কাতারে দর্শকদের মন কেড়েছে বাংলা চলচ্চিত্র আয়নাবাজি
বাংলাদেশ ফোরাম কাতার এর সার্বিক ব্যবস্থাপনায় চারশত আসনের হল ভর্তি দর্শকের উপস্থিতিতে প্রাণবন্ত প্রিমিয়ার শোতে অংশ নেন কাতার প্রবাসী বাংলাদেশী। অনুষ্ঠানে কাতারি নাগরিক,কৈটনৈতিক ও বিভিন্ন পর্যটকরা আয়না বাজি দেখতে অংশ নেয়।
মূলত চঞ্চল চৌধুরীকে ঘিরে ছয়টি চরিত্রে অভিনয়ে মুগ্ধ,বিস্মিত দর্শক-শ্রোতা এক অনাবিল উচ্ছ্বাসে নায়ককে নিজেদের প্রতিবিম্বে দেখারও তাগিদ পেয়েছেন। অভিনয় কৌশলতায় দর্শকদের হৃদয়ে এক স্পর্শকাতর অনুভূতি জাগায়। দর্শকরা টেরও পেলেন না কখন শুরু হলো আর কখনই বা শেষ হলো সিনেমার গল্প।
ছবিতে আরও একটি চমকপ্রদ ব্যাপার ছিল পার্থ বড়ুয়ার অভিনয় দক্ষতা।সাংবাদিকতার মতো মহান পেশাকে পার্থ বড়ুয়া তার অভিনয় কৌশলে এত সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন।যা একেবারে দর্শকদের হৃদয় কেড়েছে।নায়িকার চরিত্রে নাবিলা মানানসই। কাহিনীর গতিপথ এমনই যে ছিল নাবিলার এর চেয়ে বেশি কিছু দেখানোর সুযোগও ছিল না।ভালবাসার প্রকাশটাও না দেখাতে পেয়ে বাসায় ফিরে আসেন। যদিও জানতো না যে চঞ্চল চৌধুরী অভিনয়ে এত পারদর্শী।
ছবি অনূভুতি ব্যক্ত করে কাতার প্রবাসী মোল্লা মোহাম্মদ রাজ রাজিব বলেন,এই ধরনের সিনেমা যদি তৈরি হয় তবে বাংলাদেশের সিনেমায় সুদিন ফিরে আসবে এবং বহিবিশ্বে আমাদের দেশের মুখ উজ্জ্বল হবে।আর ইন্ডাস্ট্রি ভালো অবস্থান তৈরি করতে পারবে।
বাংলাদেশ ফোরাম কাতারের সভাপতি ইফতেখার আহমেদ জানান, সপ্তাহব্যাপী বাংলাদেশ ফেস্টিভ্যাল পালন করছি আমরা।এর মধ্যে বাংলা চলচ্চিত্র আয়নাবাজি ছিল একটি অংশ।দর্শকদের হৃদয়কাড়া এমন একটি সুস্থ ও ব্যতিক্রমী ছবি উপহার দেয়ার জন্য ছিল আমাদের ক্ষুদ্র প্রয়াস।