রেকর্ড গড়ল বোতলবন্দি বার্তা



গত বছর ঢেউয়ে ভাসতে ভাসতে জার্মানির আমরুম দ্বীপের তীর ছুঁয়েছিল বোতলটি। তার মধ্যে ছিল একটা চিরকুট। সেই চিরকুট-বার্তাই জায়গা করে নিল গিনেস বিশ্বরেকর্ডে— প্রাচীনতম বোতলবন্দি বার্তা হিসেবে।
গিনেস রেকর্ড অনুযায়ী, এত দিন প্রাচীনতম বোতলবন্দি বার্তা ছিল ৯৯ বছর ৪৩ দিনের পুরনো। তবে ১০৮ বছর ১৩৮ দিনের এই বোতলবন্দি বার্তাটি পাওয়ার পর সেটিকেই নতুন রেকর্ড বলেছেন গিনেস কর্তৃপক্ষ।
যে ব্যক্তির নামে কাগজটি এসেছে, সেই ‘প্রয়াত’ জর্জ পার্কার বিডার ১৯৩৯ সাল থেকে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত এমবিএ-র প্রেসিডেন্ট ছিলেন। এমবিএ-র কর্মী গি বেকার জানান, কাগজটি হাতে পেয়ে অবাক হয়েছেন রিসেপশন কর্মী থেকে বর্তমান প্রেসিডেন্ট সকলেই। এর পরেই শুরু হয় পুরনো নথি ঘেঁটে রহস্যভেদ করার আপ্রাণ চেষ্টা। ওই সংস্থায় থাকাকালীন জর্জ বিডার যে সমস্ত কাজ করে গিয়েছেন, বার করা হয় তার সবিস্তার তথ্য। অবশেষে অন্ধকার কাটে। জানা যায়, সমুদ্রতলে জলের স্রোত নিয়ে কাজ করছিলেন জর্জ। এবং এ হচ্ছে তাঁর এক সময়ের ‘বটম বটল্স’ পরীক্ষার অংশ। পরীক্ষামূলক ভাবে ১৯০৪ থেকে ১৯০৬ সালের মধ্যে প্রশান্ত মহাসাগরে ১০২০টি বোতল ফেলেন জর্জ। বোতল ফেলার পর কে কবে কোথা থেকে তা পেলেন, সেই তথ্য মিলিয়ে জলের স্রোতের গতিবিধি ঠাহর করতে চেয়েছিলেন তিনি। এ-ও জানা যায়, মারিয়ান যে বোতলটি পেয়েছেন সেটি ফেলা হয়েছিল ১৯০৬ সালের ৩০ নভেম্বরে।
মারিয়ান জানিয়েছেন, ‘‘বোতলে লেখা প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী এক ‘শিলিং’ পুরস্কার দিয়েছে এমবিএ।’’