বিয়ে নিয়ে মানুষের ভুল ধারণা



নিজস্ব প্রতিবেদক: নারী বা পুরুষ বিয়ের আগে যখন মানসিক অস্থিরতায় ভোগেন বা একাকিত্ব বোধ করেন, তখন ভাবেন বিয়ে করলেই হয়তো এসব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। আপনি যদি এমনটি ভেবে থাকেন, তাহলে তা হবে ভুল। বিয়ে আপনার এসব সমস্যার সমাধান দিতে পারে না। বিয়ে সম্পর্কে প্রচলিত এমন পাঁচটি ভুল ধারণার কথা তুলে ধরেছে মুম্বাই মিরর।
একাকিত্ব থাকবে না?
বিয়ে মানে সঙ্গী পাওয়া। তা নারী ও পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রেই সত্য। তাই দুই পক্ষই মনে করে, সঙ্গী যেহেতু পাওয়া যাচ্ছে, একাকিত্বের যন্ত্রণায় ভোগার কোনো আশঙ্কা নেই। নারী মনে করেন, তিনি তাঁর স্বামীর কাছে এত দিনের না-বলা কথা, দুঃখ-কষ্ট বলে নিজেকে হালকা করবেন, তাঁকে বন্ধু বানিয়ে নেবেন। আশা করেন, স্বামীও তাঁর সব কষ্ট ভাগ করে নেবেন। কিন্তু বিয়ের পর নারীকে হতাশ হতে হয়। এমনই এক নারী বলেন, ‘বিয়ের পর আমার কখনো মনে হয় না, আমরা পরস্পরের সঙ্গে কোনো কিছু শেয়ার করি। আমি যখন বলি, সে কান দিয়ে শোনে, কিন্তু মন দিয়ে বোঝে না। এমনকি ছুটির দিনগুলোতেও মনে হয় না, আমরা একসঙ্গে আছি।’
যখন-তখন যৌনতা!
স্বাভাবিক যৌন-সম্পর্ক যেকোনো দাম্পত্যকে সুখী রাখতে সহায়তা করে। বিয়ের আগে মনে হয়, বিয়ের পর ইচ্ছে হলেই যখন-তখন যৌন আকাঙ্ক্ষা পূরণ করা সম্ভব। বাস্তবে এমনটা হওয়ার কোনো সম্ভাবনা থাকে না। রোজকার বাস্তবতা, ব্যস্ততা ও সমস্যায় এমন আকাঙ্ক্ষা বিয়ের পর কমতে থাকে। এ নিয়ে দুই পক্ষেই হতাশা বাড়ে।
আর্থিক নিরাপত্তা
অবিবাহিতরা ধারণা করেন, বিয়ের পর স্বামী-স্ত্রীর যৌথ আয় সংসারজীবনে আর্থিক নিরাপত্তা দেবে। আসলে তা হয় না। নিজ নিজ আয়ে সংসারের আর্থিক নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হয়। নিজের খরচের জোগান নিজেকেই দিতে হয়। এ বিষয়ে দম্পতির কেউ কাউকে তেমন একটা সহায়তা করেন না।
অন্যের স্বজন নিজের হয় না
বিয়ের পর নতুন আত্মীয়স্বজন-পরিজন নিয়ে সুখে বাস করার স্বপ্ন দেখেন অবিবাহিত নারী-পুরুষ। বিয়ের পর পর উভয়েই চেষ্টা করেন সঙ্গীর স্বজনকে আপন করে নিতে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেই চেষ্টা সাফল্যের মুখ দেখে না। দিন শেষে নিজের রক্তের বন্ধনই প্রধান হয়ে দেখা দেয়। যখন কোনো সংকট দেখা দেয়, তখন এই সত্য প্রকট হয়। অন্য পরিবার থেকে আসা কেউ, সে যতই ভালো হোক না কেন; পক্ষপাতিত্ব চলে যায় নিজের স্বজনের দিকে। এ ক্ষেত্রে স্বপ্ন ভঙ্গের আশঙ্কা থাকে। এমন অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে, নতুন স্বজনদের প্রতি শ্রদ্ধা-ভালোবাসা দেখান কিন্তু বেশি কিছু আশা করবেন না।
সমস্যার সমাধান সন্তানে?
বিয়ের পর স্বামী-স্ত্রী যখন একে অপরের সঙ্গে মানিয়ে নিতে ব্যস্ত থাকেন, তখন তাঁদের মনে হয় সন্তানের জন্মই হয়তো সংকটে সমাধান দেবে। এটি ভুল ধারণা। যথেষ্ট প্রস্তুতি না নিয়ে সন্তান নিলে তা বরং দাম্পত্য জীবনকে আরও জটিল করে তুলবে। তাই সন্তান নেওয়ার আগে ভালো করে ভাবুন, আপনারা প্রস্তুত তো নতুন অতিথিকে নিয়ে সুন্দরভাবে সময় কাটানোর জন্য?