের জন্য যে শুধু নিজেরই ক্ষতি হচ্ছে তা কিন্তু নয়, আমাদের আশপাশে যারা থাকেন তারাও নানা ধরনের অসুবিধা এবং অসুখের মুখোমুখি হন। তাছাড়া, বড়দের থেকেই ছোটরা শিখে। আপনার পরিবারের ছোটদের কাছে আপনি একজন রোল মডেল হিসেবে বিবেচিত হন। তাই, আপনার এই বদভ্যাস আপনার সন্তানদের মাঝেও সুঅভ্যাস গড়ে তোলার অন্তরায় হয়ে দাঁড়াতে পারে। নিজে যদি সন্তানের মাঝে ভালো কোনো উদাহরণ না রাখতে পারেন, তাহলে তাকেও কোনোদিন ভালো কোনো অভ্যাস শেখাতে পারবেন না। তাছাড়া, এই অভ্যাস আপনার পরিচিত কারো বিরক্তির কারণ হতে পারে। যারা বাইরে থেকে বাড়ি ফিরে হাত-পা না ধুয়েই সোফায় বা বিছানায় উঠে পড়েন, কিংবা বাড়ির অন্যান্য কাজ শুরু করে দেন, বলা বাহুল্য তাদের মাঝে বিন্দুমাত্র অসুখ-বিসুখের ব্যাপারে কোনো সচেতনা নেই।

কী করবেন

যেকোনো বদভ্যাস পাল্টে সুঅভ্যাস আয়ত্ত করা বেশ কঠিন। তবে, প্রথম থেকেই যদি সুঅভ্যাস গড়ে তোলা হয়, তাহলে পরে আর সেটা কোনো আলাদা কাজ বলে মনেই হবে না। তাই, প্রথম থেকেই সচেতন হওয়া জরুরি। আপনার বদভ্যাসে কেউ বিরক্ত বোধ করছে—এই কথাটা নিশ্চয়ই আপনার শুনতে ভালো লাগবে না। তাই ধীরে ধীরে হলেও অভ্যাস পাল্টে ফেলার চেষ্টা করুন। বাইরে থেকে ফিরে বাথরুমে ঢোকার অভ্যাস করুন। সাবান কিংবা লিক্যুইড সোপ দিয়ে ভালো করে হাত-পা ধুয়ে নিন। প্রয়োজন হলে সামান্য গরম পানিতে জীবাণুনাশক লিক্যুইড মিশিয়ে সেই পানিতে হাত-পা ধুয়ে নিন। কারণ, গরম পানিতে জীবাণু তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যায়। বাড়িতে যদি কোনো ছোট বাচ্চা থাকে, তাহলে বাইরে থেকে ফিরে হাত-পা না ধুয়ে তাকে ধরা উচিত হবে না। কারণ, বাচ্চাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম হয়। তারা খুব তাড়াতাড়ি অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে।






Shares