Main Menu

‘মুক্তিযুদ্ধ করে ভাইয়ের লাশ উপহার পেলাম’: আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল

+100%-

 

ডেস্ক টোয়েন্টিফোর : ‘আমি মুক্তিযুদ্ধ করেছি, দেশের জন্যে গান লিখেছি আর জাতি আমাকে এই উপহার দিলো? আমার ভাইয়ের লাশ? এই একের পর এক হত্যা না থামানো গেলে স্বাধীনতার চেতনা ভুলুণ্ঠিত হবে, রাজাকাররাই জিতবে।…আমাকে মেরে ফেললে লাশটা আমার আব্বার কাছে পৌঁছে দিও। আমার লাশ নিয়ে কোনো রাজনীতি হবে না বলে দিচ্ছি।‘

ভাই মিরাজ উদ্দিন আহমেদের মরদেহ শনিবার রাতে উদ্ধার করার পর এভাবেই আহাজারি করে ওঠেন গীতিকার-সুরকার আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল। জানা যায়, কুড়িল উড়ালসড়কের নিচে রেললাইনের ওপরে লাশটি পড়ে ছিল। উল্লেখ্য, বুলবুল মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে জামায়াতের সাবেক আমির গোলাম আযমের বিরুদ্ধে করা মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন।

জানা গেছে, কুড়িল উড়ালসড়কের নিচে রেললাইনের পাশে নীল শার্ট পরা এক ব্যক্তির লাশ পড়ে থাকতে দেখে আশপাশের লোকজন কমলাপুর রেলওয়ে থানায় যোগাযোগ করে। পরে রেলওয়ে পুলিশের সদস্যরা রাত সোয়া একটার দিকে ঘটনাস্থলে যান। কমলাপুর রেলওয়ে পুলিশ সূত্র জানায়, ঘটনাস্থলে যাওয়ার পর মৃত ব্যক্তির পকেটে থাকা মোবাইল ফোনটি বেজে ওঠে। পুলিশ সদস্যরা ফোনের কল ধরে ওই ব্যক্তির পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হন। জানতে পারেন, তাঁর নাম মিরাজ উদ্দিন আহমেদ। তিনি গীতিকার ও সুরকার আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের ভাই।
খিলক্ষেত থানার ওসি ফারুক আহমেদ জানান, মিরাজের মরদেহ উদ্ধার করে রাত চারটার দিকে খিলক্ষেত থানায় নেওয়া হয়। নিহত মিরাজের শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন নেই, তবে নাক দিয়ে রক্ত পড়ছিল। কেউ তাঁকে মেরে এখানে ফেলে গেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
নিহত ব্যক্তির পরিবারের সদস্যদের দাবি, গোলাম আযমের বিরুদ্ধে করা মামলায় নিহতের ভাই সাক্ষী ছিলেন। এ কারণে তাঁকে খুন করা হতে পারে বলে তাঁরা মনে করছেন। মিরাজ গাড়ির ব্যবসা করতেন। অবিবাহিত মিরাজ মিরপুরে বোনের বাসায় থাকতেন।
এই রিপোর্ট লেখা পর‌্যন্ত (আজ রবিবার) আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের ছোট ভাই মিরাজ উদ্দিন আহমেদের (৫২) মরদেহ বুলবুলের বাসায় নেওয়া হয়েছে। 






Shares