প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত নবীনগরের মৃৎশিল্পীরা! ১৩০ মন্ডপে চলছে পূজার প্রস্তুতি
মিঠু সূত্রধর পলাশ, নবীনগর প্রতিনিধিঃ শরৎ ঋতুর অবগাহিকায় মা আসছেন বাংলার উৎসব মুখর প্রতিটি পূজা অঙ্গঁনে। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুগোর্ৎসব। দেবীর আর্শিবাদ পাওয়ার আশায় সনাতন ধর্মাবলম্বী প্রতিটি মানুষ প্রতিক্ষায় থাকেন পুজার এই শুভ লগ্নের। শাস্ত্রীয়মতে, জগতের মঙ্গল কামনায় এ বছর মা দুগার্ গজে চড়ে মর্ত্যলোকে আসছেন শান্তির বার্তা নিয়ে। মা’দুর্গা শশুর বাড়ী কৈলাস থেকে বছরে একবার কন্যা রূপে পিত্রালয়ে বেড়াতে আসেন। ভক্তরা মনে করেন অশুর শক্তির বিনাশে সৃষ্টি হলো এক মহাশক্তির আবির্ভাব। দেবতাদের তেজরশ্মি থেকে আবির্ভূত অশুভ অশুর বিনাশী দেবী দুর্গা।
আগামী ২০ অক্টোবর শুক্রবার মহাষষ্ঠীর মধ্যদিয়ে শুরু হবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা এবং আগামী ২৪ অক্টোবর মঙ্গলবার বিজয়াদশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যদিয়ে শেষ হবে শারদীয় দুর্গোৎসব। ব্রহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় এ বছর ১৩০ টি পূজা মন্ডপে অনুষ্ঠিত হচ্ছে শারদীয় দুর্গোৎসব। নবীনগর পৌরএলাকা ও আশপাশের একাধিক পূজা মন্ডপে গিয়ে দেখা যায়, দৃষ্টিনন্দন ও আকর্ষণীয় করে তুলতে প্রতিমায় শিল্পীর শৈল্পিক কারুকাজে মনোমুদ্ধকর করে সজ্জিত করতে চলছে শেষ সময়ের প্রস্তুতি।
উপজেলার ভোলাচং গ্রামের একাদিক মৃতশিল্পীর সাথে কথা বলে জানা যায়, তাদের পূর্ব পুরুষরাও এ পেশায় নিয়োজিত ছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় তারাও এ পেশা বেছে নিয়েছেনা। প্রতিটি মন্ডপের প্রতিমা তৈরিতে ২৫ থেকে ৬০ হাজার টাকা পর্যন্ত গ্রহন করা হয়।
নবীনগর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অজন্ত কুমার ভদ্র বলেন, সরকারি নির্দেশনা মেনে এ বছর নবীনগর উপজেলায় ১৩০ টি মন্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে পূজা উদযাপনের লক্ষে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
« ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে জরিমানা (পূর্বের সংবাদ)