১৬ সদস্যের সর্বদলীয় সরকারের খসড়া চূড়ান্ত
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ সর্বদলীয় সরকারের গঠন প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করেছে সরকার। আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ), বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি এবং সাম্যবাদী দলের প্রতিনিধিদের নিয়ে ১৬ সদস্যের একটি মন্ত্রীসভার খসড়া তৈরি করেছেন প্রধানমন্ত্রী।প্রধান বিরোধী দল বিএনপিকে ছাড়াই এ সরকারের মন্ত্রীসভার সদস্য হচ্ছেন ১৬ জন। বিএনপি আসলে এর আকার আরো বাড়তে পারে। আর জাতীয় পার্টির অবস্থান পরিষ্কার না হলেও তারা এ সরকারে থাকবে বলে বিশ্বাস প্রধানমন্ত্রীর। প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় ও আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী সূত্রে এ সব বিষয় জানা গেছে। সর্বদলীয় সরকারের সম্ভাব্য মন্ত্রীরা হলেন, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, আবুল মাল আবদুল মুহিত, মতিয়া চৌধুরী, ওবায়দুল কাদের, আবদুল লতিফ সিদ্দিকী, ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন, স্থানীয় সরকারমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও বিমানমন্ত্রী জি এম কাদের, আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও রুহুল আমিন হাওলাদার এবং সাম্যবাদী দলের দিলীপ বড়ুয়া। সূত্র জানায়, চলতি মাসের তৃতীয় সপ্তাহেই এ সরকার গঠন করা হবে। এর মধ্যে বিএনপিকেও এ সরকারের মন্ত্রীসভায় নিয়ে আসার জন্য চেষ্টা করা হবে। তবে বিএনপি সাড়া না দিলে তাদের বাদ দিয়েই সরকারের মন্ত্রীসভা ঘোষণা করবেন প্রধানমন্ত্রী। তবে এর মধ্যে যদি বিএনপি ফিরে আসে তবে এই সংখ্যা বেড়ে ২০ থেকে ২২ জনও হতে পারে। কিন্তু যদি বিএনপি আরো বেশি মন্ত্রনালয় চায় তবে তাও বিবেচনা করা হবে। আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফরুল্লাহ বলেন, সর্বদলীয় সরকারের ড্রইং বোর্ড তৈরি করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ১৭ নভেম্বর শ্রীলঙ্কা থেকে ফিরে এসে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন। বিরোধী দলকে বাদ দিয়েই কি সর্বদলীয় সরকার হচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা সংবিবধান অনুযায়ীই নির্বাচন করব। এ নির্বাচনে যারা আসবে সংসদে প্রতিনিধত্বের বিচারে তাদের নিয়েই সর্বদলীয় সরকার গঠন হবে। বিএনপি এ সরকারে অংশ নিতে চাইলে তাদের সাথে আলোচনার ভিত্তিতেই সর্বদলীয় সরকারের মন্ত্রিত্ব দেওয়া হবে। জাতীয় পার্টি এ সরকারের থাকবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জাতীয় পার্টির সাথে আমাদের কথা হচ্ছে। তারা এখন পর্যন্ত আমাদের সাথেই আছে। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে বিভিন্ন সভা-সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই এ কথা বলেছেন। বিরোধীদলীয় নেতা যদি বলেন তিনি নির্বাচনকালীন সরকারে কোন মন্ত্রণালয় চান তাও জানাতে পারেন। আমরা বসে এ বিষয়ে আলোচনা করতে পারি। উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত সপ্তাহে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে সর্বদলীয় সরকার গঠনের কথা জানান। এ সময় তিনি মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের পদত্যাগ করার জন্য বলেন। যাদের পদত্যাগপত্র গৃহিত হবেনা তাদেরকেই সর্বদলীয় সরকারে রাখা হবে বলে জানান তিনি। |