Main Menu

ত্রিপুরায় বিনিয়োগে বাংলাদেশি কোম্পানিগুলোর প্রতি রাজ্য সরকারের আহ্বান

+100%-

 

ডেস্ক টোয়েন্টিফোর : ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ত্রিপুরায় আরও বেশি বিনিয়োগ করার জন্য বাংলাদেশি কোম্পানিগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রাজ্যের বাম ফ্রন্ট সরকারের মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার। সম্প্রতি তিনি স্থানীয় সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশ ও ভারত ঐতিহ্যগতভাবে পরস্পরের অংশীদার। আমরা চাই, ত্রিপুরায় আরও বেশি বাংলাদেশি বিনিয়োগ আসুক।

বাংলাদেশ ও ভারত ‘পরস্পরের ওপর নির্ভরশীল’ মন্তব্য করে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রতিবেশী এই দুই দেশের উচিত নিজেদের সম্পদ ও সুবিধা ব্যবহারে একসঙ্গে এগিয়ে যাওয়া। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ সরকারের সময়ে দুই দেশের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক যোগাযোগ অনেকটা গতি পেয়েছে। বিশেষ করে বাংলাদেশ থেকে ভারতে পোশাক ও কাঁচা পাটসহ বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি ৮৫ শতাংশ বেড়ে ৩০ কোটি ডলারে পৌঁছেছে।

মানিক সরকার বলেন, আমি ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জানিয়েছি, পালটানায় স্থাপিত ৭২৬ মেগাওয়াট ক্ষমতার বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশকে ১০০ মেগাওয়াট দিতে ত্রিপুরা প্রস্তুত আছে। মানিক সরকারের বাম ফ্রন্ট সরকার বাংলাদেশের সঙ্গে অমীমাংসিত বিষয়গুলোর সমাধানের জন্য বরাবরই ভারতের কেন্দ্র সরকারকে তাগিদ দিয়ে আসছে।

সাম্প্রতিক দিনগুলোতে বাংলাদেশের কয়েকটি কোম্পানি ত্রিপুরায় ব্যবসা শুরু করেছে, যার মধ্যে প্রাণ ও নিটোল-নিলয় গ্রুপও রয়েছে। ত্রিপুরার আনারস থেকে জুস তৈরির জন্য আগরতলার কাছে ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি প্রক্রিয়াকরণ কারখানা বসাচ্ছে প্রাণ গ্রুপ। এজন্য বাংলাদেশি এ কোম্পানিকে দুই একর জমিও বরাদ্দ দিয়েছে ত্রিপুরা শিল্প উন্নয়ন করপোরেশন।

এছাড়া আগরতলার একই এলাকায় ৭০ কোটি রুপির একটি টায়ার তৈরির কারখানা খোলার জন্য স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সমপ্রতি সমঝোতা স্মারকে সই করেছে বাংলাদেশের নিটোল-নিলয় গ্রুপ। ত্রিপুরায় একটি কাগজকল স্থাপনের বিষয়েও বাংলাদেশি এ কোম্পানির সঙ্গে আলোচনা করছেন স্থানীয় ব্যবসায়ী নেতারা।

আগরতলা চেম্বার অফ কমার্সের এমএল দেবনাথ বলেন, আমাদের এখানে পর্যাপ্ত কাঁচামাল রয়েছে। এখানে কাগজকল খুললে তা হবে নিটোল গ্রুপের জন্য একটি ভালো বিনিয়োগ। এছাড়া ত্রিপুরায় আরও অনেক ক্ষেত্রে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগ করার সুযোগ রয়েছে বলেও মন্তব্য করেন।






Shares