ব্যাংক না হয়েও ব্যাংকিং কার্যক্রম সর্মথনযোগ্য নয়, ব্যাংকার্স সামিট উদ্বোধন অনুষ্ঠানে গর্ভনর ব্যাংক ন
ব্যাংক না হয়েও ব্যাংকিং কার্যক্রম চালাচ্ছে এমন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে লেনদেন না করার পরামর্শ দিয়েছেন গভর্নর আতিউর রহমান। সাভারের ব্র্যাক সিডিএম সেন্টারে ব্যাংকার্স সামিট-২০১২-এর উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান বলেছেন, জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ব্যাংগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে। এমন কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান আছে যেগুলো ব্যাংক নয় কিন্তু ব্যাংকের মত আচরণ করছে, অতিলোভে কিংবা প্রতারনার কারণে জনসাধারণ সেগুলোকে ব্যাংক মনে করে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সে ব্যাপারে সকলকে সতর্ক থাকতে হবে। মো. নাসির বখতিয়ারের সভাপতিত্বে এসময় অন্যান্যের মধ্যে ড. সালেহ উদ্দিনসহ বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ এবং ব্যাংকের প্রতিনিধিবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
ঋণের শর্ত নিয়ে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সঙ্গে আরো আলোচনার সুযোগ রয়েছে বলে মনে করেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
বাজেটের ঘাটতি পূরণ ও মুদ্রানীতি বাস্তবায়নসহ অর্থনীতির চাপ মোকাবেলায় বাংলাদেশের জন্য শর্ত সাপেক্ষে প্রায় ৯৮ কোটি ৭০ লাখ মার্কিন ডলার ঋণ অনুমোদন করেছে আইএমএফ। প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে স্বল্প আয়ের দেশগুলোকে দেয়া এটাই সর্বোচ্চ ঋণ। সুদবিহীন এ ঋণ সহায়তা ৭টি কিস্তিতে ৩ বছরে পাবে বাংলাদেশ যা আগামী ১০ বছরে শোধ করতে হবে। তবে ঋণের শর্ত নিয়ে ভিন্ন মত রয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ও ব্যাংকারদের।
অনুমোদন ছাড়া যারা ব্যাংকিং কার্যক্রম চলছে এ ব্যাপারে গর্ভনর বলেন, ‘ব্যাংক বা উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের অনুমোদনবিহীন কোনো ব্যাংক অনুরুপ সেবা যেন জনগণ গ্রহণ না করে সেই দিক থেকে আমি তাদেরকে সচেতন থাকার জন্য অনুরোধ করছি।
ব্যাংক কর্মকর্তা মামুন রশীদ বলেন, ‘প্রয়োজনীয় আইন না থাকা এবং সামগ্রিকভাবে আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে দূর্বলতা না হলে অনিহা আমাদেরকে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সুশাসন আনতে বাধাগ্রস্ত করছে। পাশাপাশি এসব প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে সামাজিক সচেতনা গড়ে তোলার কথাও বলেন তিনি।
তিন দিনব্যাপী আয়োজিত এ অনুষ্ঠানের এবারের মূলবিষয় ছিল বাংলাদেশে ব্যাংকিং এর ৫০ বছর-ভিশন ২০১২সাল। ডাটাএজ এর অর্থায়নে এবারের সামিট-২০১২ এর আয়োজন করে ফিন্যানশিয়াল এক্সেলেন্স লিমিটেড (ফিনেক্সেল)।
গত বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া সামিট-২০১২ শেষ হবে আগামীকাল শনিবার।
বক্তারা এসময় বাংলাদেশের ব্যাংকিং শিল্পের বর্তমান অবস্থা, সমস্যা ও সম্ভাবনা ছাড়াও দেশের ব্যাংকিং সম্পর্কে ভবিষ্যৎ লক্ষ্য নিয়ে গঠনমূলক বক্তব্য রাখেন। এবারের সামিটে বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে থাকছে বাংলা নববর্ষ উদযাপন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। |