Main Menu

বঙ্গবন্ধুর সপ্নের সোনার বাংলা

+100%-

আব্দূল কাইয়ুম॥অবহেলিত আমাদের দেশের পর্যটন শিল্প কে নিয়ে আমার কিছু কথা:আব্দূল কাইয়ুম আমাদের দেশের প্রাকৃতিক পরিবেশ ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য কে আরো আকর্ষনীয় করার জন্য পর্যটন শিল্পে দেশী ও বিদেশী বিনিয়োগকারীদের কে উৎসাহিত করার মাধ্যমে সরকারের সুনিদিষ্ট নীতি মালা ও সূদূর প্রসারী পরিকল্পনা করে বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর সাথে তাল মিলিয়ে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সংমিশ্রনে বিনোদন ও ভ্রমন প্রিয় এই দেশের জনগন ও দেশের ভবিষ্যত প্রজন্মের কথা মাথায় রেখে সুপরিকল্পিত ভাবে দেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলাতে বিদ্যমান পর্যটকদের জন্য সকল আকর্ষনীয় স্হান গুলোকে সরকার ও সংশি¬ষ্ট মন্রানালয় ধারাবাহিক ভাবে সুন্দর্য বর্ধনে কাজ করতে যদি সচেষ্ট হয় তাহলে আমাদের দেশে ও বিভিন্ন দেশ হতে পর্যটকেরা আসবে তাতে অর্থনৈতিক ভাবে দেশ ও জাতি অনেক লাভবান হবে।কারন আমরা সবাই অবগত আছি যে বিশ্বের অনেক উন্নয়নশীল দেশের অন্যতম অর্থনৈতিক আয়ের উৎস হল তাদের পর্যটন শিল্প। কিন্ত আমাদের দেশে এই পর্যটন খাতে ব্যাপক সম্ভাবনা থাকার পরে ও অদৃশ্য কোন কারনে সরকার এগিয়ে আসছেনা। বর্তমানে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা’র সরকার দেশের ঐতিহাসিক উন্নয়নের যেই রোল মডেলের দৃষ্টান্ত স্হাপন করেছেন তার পাশাপাশি যদি এই পর্যটন শিল্পকে উন্নয়নের আওতায় আনা যায় তাহলে বাংলাদেশ হবে পৃথিবীর অন্যতম একটি প্রাকৃতিক সুন্দর্যে ভরপুর নৈস্বর্গের দেশ।

তবে এই পর্যটন শিল্পে সরকারের দৃশ্যমান যেই উদাসীনতার মনোভাব রয়েছে তা থেকে অচিরেই সরে আসা উচিত । দেশের পর্যটন শিল্পকে বিকশিত করতে সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে এবং পাশাপাশি এই পর্যটন খাতে বিনিয়োগের জন্য বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগূলোকে সুনিদিষ্ট নীতিমালার আওতায় বিনিয়োগের সুযোগ দিয়ে সরকারি ও বেসরকারি উদ্দ্যেগের মাধ্যমে ধারবাহিক ভাবে এই দেশের পর্যটন খাতে বিনিয়োগের মাধ্যমে সুন্দর্য বর্ধনে অবকাঠামো ও অনান্য পরিবর্তনে কাজ করা যায় আমার বিশ্বাস পর্যটন শিল্প হতে সরকার অপ্রত্যাশিত মুনাফা অর্জন করতে পারবে এবং ব্যাপকহারে এই পর্যটন খাতে নতুন কর্মসংস্হানের সৃষ্টি হবে। আমাদের দেশের অর্থনৈতিতে গার্মেন্টস শিল্পের মত পর্যটন শিল্প হতে ও সরকারের প্রচূর মুনাফা অর্জন ও ব্যাপক সফলতা আসবে।আমি আমার মতামত ব্যক্ত করে এই লেখনীর মাধ্যমে সরকারের যথাযথ কর্তৃপহ্মের দৃষ্টি আকর্ষন করে বলতে চাই শুধু কথায় নয় এখন সময় এসেছে এই পর্যটন খাতকে গতিশীল করার এবং অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে এই শিল্পের উন্নয়নে করনীয় সকল কার্যক্রমকে আরো গতিশীল ও যুগোপযোগী করে গড়ে তোলার।আমরা অবগত আছি দেশের বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রামের সাথে ঢাকার যোগাযোগের অন্যতম ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথ ডাবল/ ডুয়েল গেজে রুপান্তরের পরিকল্পনার অংশ হিসেবে আশুগঞ্জ-ভৈরব সীমানায় মেঘনা নদীর উপর নির্মিত হচ্ছে দ্বিতীয় ভৈরব সেতু।

ভারতীয় একটি প্রতিষ্ঠান ইরকন-এফকনস্ এই প্রকল্পটি বাস্তবায়নে কাজ করে আসছে এবং অচিরেই এই দ্বিত্বীয় ভৈরব সেতুর কাজ শতভাগ সম্পন্ন হবে বলে আশা করছি মোদ্দাকথা হল যেই কারনে আমার এই বিষয়ে লেখনী তা হল ১১ এপ্রিল ১৭ ইং মাঝ রাতে ঢাকা হতে ব্রাহ্মনবাড়ীয়া ফেরার পথে নরসিংদীর সীমানা শেষে ভৈরবের শুরুতে যেই দৃষ্টিনন্দন বিখ্যাত ভৈরব সেতু টি রয়েছে সেই সেতুর দুই পাশের অপরূপ প্রাকৃতিক সুন্দর্যকে উপভোগ করতে ১১ এপ্রিল ১৭ ইং মাঝ রাতে প্রায় একটার দিকে আমি ভৈরব সেতুতে দাড়িয়ে চারদিকের নীরব নিস্তব্দ পরিবেশে নদীর দুপাশে গড়ে উঠা বসত বাড়ি ও বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে ব্যবহ্ত বৈদ্যুতিক খুটিতে ঝুলন্ত বাতি গুলোর প্রতিচ্ছবি যখন মেঘনা নদীর কালো পানিতে ভেসে উঠেছে তখন মূহুর্তের মধ্যে আমার মনে হল এইখানে ও হতে পারে বর্তমান উন্নত বিশ্বের দেশগুলোর সাথে তাল মিলিয়ে এক আধুনিক ভৈরব নগরী। তখন আমার আরো মনে হল বর্তমান সময়ের বিশ্বের আলোচিত একটি গূরুত্বপৃর্ন বিষয় বাংলাদেশের পদ্মা সেতু নির্মান ও পাশাপাশি পদ্মা নদীর চারপাশ কে ঘিরে সরকার যেই অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে যেই অত্যাধুনিক ও আকর্ষনীয় নগরী গড়ে তোলার পরিকল্পনা করে চলেছে তা বাস্তবায়ন হলে সত্যিই বিশ্বের মধ্যে এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্হাপন হবে । ঠিক তেমনি মেঘনা নদীর দুপারে গড়ে উঠা বাংলাদেশের প্রাচীনতম বানিজ্যিক নগরী ভৈরবে নির্মিত ভৈরব সেতুর দৃষ্টিনন্দন সুন্দর্যকে অহ্মত রেখে আশুগন্জ ও ভৈরবে বহমান মেঘনা নদীর দুপাশ ঘিরে যদি অত্যাধুনিক পদ্বতিতে উন্নত বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে সুপরিকল্পিত ভাবে একটি আধুনিক নগরী গড়ে তোলা যায়। তাহলে এক কথায় বলব বিশ্বের এক অন্যতম পর্যটন নগরী হিসাবে বিশ্ব্ দরবারে তা পরিচিতি লাভ করবে সাথে দেশের সুনাম ও দেশের অর্থনৈতিক খাতের এক নতুনতম আয়ের উৎস্য তৈরি হবে বলে আমি বিশ্বাস করি।। ১১ এপ্রিল ২০১৭ ইং তারিখের মাঝরাতে ধারনকৃত এই ভৈরব ব্রীজের ছবিটিতে দৃশ্যমান যেই সুন্দর্য বিরাজমান তা সত্যি মনমুগ্নকর তাই আমি আনন্দে আবেগে আপ¬ুত ও উৎফুলিত হয়ে আমার এই লেখনীর মাধ্যমে আমার মনের কথা গূলোকে তুলে ধরার হ্মুদ্র প্রয়াস মাত্র। তবে আমি প্রত্যাশা করি স্বাধীন বাংলাদেশের স্হপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু’র সপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন প্রধানমন্রী শেখ হাসিনা’র নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর সপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ার কাজ যেই দূর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে বিশ্বদরবারে আজ বাংলাদেশ উন্নয়ন ও অগ্রগতির এক অনন্য রোল মডেল হিসাবে মর্যাদা লাভ করেছে তারই ধারাবাহিকতায় অচিরেই বঙ্গবন্ধুর সপ্নের সোনার বাংলাদেশ জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশবাসী কে উপহার দিবেন। যেমন ভাবে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশকে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌমত্ব রাষ্ট্র হিসাবে লাল সবুজের পতাকা দেশবাসীকে উপহার দিয়েছিলেন ও বিশ্ব মানচিত্রে যোগ করেছিলেন একটি নতুন ভৌগলিক সীমারেখার দেশ স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু জয়তু শেখ হাসিনা।”






Shares