নবীনগরে বিএনপির সাংগঠনিক সভায় বিভক্ত নেতারা একই মঞ্চে
মিঠু সূত্রধর পলাশ নবীনগর : বিএনপি’র চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবী জানিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলা ও নবীনগর পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সভায় নবীনগর বিএনপির নেতারা সকল মতানৈক্য ভূলে এক মঞ্চে বসেছেন। শুক্রবার বিকেলে নবীনগর মহিলা ডিগ্রি কলেজ মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলা বিএনপির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার সফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায়, প্রধান অতিথির বক্তব্যে চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও সাবেক এমপি আবুল খায়ের ভূইয়া বলেন, ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নয়, খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি, গুম, খুন, দমন-পীড়ন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদ এবং সাংগঠনিক শক্তিকে বেগবান করার জন্য বিএনপিকে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন করতে হবে।
সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক মিয়া, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আওয়াল খান, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য তকদির হোসেন মোহাম্মদ জসিম, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন ভূইয়া শিশির, জেলা বিএনপির সভাপতি হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি, উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি মো: সায়দুল হক সাঈদ, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক খোকন সহ জেলা, কেন্দ্রীয় ছাত্রদল নেতা রাজিব আহসান চৌধুরী পাপপু, কাজী নাজমুল হোসেন তাপস, উপজেলা ও পৌর বিএনপির নেতারা।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ও পৌর বিএনপির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক,সাংগঠনিক সম্পাদক সহ ২১ টি ইউনিয়নের ও নবীনগর পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডেও সভাপতি,সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদকগন সহ বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ।
উল্লেখ্য, এ দিকে গত ৭ নভেম্বর পালন করার প্রাক্কালে উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ে সামনে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আনিছুর রহমান মঞ্জুর ওপর পদত্যাগকারী উপজেলা ছাত্রদল নেতা হযরত আলী ও রুবেলের নেতৃত্বে অতর্কিতে হামলা চালানো হয়। ওই সময় আনিসুর রহমান মঞ্জুকে বেধড়ক মারধর করে রক্তাক্ত করা হয়।
ঘটনার চারদিন পর আহত আনিসুর রহমান মঞ্জু বাদী হয়ে ১১ নভেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নবীনগর পৌরসভা সাবেক মেয়র ও পদত্যাগকারী উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মোহাম্মদ মাঈনুদ্দিন মাঈনু, উপজেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক হযরত আলী ও পৌর ছাত্রদলের সভাপতি আশরাফুল ইসলাম রুবেলসহ ২২ জন বিএনপি নেতাকর্মীকে আসামি করে দ্রুত বিচার আইনে মামলা দায়ের করেন।