Main Menu

নবীনগরে বানিজ্য মেলায় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে পুতুল নাচের নামে চলছে অশ্লীল নৃত্য॥

+100%-
এস এ রুবেল : নবীনগরে পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মাস ব্যাপী বানিজ্য মেলায় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে পুতুল  নাচের নামে চলছে অশ্লীল নৃত্যের জমজমাট আসর। এ সব অশীøল নৃত্যে নারীদেহ প্রদর্শনের মধ্য দিয়ে স্কুল পড়–য়া ছেলেদের চরিত্র হনন করা হচ্ছে । উপজেলা প্রশাসনের নাকের ডগায় এমনটি ঘটলেও তাদের ভূমিকায় অভিভাবকদের মধ্যে প্রচন্ড ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। তারা ছেলে মেয়েদের ভবিষ্যৎ জীবনের কথা ভেবে মেলা বন্ধের দাবী জানান।
গত পহেলা বৈশাখ থেকে এ বানিজ্য মেলা শুরু হয় । এ সময় এইচ,এস,সি ও স্কুলের প্রথম সাময়িক পরিক্ষা চলছে । শিক্ষাথীদের পরীক্ষা চলাকালিন সময়ে বানিজ্য মেলার উদ্যোক্তাদের পুতুল নাচের নামে এ অশ্লীল নৃত্যের জমজমাট প্রদর্শনী অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে । এ সব অশ্লীল নৃত্য দেখার জন্য স্কুলের কোমলমতি ছোট ছোট ছাত্রদের ব্যাপক সমাগম হচ্ছে পুতুল নাচ প্যান্ডেলে । লোকসমাগম ঘটাতে প্রতিদিন উপজেলা সদর সহ আনাচে কানাচে মাইকিং হচ্ছে ‘ আজ পুতুল নাচে গান গাইবেন প্রিন্সেস টিনা ’। মেলায় দর্শক বাড়াতে ছাত্র/ছাত্রীদের প্রতিই যেন উদ্যোক্তাদের নজর বেশী । সরেজমিন মেলার মাঠে পরিদর্শনে দেখা গেছে ১০ টাকা টিকিট কেটে মেলায় প্রবেশ করতে হয় । পুতুল নাচের টিকিট মূল্য ৩০ টাকা । পুতুল নাচের প্যান্ডেলে গেলে এক দর্শক বলেন,“ ভাই আপনি কে? আপনি ঢোকার আগমুহুর্তে নাচ বন্ধ করে পুতুল নাচ শুরু করল, আমরা কি ৩০ টাকা দিয়ে পুতুল নাচ দেখতে আইছি? তিনি ওই নৃত্যের ধারনকৃত মোবাইল ভিডিও চিত্র দেখিয়ে বলেন,‘ মরা নাইচ না জ্যন্ত নাচ দেখতে আইছি ’। আরেক দর্শক জানান ‘ শুধু অশ্লীল নৃত্যই নয়,নৃত্য আর গানের সাথে সাথে ওই নারীদের কন্ঠে রয়েছে যৌন উত্তেজক কথার মালা ’। আলীয়াবাদ গ্রাম থেকে আসা এক মা ছেলের বায়না মেটাতে পুতুল নাচ দেখতে প্যান্ডেলে ঢোকে এসব অশ্লীল নৃত্য দেখে বিব্রতকর অবস্থায় প্যান্ডেল থেকে বেড়িয়ে আসেন। মেলার উদ্বোধনি দিনে অবশ্য ওসি মিজানুর রহমান উদ্যোক্তাদের বলেছিলেন ‘ মরা পুতল নাচতে পারবে, জ্যান্ত পুতুল নাচতে পারবে না ’। সাইফুল ইসলাম হকি, মিজানুর রহমান, কাজী কানন , শিক্ষক মোঃ আশরাফুল হক, মোঃ জুয়েল সহ অনেক অভিভাবক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,‘ প্রশাসন ও স্কুল কর্তৃপক্ষ পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে মাসব্যাপি এমন অশ্লীলতায় ( অশ্লীল নৃত্য ) ভরা মেলার আয়োজন কিভাবে করল? তারা দ্রুত এ মেলা বন্ধের দাবী জানান । এ ব্যাপারে মেলার আয়োজক কমিটির সদস্য মোঃ হিরা মিয়া বলেন,‘ জেলা প্রশাসক মহোদয়ের অনুমতিতেই এ মেলার আয়োজন করেছি। এখানে নৃত্য নয়, শুধু দুজন মেয়ে কণ্ঠ শিল্পি গান গাইছেন ’ । ওসি মিজানুর রহমান ‘প্রশাসন ম্যানেজ’ কথাটি অস্বীকার করে বলেন . ‘ মেলায় কোন অশ্লীলতা বরদাস্ত করা হবে না, দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে ”। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সামছুল ইসলাম মেহেদী বলেন,‘ বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে ’। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক আবদুল মান্নান বলেন,‘ নবীনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার কে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে’ ।  






Shares