অবশেষে নির্মিত হচ্ছে গোকর্ণঘাট-রসুলপুর সেতু : ব্যয় হবে ৩২ কোটি ৬৮ লাখ টাকা



ডেস্ক ২৪:: অবশেষে নবীনগর থেকে সড়ক পথে সরাসরি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদরে যাতায়াতের অন্যতম জনগুরুত্বপূর্ণ ‘গোকর্ণঘাট-রসুলপুর’ নামে খ্যাত সেতুটি নির্মিত হচ্ছে। নবীনগর থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য ফয়জুর রহমান বাদলের প্রচেষ্টায় গোকর্ণঘাটে তিতাস নদীর উপর নবীনগরবাসির বহু প্রতিক্ষিত এই সেতুটির নির্মাণপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। গত ২৬ জুলাই ‘গোর্কণঘাট-রসুলপুর’ (প্রস্তাবিত সার্জেন্ট মজিবুর রহমান সেতু) সেতু নির্মাণ প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক অনুমোদন দেওয়া হয়। ৫৭৫ মিটার দীর্ঘ এই সেতুটি নির্মাণের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৩২ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। সেতু প্রকল্পের পরিচালক (প্রজেক্ট ডিরেক্টর) মোঃ নজরুল ইসলাম জানিয়েছেন, ‘সেতুটি সর্বোচ্চ ১৮ মাসের মধ্যে বাস্তবায়ন করা হবে। শিগগরিই টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষে সেতু নির্মাণের কাজও সহসাই শুরু করা হবে।’
এদিকে নবীনগরবাসীর দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে অতীব জনগুরুত্বপূর্ণ এই সেতুটির নির্মাণ প্রক্রিয়া অনুমোদন হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরতœ শেখ হাসিনাকে নবীনগর উপজেলাবাসীর পক্ষ থেকে সশ্রদ্ধ অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন নবীনগর থেকে নির্বাচিত স্থানীয় সংসদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফয়জুর রহমান বাদল। মুঠোফোনে নবীনগরের কথার কাছে এ তথ্যের সত্যতাও নিশ্চিত করেছেন তিনি।
এলাকার লোকজন জানান, নবীনগর থেকে শিবপুর-কুড়িঘর-রসুলপুর-গোকর্ণঘাট হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদরে যাতায়াতের প্রায় ১৭ কি.মি. দীর্ঘ অতীব জনগুরুত্বপূণ এ সড়কের নবীনগর থেকে শিবপুর পর্যন্ত সড়কটি আধাপাকা (ইট বিছানো) রয়েছে। এরপর শিবপুর থেকে কুড়িঘর পর্যন্ত পাকা (পিচ ঢালা) সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় ব্যবহার অনুপোযোগী ঝুঁকিপূর্ণ ওই সড়কেই প্রতিদিন পূর্বাঞ্চলের ৬টি ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল কনছেন। কুড়িঘর থেকে গোকর্ণঘাট পর্যন্ত বিলের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া প্রায় সাড়ে ৪ কি.মি. কাঁচা রাস্তার (বর্ষাকালে সবটুকুই পানির নীচে তলিয়ে থাকে) পুরোটাই তৈরি করতে হবে। তবে বিলের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া সাড়ে চার কি. মি. দীর্ঘ এই কাঁচা সড়কে ২০০৬-২০০৭ অর্থ বছরে সোয়া তিন কোটি টাকা ব্যায়ে ২টি কালভার্ট ও ৩টি বড় সেতু নির্মাণ করা হলেও এপ্রোচ সড়কহীন ওই সেতুগুলোর দু’পাড়ে পর্যাপ্ত মাটি না থাকায় সেতুগুলো ব্যবহার করাও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে রয়েছে। বর্ষা মৌসুমে পুরো সড়কটি পানির নীচে তলিয়ে থাকলেও, শুস্ক মৌসুমে ভয়ংকর উঁচু নীচু ও বিপদজনক এই সেতু ও সড়কের উপর দিয়েই ভাড়া করা মোটরসাইকেলযোগে এলাকার শত শত লোকজনকে প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জেলা সদরে যাতায়াত করতে হয়। তাই এলাকাবাসীর দাবি, গোকর্ণঘাট-রসুলপুর সেতুটি নির্মাণের পাশাপাশি কুড়িঘর থেকে রসুলপুর পর্যন্ত বিলের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া সাড়ে চার কি.মি. দীর্ঘ কাঁচা সড়কটিও যদি দ্রুততার সঙ্গে নির্মাণের ব্যবস্থা করা হয়, তাহলে পূর্বাঞ্চলবাসী তথা নবীনগরবাসি সড়ক পথে কম সময়ে জেলা সদরে যাতায়াতে দারুন উপকৃত হবেন।