নবীনগরে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ গুলিবিদ্ধ শিপনের মৃত্যু, এলাকায় ফের আতঙ্ক
মিঠু সূত্রধর পলাশ, নবীনগর প্রতিনিধি: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার বড়িকান্দি ইউনিয়নের থোল্লাকান্দি এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে চারজন আহত হওয়ার ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে! এরই মধ্যে গুলিবিদ্ধদের একজন,শিপন মিয়া (৩০) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
ঘটনাটি ঘটেছে, গতকাল রাতে গণিশাহ মাজার সংলগ্ন একটি রেস্টুরেন্টে, যেখানে স্থানীয় দুই পক্ষের বিরোধের জেরে গুলিবর্ষণ হয় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন!
আজ রবিবার ভোরে নিহত শিপনের ছোট বোনের জামাই ও মামাতো ভাই শাকিল মিয়া গণমাধ্যমকে জানান, “রাতে আমরা আশঙ্কাজনক অবস্থায় শিপনকে হাসপাতালে নিয়ে যাই। অনেক রক্তক্ষরণ হয়! শেষ পর্যন্ত তাকে বাঁচানো গেল না!
এলাকাবাসী জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরে থোল্লাকান্দি ও আশপাশের গ্রামে দুষ্কৃতকারীদের আধিপত্য ও গোপন বিরোধ চলছিল। স্থানীয় প্রশাসন একাধিকবার আশ্বাস দিলেও বাস্তবে কোনও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি!
ঘটনার পর থেকেই এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে! সাধারণ মানুষ আতঙ্কে দোকানপাট আগেভাগে বন্ধ করে ফেলছে। এখনো পর্যন্ত পুলিশ কোনো পক্ষের কাউকে গ্রেপ্তার করেনি, যা জনগণের ক্ষোভ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে!!
জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে নুরজাহানপুর গ্রামের মনেক মিয়ার ছেলে শিপনের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে থোল্লাকান্দি গ্রামের রিফাত বাহিনীর সঙ্গে বিরোধ চলছিল। সন্ধ্যার দিকে শিপন বড়িকান্দি গনি শাহ মাজারের পাশে একটি হোটেলে খাবার খেতে গেলে একদল অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী।
এ সময় শিপন ও হোটেলের এক কর্মচারীসহ তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিপন মারা যায়। ঘটনার পর এলাকাজুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
এ বিষয়ে নবীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃশাহিনুর ইসলাম জানান, “গুলিবর্ষণের খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। আমরা ঘটনাস্থলে আছি। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এটি আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ঘটেছে।































