নবীনগরে মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যার হুমকি, ওসি করলেন লাঞ্চিত_ প্রতিবাদে সাংবাদিক সম্মেলন



ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে পূর্ব বিরোধের জেরে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ করে সংবাদ সম্মেলন করছেন এক বীর মুক্তিযোদ্ধা। আর এ হুমকি দেয়ার অভিযোগের তীর ইসলামী ঐক্যজোটের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি ও হেফাজতে ইসলাম ঢাকা মহানগর কমিটির সদস্য মাওলানাা মেহেদী বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে। লাঞ্ছিত করার অভিযোগ নবীনগর থানার ওসি রনোজিত রায়ে বিরুদ্ধেও। বুধবার বিকেলে স্থানীয় প্রেসক্লাবে এসব অভিযোগ এনে নবীনগর উপজেলার মুক্তিযুুদ্ধকালীন কমান্ডার ও নবীনগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডের নির্বাচিত দপ্তর সম্পাদক আজাহারুল ইসলাম লালু এ সংবাদ সম্মেলন করেন।
এ ঘটনায় স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
মুক্তিযোদ্ধা আজাহারুল ইসলাম লালু তার লিখিত বক্তব্যে জানান, মঙ্গলবার দুপুরে জরুরী কাজে হাসপাতালের আরএমও এর সাথে সাক্ষাৎ করতে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যান তিনি। সেখানে তাকে না পেয়ে চলে আসার সময় হাসপাতালের ইনচার্জ স্বাস্থ্য ও পঃপঃ কর্মকর্তা ডাঃ মো. হাবিবুর রহমান আমাকে ডেকে তার অফিসে নিয়ে যান। সেখানে সৌজন্য কথাবার্তার সময় তাদের গ্রামের একটি বিষয়ে কথা হয়। ঠিক সেই মুহুর্তে নবীনগর পূর্ব ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক মেম্বার মোহাম্মদ রহিস মিয়ার ছেলে হেফাজতে ইসলামের নবীনগর উপজেলার সভাপতি মেহেদী হাসান ও মজিবুর রহমানের ছেলে মো. ফারুক, কানু মিয়ার ছেলে জিল্লু মিয়া, মো. সামছুল হক ও তাদের কয়েকজন সহযোগী হাসপাতালের ওই অফিসারের রুমে ঢুকে কোন কিছু জিজ্ঞাসা না করেই তাকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে হত্যার হুমকি দেয়।
সন্ধ্যায় বিষয়টি নিয়ে নবীনগর থানায় অভিযোগ করতে গেলে থানার অফিসার ইনচার্জ রনোজিত রায় এর রুমে ঢুকতেই তিনি কোন সৌজন্যবোধ না দেখিয়ে কেন এসেছেন, কিসের জন্য এসেছেন,এমন কোন কিছু জিঞ্জসা না করেই সরাসরি“আপনি কিসের মুক্তিযোদ্ধা, কেমন জাতের মুক্তিযোদ্ধা,ছিঃছিঃ এখান থেকে বের হন বলে তাকে বের করে দেন। সেই মুহুর্তে ওই মেহেদী সেই ওসির সাহেবের সাথে ছিলেন। তিনি বলেন,আমি হতভম্ব? একজন অফিসার ইনচার্জ এর এমন ব্যবহার কেন? কিসের জন্য?। থানায় এসে যদি একজন বিচারপ্রার্থী মুক্তিযোদ্ধা এমন দুর্ব্যবহারের স্বীকার হন তাহলে সাধারণ বিচারপ্রার্থী মানুষের কি অবস্থা হবে?। পুলিশ জনগনের বন্ধু, একি বন্ধুর নমুনা ? সংবাদ সম্মেলনে এই প্রশ্ন রেখে বিষয়টি উর্ধ্বতন কৃর্তপক্ষের কাছে ন্যায় বিচারের জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে মেহেদী হাসান বলেন, অভিযোগটি ভিত্তিহীন। গ্রামের একটি মামলা বিষয়ে নিয়ে উভয় পক্ষের মাঝে হাসপাতালে সামান্য তর্কবির্তক হয়েছে আমি সেখানে ছিলাম।
এ ব্যাপারে নবীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ রনোজিত রায় বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সত্য নয়, আমি উনাকে বলেছি এই সংকটময় মুহুতে এ বিষয় নিয়ে আসছেন, সবাইকে এখন ঘরে থাকার অনুরোধ করছি, পরে আসেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি, নবীনগর সার্কেল এএসপিকে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে।