জঙ্গিবাদীরা ইসলাম ও মানবতার শত্রু
সৈয়দ মোহাম্মদ আফজল:: গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা অতি সম্প্রতি জঙ্গি সন্ত্রাসী হামলার সাথে জড়িত এবং এদের (জঙ্গি) মদদদাতা, অস্ত্র-অর্থের জোগানদাতা ও ইন্ধনদাতার খুঁজে বের করতে দেশের সব বাহিনীকে নিয়ে বিশেষ একটি তদন্ত টিম গঠন করার কথা জানিয়ে বলেছেন, যারা এসব ঘটনা ঘটাচ্ছে তারা দেশ, জাতি ও মানবতার শত্রু। এরা কারা, হোতা কারা, অস্ত্র-অর্থের জোগানদাতাদের আমরা খুঁজে বের করবোই। তাদের শিকড় পর্যন্ত পৌঁছে মূলোৎপাটনে তিনি দেশবাসীর সর্বাত্মক সহযোগীতা ও সমর্থন কামনা করে বলেন, মানতারই জয় হবে, মানবতাবিরোধীদের অবশ্যই পরাজয় ঘটবে।
গত ১৯ জুলাই জাতীয় সংসদে গুলশান, শোলাকিয়াসহ পবিত্র মদিনা, ফ্রান্সের নিস শহরে জঙ্গি হামলার দেশী বিদেশী নাগরিক নিহত হওয়ায় বিশ্বব্যাপী সংঘটিত জঙ্গি ও সন্ত্রাসী ঘটনার নিন্দা জানিয়ে আনীত সাধারণ প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। আলোচনা শেষে সরকারি দলের শেখ ফজলুল করিম সেলিমের আনীত নিন্দা প্রস্তাবটি সরকার ও বিরোধী দলের সমর্থনে সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়। সরকার ও বিরোধী দলের মোট ২৪ জন সংসদ সদস্য প্রস্তাবটির ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নেন।
আলোচনায় অংশ নিয়ে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা জঙ্গি সন্ত্রাসবাদ নির্মুলে তাঁর সরকারের কঠোর অবস্থানের কথা পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, তদন্ত অনেক দূর এগিয়েছে, ইতোমধ্যে অনেক তথ্য আমরা পেয়েছি। তদন্তের স্বার্থে অনেক কিছুই বলা যাচ্ছে না। শুধু হামলাকারীদের দমন করেই আমরা বসে থাকব না। কারা কোমলমতি তরুনদের বিভ্রান্ত করছে সেই মূল হোতাদেরও খুঁজে বের করব। এর শিকড় পর্যন্ত আমরা যাবো এবং মূলোৎপাটন করবো। কারা এসব ঘটনার ইন্ধন দিচ্ছে, পরামর্শ ও মদদ দিচ্ছে, অস্ত্র ও অস্ত্রের জোগান দিচ্ছে, সবাইকে খুঁজে বের করে বিচারের মুখোমুখি করবো। সারা দেশে কম্বিং অপারেশন চলছে। কেউ-ই রেহাই পাবে না।
জননেত্রী শেখ হাসিনা বলেন, শুধু বাংলাদেশেই নয়, সন্ত্রাস এখন সমগ্র বিশ্বেই ছড়িয়ে পড়েছে। কাজেই এটা বাংলাদেশের একার সমস্যা নয়। আশার কথা, সন্ত্রাস- জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী জনমত সৃষ্টি হয়েছে। বিশ্ববাসী এ ব্যপারে সচেতন। সন্ত্রাস- জঙ্গিবাদ মোকাবিলায় দেশবাসীর সহযোগিতা চেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, মানবতার জয় হবেই। নিজ নিজ এলাকায় গিয়ে সন্ত্রাসবিরোধী কাজ করতে সকল সংসদ সদস্যের প্রতি প্রধানমন্ত্রী আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, গুলশানের হামলার সকল ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। আমি নিজেও কয়েকটি ভিডিও ফুটেজ দেখেছি। সকল বাহিনীর সমন্বয়ে আমি একটা বিশেষ তদন্ত টিম করে দিয়েছি। এই ঘটনাকে আমরা সহজভাবে নিইনি। সন্ত্রাসী জঙ্গিদের সম্পূর্ণভাবে নিপাত করবোই। কারা অর্থ, অস্ত্র ও পরামর্শ দিচ্ছে তা খুঁজে বের করার পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। সারা কম্বিং অপারেশন চলছে, যে কোনোভাবে এদের পাকড়াও করবোই। সকলের মিলিত শক্তিই দেশকে জঙ্গিবাদমুক্ত করতে পারে।
দেশরত্ন শেখ হাসিনা বলেন, সন্ত্রাসীরা জাতি ও মানবতার শত্রু। ইসলাম শান্তির ধর্ম। মানুষ খুন করা ইসলামে নেই। মহানবী (সা.) আমাদের শান্তি বাণী শুনিয়েছেন।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেন, যাদের কোনো অপূর্ণতা নেই, নামি-দামী প্রতিষ্ঠানে ইংলিশ মিডিয়ামে লেখাপড়া করেছে, তারাই এখন বেহেশতের হুর পেতে এসব ঘটনা ঘটাচ্ছে। ইসলামকে সারা বিশ্বের কাছে হেয়, কলুষিত ও অমার্যাদা করছে, আল্লাহই তাদের বিচার করবেন।