বাংলাদেশে ক্রিকেট ম্যাচ পাতানোর সুনির্দিষ্ট তথ্য আছে ব়্যাবের কাছে
বাংলাদেশের ক্রিকেটে ম্যাচ পাতানো বা স্পট ফিক্সিং এর সুনির্দিষ্ট তথ্য আছে ব়্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন বা ব়্যাবের কাছে৷ সরকার বা বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) চাইলে ব়্যাব এই বিষয়ে আরো বিস্তারিত তদন্ত করবে৷ ব়্যাবের গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান লে. কর্নেল জিয়াউল আহসান ডয়চে ভেলেকে জানান, বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) ম্যাচ পাতানো বা স্পট ফিক্সিং এর মাধ্যমে জুয়ার ঘটনা তদন্ত হয় মে মাসে৷ আর এই ঘটনা তদন্তে আইসিসির দুর্নীতি দমন কমিশনের (আকসু) সদস্যরা ঢাকায় এসে ব়্যাবের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেন৷ তারা ব়্যাবের সহায়তা নেন এবং তথ্যের আদান প্রদান করেন৷ তিনি জানান, আগে থেকেই ক্রিকেট নিয়ে জুয়াড়ি বা বুকিদের তত্পরতার খবর ছিল তাদের কাছে৷ তারা চেষ্টা করছিলেন, এধরনের জুয়াড়ি বা বুকিদের চিহ্নিত করতে৷ তিনি জানান, গত ফেব্রুয়ারির ২, ৪ এবং ১২ তারিখের ৩টি ম্যাচ ফিক্সিং-এর সুনির্দিষ্ট তথ্য আছে তাদের কাছে৷ এই ম্যাচগুলো ছিল ঢাকা-বরিশাল, ঢাকা-চট্টগ্রাম এবং ঢাকা-খুলনার মধ্যে৷ আর এই ম্যাচ পাতানোর নেপথ্যে ছিল ঢাকা গ্লাডিয়েটরস এর মালিক পক্ষ৷ বুকি হিসেবে একজন ভারতীয় এবং একজন শ্রীলংকান নাগরিকের নাম উঠে এসেছে৷ তারা আন্তর্জাতিক জুয়াড়ি৷ জুয়াড়িদের কাছ থেকে অর্থ নেওয়ার প্রমাণ পাওয়া গেছে বাংলাদেশের কয়েক ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে৷ জিয়া জানান, বাংলাদেশের যাদের নাম এসেছে তাদের সাবাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে৷ এবং তারা তাদের সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করতে পারেননি৷ এই ম্যাচ পাতানোয় বিপুল পরিমাণ টাকার লেনদেন হয়েছে৷ লে. কর্নেল জিয়া জানান, এই ধরনের ক্রিকেট দুর্নীতির ঘটনা বাংলাদেশে এই প্রথম প্রকাশ পেল৷ কিন্তু এর আইনি তদন্তে কোন বাধা নেই৷ এই তদন্ত দুর্নীতি দমন কমিশনও করতে পারে৷ আবার ব়্যাব অথবা পুলিশের কোন সংস্থাকেও দেয়া যেতে পারে৷ তিনি বলেন, ‘‘আইসিসির আইনে যাই থাকুক না কেন তাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের কোন আদালতে বা থানায় অভিযোগ আনা হলে তার তদন্ত বাংলাদেশের তদন্তকারী সংস্থাকেই দিতে হবে৷ কারণ বাংলাদেশের আদালতে বাংলাদেশি ছাড়া বিদেশি কোন তদন্ত সংস্থার তদন্ত গ্রহণযোগ্য নয়৷” তিনি বলেন, ‘‘সরকার বা বিসিবি চাইলে ব়্যাবও এর তদন্ত করতে প্রস্তুত আছে৷ আর ব়্যাবের কাছে তথ্যও আছে৷” |