Main Menu

গান্ধী নয় সুভাস বসুর তৎপরতার কারণেই স্বাধীন হয়েছে ভারত

+100%-

ডেস্ক ২৪:: মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীর অহিংস আন্দোলন নয় বরং নেতাজি সুভাস বসুর নেতৃত্বাধীন আজাদ হিন্দ ফৌজের তৎপরতার কারণেই ভারত স্বাধীন হয়েছে। সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ক্লিমেন্ট অ্যাটলি এ কথা বলেছেন।

ochanahemaloy-1454336594-ce0f418_xlarge

অ্যান ইন্ডিয়ান সামুরাই নামের প্রকাশিতব্য বইতে এ দাবি করেছেন ভারতের সামরিক ইতিহাসবিদ জেনারেল জিডি বকশী। ভারতীয় কোনো কোনো সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবরে এ দাবি করা হয়েছে।

ভারতের স্বাধীনতা অর্জনের ক্ষেত্রে গান্ধীর নেতৃত্বাধীন অহিংসা আন্দোলনের ভূমিকা স্পষ্ট ভাষায় অ্যাটলি নাকচ করে দিয়েছেন বলেও বইতে দাবি করা হয়েছে।

১৯৫৬ সালে অ্যাটলি এবং পশ্চিমবঙ্গের গভর্নর বিচারপতি পি বি চক্রবর্তীর মধ্যে আলাপচারিতার ভিত্তিতে এ দাবি করেছেন জেনারেল জিডি বকশী।

ভারতকে স্বাধীনতা দেয়ার ঘোষণায় সই করেছিলেন অ্যাটলি। ১৯৫৬ সালে ভারত সফরে এসে কোলকাতায় পিবি চক্রবর্তীর আতিথ্য গ্রহণ করেছিলেন অ্যাটলি। চক্রবর্তী সে সময়ে কোলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব পালন করছিলেন।

কোলকাতায় অ্যাটলি দু’ দিন ছিলেন এবং সে সময়ে ভারতকে স্বাধীনতা দেয়ার বিষয়ে পিবি চক্রবর্তীর সঙ্গে দীর্ঘ আলাপ হয়েছিল। গান্ধীর ভারত ছাড়ো আন্দোলন থিতিয়ে পড়েছে এবং ১৯৪৭ সালে নতুন করে কোনো আন্দোলনও গড়ে ওঠেনি তা হলে কেনো ব্রিটিশ তড়িঘড়ি ভারত ত্যাগের সিদ্ধান্ত নিলো তা জানতে চান চক্রবর্তী। জবাবে অ্যাটলি কয়েকটি কারণ তুলে ধরেছিলেন।

তার মধ্যে প্রধান দু’টি কারণ ছিলো, নেতাজির সামরিক তৎপরতার মুখে ব্রিটিশ রাজের প্রতি ভারতীয় সেনাদের আনুগত্যে ধস নেমেছিল।

এ আলাপচারিতার শেষে অ্যাটলির কাছে জানতে চান বিচারপতি চক্রবর্তী, ব্রিটেনের ভারত ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেয়ার পেছনে গান্ধীর আন্দোলনের প্রভাব কি ছিল? জবাবে ঠোঁট বাকিয়ে অ্যাটলি বাঁকা হাসি হেসে ধীরে ধীরে বলেন, “এ –ক্কে-বা-রে-ই- ক-ম।”

এ আলাপচারিতা ১৯৮২ প্রথম প্রকাশ করেছেন লেখক রঞ্জন বড়ুরা।
এটি প্রকাশ করে ইন্সটিটিউট অব হিস্টোরিক্যাল রিভিউ।






Shares