বিএনপি কর্মীদের মনোবল ভেঙ্গে দিচ্ছেন ফখরুল! তারেক-মবিন ‘টেলিসংলাপ’ ফাঁস ।
ডেস্ক:শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী থাকলে তাঁর অধীনে কোন নির্বাচন হবে না। এটাই আমাদের একমাত্র দাবি হওয়া উচিত। কথাগুলো বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরীকে টেলিফোনে বলছিলেন খালেদা জিয়ার প্রবাসে আশ্রয়গ্রহণকারী পুত্র তারেক রহমান। মঙ্গলবার দিবাগত রাত তিনটায় বাংলালিকস কথিত টেলিফোন সংলাপটি ফাঁস করে।
১০ মিনিট ৩১ সেকেন্ডের ঐ ফোনালাপ সামাজিক মিডিয়া ‘ইউটিউব’ এর একটি চ্যানেলে প্রকাশিত হয়েছে। ফোনে তারেক রহমান দেশের সাম্প্রতিক রাজনীতি এবং বিএনপি নেতাদের ভূমিকা নিয়ে নানা প্রশ্ন করেছেন। সেই সাথে তিনি বিএনপির রাজনৈতিক নানা কৌশল নিয়ে সমালোচনা, নির্দেশনা এবং সরাসরি কথা বলেছেন।
টেলিফোন সংলাপে তারেক রহমান দলের বিভিন্ন বিষয়ে নির্দেশনা দেন। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের আত্মগোপন করে থাকার কঠিন সমালোচনা করেন তারেক রহমান। এতে কর্মীদের মনোবল ভেঙ্গে যাচ্ছে বলেও তিনি কথিত ওই ফোনালপে মন্তব্য করেন।
যদিও বাংলালিকসের অনলাইনে প্রকাশ করা ফোনালাপ আদৌ তারেক রহমান ও শমসের মবিন চৌধুরীর কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
টেলিফোন সংলাপটি পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হল :
মুবীনঃ হ্যালো, তারেক। স্লামালাইকুম।
তারেকঃ স্লামালাইকুম। কেমন আছেন?
মুবীনঃ আর আছি কিভাবে? দেশ যেভাবে আছে, সেভাবেই আছি।
তারেকঃ আচ্ছা! ওবায়দুল কাদের দুইদিন আগে একটা কথা বলেছে, খেয়াল করেছেন নিশ্চয়ই।
মুবীনঃ হ্যাঁ, খেয়াল করেছি। এবং সেটা আমি আমাদের কালকে টকশোতে বলিয়েছি মাহফুজুল্লাহকে দিয়ে, অন্য কাউকে দিয়ে সে যে এই কথাটা বলেছে এর মানে কি? তুমি( তারেক) ঐটা বলছ তো, সমঝোতা হচ্ছে নাকি, তাইতো?
তারেকঃ না না! সমঝোতা হচ্ছে পর্দার আড়ালে।
মুবীনঃ হ্যাঁ, পর্দার আড়ালে সমঝোতা হচ্ছে এবং সমঝোতা হয়ে গেলে আস্তে আস্তে ছাড়া হবে। হঠাৎ কিছু হয়ে যেতে পারে।
তারেকঃ হ্যাঁ, তো সমঝোতা কারা করছে?
শমশেরঃ ওরা নিজেদের মধ্যে সমঝোতা করছে।
তারেকঃ মানে, আমাদের কারো সাথে কি কথা বলছে? আপনি কি জানেন এরকম কিছু?
শমশেরঃ আমার জানামতে কারো সাথেই কথা বলছে না। আজকে তো আলমগীর ভাইরা যে গেছে- তারা প্রপোজাল দিয়ে দিয়েছে।
তারেকঃ না, সেটা তারা দিতে পারে। প্রপোজ কারে দিল। কিন্তু উনি এইভাবে মানে হাইড এন্ড সিক করছেন কেন? উনি তো পলিটিক্যাল লিডার একজন।
মুবীনঃ জ্বী।
তারেকঃ উনি তো পলিটিশিয়ান, তাই না?
মুবীনঃ জ্বী।
তারেকঃ আলমগীর সাহেব।
মুবীনঃ একটু পরেই আমরা যাব ম্যাডামের এখানে। আমরা বসে আছি। এটা কি আলাপ করব যে, টক টু ইউ(তারেক) এ্যাবাউট ইট।
তারেকঃ ওনার কথা বলার তো অনেক সমস্যা আছে। তাই না? ডিটেইল বলা মুশকিল। বরং এটা হাইড এন্ড সিক করে বরঞ্চ এটার রিপার্কেশন তো খারাপই হচ্ছে।
মুবীনঃ বুঝলাম না। এটা তো তাদের বলা হয়েছে কয়েকবার। ম্যাডাম তো ইন্সট্রাকশনেই বলে দিয়েছেন। আমি তারপরেও বুঝিয়েছি।
তারেকঃ কি জানি! আমার মনে হয় না এরকম কোন!কি বুঝেছে! সে যদি পালিয়েই থাকে, সে আন্দোলনের নেতৃত্ব দিতে পারবেন না, কোন রকম কথাও বলতে পারবেন না। সে তো চুপ করে হাইড এন্ড সিক ই আছে। তো লাভটা কি হচ্ছে? এটা দ্বারা আরো খারাপ হচ্ছে তো। দুই তিনজন নেতারা কর্মিরা মার খাচ্ছেন, আর উনি পালিয়ে থেকে লাভটা কি হচ্ছে? মানে বেনিফিট কি হচ্ছে? বেনিফিট হচ্ছের নাতো কোন!
মুবীনঃ হ্যাঁ। সে প্রশ্নটা অবশ্য অনেকেই করছে। আমিও ম্যাডামকে দুই তিনবার করেছি। ম্যাডামের কথা হল, যদি ওরা ধরা পড়ে যয়, ওদেরকে ধরতে ফেলে তবে কাজ করবে কে মাঠে?
তারেকঃ উনি কি খুব একটা কাজ করছে? উনি কি কাজ করতে পারছেন? কোন ইন্সট্রাকশন দিচ্ছেন? কোন দিক দিয়েই তো কাজ করছেন না। কিছু হচ্ছে না। কোন খোঁজ খবরও হচ্ছে না।লাভ হচ্ছে না। ডিফিকাল্ট টু ফাইন্ড হিম। মানে, নো ওয়ান ইজ এবল টু টক টু হিম। উনি যে চার্জে আছে, উনি যে ডিসিশন দিবে বা ইন্সট্রাকশন দিবে সেগুলোও তো হচ্ছে না। সো, হোয়াটস হি প্লেয়িং- হাইড অ্যান্ড সিক।
মুবীনঃ হ্যাঁ। ধর। এটা তো হাইয়্যার লেভেলে হচ্ছে রাইট এ্যাট দিস পয়েন্ট…
তারেকঃ না, আই এ্যাম জাস্ট ডিস্কাসিং উইদ ইউ। আর আরেকটা বিষয়, এরকম গুজবও বোধ হয় ছড়াচ্ছে ওর মধ্যে, আমি যা শুনেছি আমি আপনাকে তাই বলছি, আপনার নামও আছে, কয়েকজনের নামও আছে। মানে ওবায়দুল কাদেরের ব্যাপারটার সাথে আপনাদেরকে ইনভল্ভড করছে, এক নম্বর। দুই নম্বর যে, কিছু গেস্ট আসছে বোধ হয় বাইরের। তো তারা আসলে, যখন তারা আসবে, তখন যাতে কোন কিছু না হয়।এরকম কোন কিছু কি চিন্তা ভাবনা আছে?
মুবীনঃ না, এগুলো তো আমাদেরও চিন্তা ভাবনা। গেস্টের জন্য বিরতি দেওয়া, না বিরতি দেওয়া এগুলো তো অর্থহীন। দিস ইজ মাই আর্গুমেন্ট।
তারেকঃ ইফ ইউ সিন্সিয়ারলি, এটা যদি আপনাদের মনে হয়ে থাকে, তাহলে মনে হয় আপনি ঠিকই বলছেন। এখন বিরতি
দেওয়া টেওয়ার স্কোপ বোধহয় আর নেই।
মুবীনঃ হ্যাঁ, এখন তো স্পেস ইজ জিরো নাউ।
তারেকঃ ইয়েস, আপনি অন্যরকম অন্য কোন কিছুতে এখন গেলে ইফ দে বিকাম ইন এ কম্ফোর্টেবল সিচুয়েশন, তাহলে আমাদের জন্য সিচুয়েশন কি খুব ভাল হবে?
মুবীনঃ না। কোনভাবেই না। বিরতি দিলে একদম মাঠ পর্যায়ে কর্মীরা হতাশ হয়ে যাবে। ডিমোরালাইজড হয়ে যাবে।
তারেকঃ ওদেরকে আর টাইনা তুলতে পারবেন না আপনারা।
মুবীনঃ হ্যাঁ, ওদেরকে আর রাস্তায় ফেরানো যাবে না।
তারেকঃ কিচ্ছু হবে না। ইটস নট এ্যা পসিবল ফর কোয়াইট এ্যা লঙ টাইম। কয়েকবারে হয়ে যেত, প্রতিবারে ব্রেক দিয়ে দিয়ে। এখন দিয়ে আসলে আসবে। যেই আসুক, আসলে আসবে, কিন্তু এইটা সাবোটাজ হবে।
তারেকঃ এখন এই জিনিস যদি ব্রেক করা হয় কন্টিনিউ না করে এটা সাবোটাজ হবে।
মুবীনঃ আর ব্রেক করার কোন স্কোপ ও নাই, কোন কারণও নাই, কোন লজিকও নাই।
তারেকঃ তো আপনারা তো যাচ্ছেন। ইউ ক্যান টক।
মুবীনঃ এখন দিস ইজ মাই সাজেশন। এখন আর তো কোন স্কোপ নাই অন দা কন্সিকুয়েন্সেস এজ বিকাম।
তারেকঃ ইয়েস। তো এটাতে স্ট্রিক থাকতে হবে। আপনার সাথে বোধহয় কেউ কেউ যাবে।তাদের বোধহয় একটা ব্রেক দেওয়ার চিন্তা ভাবনা আছে।
মুবীনঃ দিস ইজ মাই পজিশন। অন্যরা কি করে না করে বাট দ্বিজ হ্যাজ অলওয়েজ বিন মাই পজিশন। এখন কিন্তু ইভেন টেম্পোরারি ব্রেক দেওয়ার স্কোপও কিন্তু নাই। তারেকঃ কোন ব্রেকে যাওয়াই যাবে না এখন। লেট ইট কন্টিনিউ।
মুবীনঃ আরেকটা জিনিস যেটা, ঐ একটু আগে ফার্নান্দেজ তাকানকো যে আসছে ইউ এন থেকে সে ফোন করেছিল, দুইদিনে তিনি দুইবার ফোন করল,তো লাস্টে সে আমাকে আজ বলল যে, অফিস অফ ডি হিউম্যান রাইটস একটা স্টেটমেন্ট ইস্যু
করবে ক্রিটিসাইজিং ভায়োলেন্স এন্ড এভেরিথিং এলস রিলেটেড উইথ এরেস্ট- টেরেস্ট সব কিছু মিলে। বললাম, আই হোপ ইট ইজ এ্যা ব্যাল্যান্স থিং। তখন সে বলল যে, হোয়াট ইজ দি সলুশন? যদি আমরা ইলেকশনে না যাই, সলুশন ইজ সাচ দি গ্যাপ বিটুইন নাউ এন্ড দা ইলেকশন ইজ শর্ট।ইট হ্যাজ টু বি লঙ্গার। এটাকে যদি তোমরা লঙ্গার করতে পার,যদি তোমার এক্সেস থাকে প্রাইম মিনিস্টারকে দিয়ে, ইট মাইট ওয়ার্ক আদারওয়াইজ ইট উইল হ্যাভ নো পয়েন্টস।
তারেকঃ না, আপনি গ্যাপ দিয়ে কি করবেন?সলুশন তো একটাই, শি হ্যাজ টু
এক্সেপ্ট দি ডিমান্ড।
মুবীনঃ শী হ্যাজ টুঁ…
তারেকঃ এখানে আপনি, বিএনপি ইলেকশন দিয়েই বা কি করবেন? ইলেকশন যদি তাহলে আর লাভ হল কি?
মুবীনঃ ইফ সি রিজাইন্স এন্ড দা পার্লামেন্ট ডিসল্ভস, থাকুক জানুয়ারির ২০, ২১,২৪ তারিখ পর্যন্ত, ফাইনালি ডিমান্ড এরপরেও সে থাকে প্রাইম মিনিস্টার তাইলে তো লাভ হল না।
তারেকঃ না না, অতদিন দিয়েন না আপনারা। ইউ শুড নট ডো সাচ এ বিগ মিস্টেক। এরপর কিন্তু বেচে থাকা মুশকিল হবে। কিছু লোক ছাড়া বাকিদের বেচে থাকা মুশকিল হবে। ডিমান্ড যেটা শী হ্যাজ টু এক্সেপ্ট দা ডিমান্ড রাইট নাউ। এখন, তারপরে যেই আসুক, পার্লামেন্ট ডিসল্ভ হবে এ্যান্ড শি হ্যাজ টু এক্সেপ্ট দা ডিমান্ড রাইট এ্যাট দিস মোমেন্ট।এটাকে লেঙ্গার করলেই কিন্তু সুযোগ পেয়ে বসবে।এই সুযোগ দিলে সে বলবে ঠিকাছে চব্বিশ তারিখের পর আমরা আর থাকব না, কিন্তু চব্বিশ তারিখের মধ্যে সে অন্য কিছু করে ফেলবে।
মুবীনঃ সেটাও ঠিক।
তারেকঃ ডিমান্ড মানলে ডিমান্ড মেনে যাও। ডিমান্ড মেনে যাও, ব্যাস… এখন।
মুবীনঃ মানে,স্টেপ হার অন এ কন্ডিশন দ্যাট শি উইল রিজাইন।
তারেকঃ হ্যাঁ, হ্যাঁ। নাহলে আমাদের যেটা প্রোগ্রাম করছে, পাবলিকলি প্রোগ্রাম হচ্ছে দ্যাট শুড কিপ অন কন্টিনিউইং।
মুবীনঃ (শী) কাম টু ওয়ার্ড?
তারেকঃ হ্যাঁ। কাম টু ওয়ার্ড। এখন এস্পার ওস্পার তো হয়েই গেছে, এখন যদি ব্রেক দেন, ওয়েল ওটার কন্সিকুয়েন্স অন্য রকম হবে। মিনিমাম যাদের পলিটিক্স করার নজেজ আছে, তাদের এটা বোঝা উচিৎ।
মুবীনঃ বাট আই হ্যাভ নেভার স্পোকেন ফে এ্যা ব্রেক। যখন এ পর্যায়ে এসে দাঁড়িয়েছি তখন নন-স্টপ এটা চলতে হবে। ফর্ম কি নিবে, ম্যাডাম কখন প্রেস কনফারেন্স করবে, কখন কি এ্যানাউন্স করবে ইট হ্যাজ টু গো অন…
তারেকঃ হ্যাঁ, উনি আগামী দু চারদিনের মধ্যে করতে পারেন। সেটা উনি প্রেস কনফারেন্স বা উনি আরেকটা জিনিসও বলতে পারেন এর মধ্যে বিগ বাংলার যে এডিটর আছে বা অন্য এডিটর আছে বা এডিটর বলেন বা এরকম রিনাউন্ড লোকজন যারা কথা বলছেন সবাইকে ডেকে উনি এক্সচেঞ্জ এবং ওপিনিয়নের একটা ইনভিটিশন দিতে পারেন।
মুবীনঃ ইন দা মিনটাইম, অবরোধ টবরোধ ওটা চলুক, ওটা থাকা অবস্থায়ও সে করতে পারে।
তারেকঃ না না, অবরোধ নিয়ে তো কোন কথা হচ্ছে না, ইট উইল বি কন্টিনিউড। এটা নিয়ে তো কোন কথা হচ্ছে না।
মুবীনঃ ঠিক আছে। আজকে যখন ডাকা হবে, আই উইল মেইক দি সাজেশনস।
তারেকঃ আঃ, হ্যাঁ!আদারওয়াইজ অনেক মানুষই কিন্তু বেচে থাকতে পারবে না। যদি আপনি তুলে নেন এটা এখন, তাহলে অনেক মানুষের ক্ষতির দায় দায়িত্ব যারা প্রপোজ করবে আপাতত তুলে নেন দুই দিনের জন্য তারপর আবার আমরা দিব তাদের ক্যারি করতে হবে এই লাইবিলিটি। বহু মানুষের ক্ষতি হয়ে যাবে।
মুবীনঃ ঠিক আছে। আমি সেইভাবেই কথা বলব আজকে।
তারেকঃ আর এগুলা তো চাপা থাকবে না, কে কে প্রপোজ করবে, কে কে প্রপোজ করেছে যে এইগুলা তুলে নেওয়া হোক দুই দিন তিনদিনের জন্য, বিদেশিরা আসছে তাদের সাথে না হলে সম্পর্ক খারাপ হবে, এগুলা যখন বলবে তারপর যখন ক্ষতি হবে বহুত মানুষের,নিজেদের, তখন তো এগুলা চাপা থাকে না, কারা এগুলা প্রপোজ করেছে , তখন তো এগুলার লাইবিলিটি তো তাদের নিতে হবে তো, মুশকিল হয়ে যাবে তো।
মুবীনঃ ঠিক আছে। সেইভাবেই, আজকে আলাপ করবনি।
তারেকঃ জ্বী, এখন মানে সন্ধ্যার সময় বা রাত্রের বেলায় যদি দিতে পারে ডিক্লেয়ার ইট ইজ এনাদার সেভেন্টি টু আওয়ারস।
মুবীনঃ ঠিক আছে। বলে দিচ্ছি আমি।
তারেকঃ এভাবে করেই এক্সটেন্ড করেন।
মুবিনঃ আচ্ছা, ওকে। স্লামালাইকুম।
তারেকঃ ওকে। স্লামালাইকুম।