Main Menu

বাংলাদেশে অস্থিরতার জেরে ভারতের বহু শ্রমিক কর্মহীন, স্তব্ধ ব্যবসা

+100%-

১৭ নভেম্বর(দৈনিক সংবাদ, আগরতলা) ঃ রাজনৈতিক অস্থিরতা, দু’দিন পর পর বিরোধী দলের ধর্মঘট, সহিংসতা, ব্যাপক অগ্নিসংযোগের কারণে নজীরবিহীন ট্রাফিক জ্যামের শিকার বাংলাদেশের ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক। বাহাত্তর ঘন্টা টানা হরতালে বাহাত্তর ঘন্টা পরও অঘোষিত হরতাল চলছে দেশের প্রধান দুই মহানগীর সংযোগ সড়কটিতে।এতে শুধু বাংলাদেশের অর্থনীতি নয়, প্রতিবেশী দেশ ভারত ছাড়াও অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশের বন্ধু রাষ্ট্রগুলো।
প্রায় দশদিন ধরে যান চলাচল স্তব্ধ থাকায় অচল হয়ে পড়েছে ত্রিপুরার স্থলবন্দরগুলো। লোক আসা-যাওয়া করতে না পারায় মার খাচ্ছে উভয় দেশের পর্যটন শিল্প। বাংলাদেশের সিমেন্ট না আসায় বন্ধ হয়ে পড়েছে ত্রিপুরা রাজ্যের দুটি বিদ্যুৎ প্রকল্প সহ আরও বহু প্রকল্পের নির্মাণ কাজ। ত্রিশ থেকে পঁয়তাল্লিশ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে সীতাকুন্ড, ফেণী, কুমিল্লা, চান্দিনা এলাকায় যানজট লেগে রয়েছে। শুধু মহাসড়কে নয়, ট্রাফিক জ্যামের কারণে শোচনীয় অবস্থা মহানগর দুটিতেও। এর ফলে বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে কোন বিদেশি লোক এখন আর বাংলাদেশে নামতে চাইছে না বলেও জানান। কোনক্রমে বাংলাদেশ থেকে উঠে আসা ত্রিপুরার ব্যবসায়ীরা।
রাজনৈতিক অস্থিরতার জেরে বাংলাদেশের নজীরবিহীন ট্রাফিক জ্যাম এখন আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে জায়গা করে নিয়েছে। মূলত বানিজ্যিক কারণে বাংলাদেশে আসা বিদেশি ব্যবসায়ীরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহানগরী এবং এর সংযোগ সড়কের ট্রাফিক জ্যামে আটকে পড়ার কারণে চরম নাজেহাল হওয়ার পরই বিষয়টি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে চলে যায়। গত বুধবার পর্যন্ত টানা বাহাত্তর ঘন্টা হরতালের পর কাজের তাগিদে মানুষ ঘর থেকে বের হলেও বহু মানুষ এখনও ঘরে ফিরতে পারেনি। হরতাল শেষ হওয়ার চারদিন পরও অবস্থা স্বাভাবিক হয়নি দুটি মহানগরীর এবং এদের সংযোগ সড়কের। হরতালের পর বিরোধীদের কয়েকটি বিক্ষিপ্ত অগ্নিসংযোগের পর যান চালকরা ঝুকি নিয়ে গাড়ী না চালানোর পর থেকেই হাজার হাজার গাড়ীর জ্যাম লেগে যায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের উপর অবস্থিত সীতাকুন্ড, মিরসরাই, ফেনী (মহিপাল) কুমিল্লা, চান্দিনা, এলিয়টগঞ্জ প্রভৃতি শহরগুলোর দুই পাশে দীর্ঘ ট্রাফিক জ্যাম লেগে রয়েছে গত কয়েকদিন ধরে। একই চালানো অসম্ভব। সোনামুড়ার শ্রীমন্তপুর স্থল বন্দরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেওয়া বহু পণ্যবোঝাই লরি ঢাকা- চট্টগ্রাম সহাসড়কে যানজটে আটকে রয়েছে গত তিন চারদিন। কবে নাগাদ সেগুলো স্থল বন্দরগুলোতে এসে পৌঁছবে তার কোন ঠিকঠিকানা নেই। এদিকে বাংলাদেশের সিমেন্টের উপর নির্ভরশীল ত্রিপুরার বিভিন্ন প্রকল্পের নির্মাণ কাজগুলোর গতি স্তব্ধ হয়ে পড়েছে বলেও জানা গেছে।






Shares