এসএনসি-লাভালিনের বিরুদ্ধে ব্যাপক দুর্নীতির তথ্য ফাঁস
ডেস্ক ২৪ :এবার পদ্মা সেতুর দুর্নীতিতে সম্পৃক্ত কানাডার আন্তর্জাতিক নির্মাণ প্রতিষ্ঠান এসএনসি-লাভালিনের বিরুদ্ধে ব্যাপক দুর্নীতির তথ্য ফাঁস হয়েছে। গত ১৫ মে ভোরের সংবাদে কানাডার রাষ্ট্রপুষ্ট প্রচার মাধ্যম সিবিসি তা প্রকাশ করেছে। তাতে কাজ আদায়ে ঘুষের খাতটিকে গোপনীয় রাখতে বিশেষ ‘কোড’ বা ‘সাংকেতিক নাম’ ব্যবহারের বিষয়টি বেরিয়ে এসছে। স্বয়ং তা প্রকাশ করেছেন পদ্মা সেতুর দুর্নীতিতে বাংলাদেশ ও কানাডায় অভিযুক্ত বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত প্রকৌশলী ও এসএনসি-লাভালিনের আন্তর্জাতিক প্রকল্প বিষয়ক সাবেক কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইসমাইল। সিবিসি নিউজ ও কানাডায় সর্বাধিক প্রচারিত রক্ষণশীল জাতীয় দৈনিক গ্লোব অ্যান্ড মেইল তাদের যৌথ অনুসন্ধানে সে তথ্যটি উদঘাটনে সক্ষম হয়। সেখানে অভ্যন্তরিণ হিসাব ব্যবস্থাপনার স্বার্থে বহু বছর ধরেই এসএনসি-লাভালিন একটি বিশেষ ‘কোড’ ব্যবহার করে এসেছে। সেটির প্রচলন ঘটিয়ে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বিশ্বব্যাংক ও আফ্রিকান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের অর্থায়নপৃুষ্ট কাজ আদায় করা হয়েছে, যা ঘুষ হিসেবেই বিবেচিত। ওই অনুসন্ধানে বলা হয়েছে, বৃহৎ প্রকল্প ব্যবস্থাপনায় এসএনসি-লাভালিন ক্ষুদ্র চুক্তির ক্ষেত্রে ‘পিসিসি’ বা ‘সিসি’ কোড ব্যবহারপূর্ণ খাতের প্রয়োগ ঘটিয়ে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে বহু দেশে কাজ আদায় করেছে। আর এই কোডের শাব্দিক অর্থ হচ্ছে ‘প্রজেক্ট কনসালটেন্সি কস্টস’। মোহাম্মদ ইসমাইল জানিয়েছেন, পালাক্রমে এই কোড ব্যবহার করা হয়েছে, কখনো তা ‘প্রজেক্ট কনসালটেন্সি কস্টস’, কখনো আবার ‘প্রজেক্ট কমার্শিয়াল কস্ট; কিন্তু বাস্তবে তা ঘুষের নিমিত্তেই ব্যবহার করা হয়েছে’। ২০০৮ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত সময়ে সম্পন্ন ১৩টি প্রকল্পে এই খাতকে এসএনসি-লাভালিন ‘কনসালটেন্সি কস্টস’ হিসেবে দেখিয়েছে। এছাড়া নাইজেরিয়া, জাম্বিয়া, উগান্ডা, ঘানা, ইন্ডিয়া ও কাজাখস্থানের মোট ৮টি প্রকল্প সংশ্লিষ্ট বিপুল পরিমান হিসাবাদির কাগজপত্রে ‘পিসিসি’ ও ‘সিসি’ কোড ব্যবহারের প্রমান পাওয়া গেছে। উল্লেখ্য, গত ১৭ এপ্রিল সুনির্দিষ্টভাবে বাংলাদেশের পদ্মা সেতুর দুর্নীতির বিষয়টি এসএনসি-লাভালিন স্বীকারোক্তিপূর্ণ অঙ্গীকারে জানালে বিশ্বব্যাংক তাদের উপর ১০ বছরের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। পাশাপাশি সেই নিষেধাজ্ঞা তাদের ১০০টি সহযোগীর উপর একইভাবে আরোপিত হয়। অনুরূপভাবে বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের পদ্মা সেতু দুর্নীতি বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)-কে এক পত্রে ‘পিসিসি’র ব্যবহারকে ‘ইউফেমিজম ইউজড বাই এসএনসি-লাভালিন টু ইন্ডিকেট দ্য কস্ট অব দ্য ব্রাইবস টু বি পেইড’ অর্থাৎ ‘সুভাষিতভাবে এসএনসি-লাভালিন তা পরিশোধিয় ঘুষের পরিমাণ বুঝাতে ব্যবহার করেছে’ বলে জানিয়েছে। |
« ওয়াহেদুল হক ওয়াহাবকে বহিস্কারে বিক্ষুদ্ধ জেলা জাতীয় পার্টি। (পূর্বের সংবাদ)
(পরের সংবাদ) দুই বছরেই আখাউড়া- আগরতলা রেল: ভারতীয় সংবাদপত্রের প্রতিবেদন »