মাদক উদ্ধারে বিদেশী কুকুর
আরাফাত আহমেদঃ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মাদক পাচার রোধে নিয়েছেন নতুন পন্থা। বিজিবি সূত্রে জানা যায় মাদক উদ্ধারে বিদেশ থেকে আমদানি করা হয়েছে বিশেষ প্রজাতির কুকুর। যেসব জায়গায় বিজিবি সদস্যদের জন্য মাদক খোঁজে বের করা দুঃসাধ্য সেইসব জায়গায় কুকুর দিয়ে সহজেই মাদকদ্রব্য খোঁজে বের করা হচ্ছে। কুকুর মাদক উদ্ধারে সফলতা অর্জন করেছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সীমান্ত এলাকায় কুকুর দিয়ে চোরাচালান সহজেই ধরতে সক্ষম হয়েছেন বলে দাবি বিজিবি’র। ভারতের ল্যাবরেডর জাতের ৪টি কুকুর শাবক ২বছর পূর্বে আমদানি করে বিজিবি। এখন কুকুরের বয়স ২ বছর। বিজিবি’র সদরদপ্তরে কুকুরের শাবক গুলো মাদকসহ ২৫০টি জিনিসের উপরে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। প্রশিক্ষণের পর কুকুরগুলো ব্রাহ্মণবাড়িয়া ১২ বিজিবি ব্যাটালিয়নে দেওয়া হয়। এ ব্যাটালিয়নের অধীনে আখাউড়ার ফকিরমোড়া, আজমপুর ও বিজয়নগরের বিষ্ণুপুর বিজিবি ক্যাম্পে একটি করে কুকুর দেওয়া হয়। আরেকটি আছে ১২ বিজিবি ব্যাটালিয়নে। এসব কুকুরের ঘ্রানশক্তি খুব প্রখর। কোন বস্তু খোঁজার আগে সেই ধরণের বস্তুর গন্ধ আগে নিয়ে খোঁজে বের করে এসব কুকুর। এক থেকে দেড় মিটার দুর পর্যন্ত আয়ত্ত করতে সক্ষম। এক থেকে দেড় ফুট মাটির নিচ, পানি, গাছ থেকে মাদক উদ্ধার করতে পারে কুকুর গুলো। ব্রাহ্মণবাড়িয়া ১২ বিজিবি ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লে: কর্ণেল মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এ কুকুর গুলো জ্ঞান শক্তি দিয়ে নাকে গন্ধ শুনে মাদক উদ্ধারে সফলতা অর্জন করেছে। মাদক পাচারের কৌশল ধরতে সক্ষম। কুকুর গুলোকে এ ভাবেই প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।