Main Menu

নবীনগরে বর্ষায় নৌকা বানানোর ধুম

[Web-Dorado_Zoom]
মিঠু সূত্রধর পলাশ, নবীনগর প্রতিনিধি:-  ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে বর্ষায় উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে শুরু হয়েছে নৌকা তৈরী ও বিক্রির তোড়জোর। এখন নৌকা তৈরিতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে কাঠ মিস্ত্রীরা। বর্ষার পানি বাড়ার সাথে সাথে আশ-পাশের গ্রামের গৃহস্থলি কাজে, খেয়া পারাপারে ও গো-খাদ্যের জন্য কোষা ও ভিঙি নৌকার কদর বেড়ে যায় কয়েক গুণ। আর এ সুবাধে গড়ে উঠে ডিঙি ও কোষা নৌকা তৈরী ও বিক্রির অস্থায়ী হাট। উপজেলার দূর-দূরান্ত বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতিদিন ক্রেতারা তাদের পছন্দের নৌকা এখান থেকে কিনে থাকেন।
তিতাস, মেঘনা ও বুড়ি নদী ঘেৱা নবীনগর উপজেলার প্রায় গ্রামই বর্ষায় প্লাবিত হয়। তাই বর্ষা মৌসুম এলেই এই এলাকার মানুষের চলাচলের বাহন হিসেবে নৌকা ব্যবহার করে থাকে। উপজেলার নদীর তীরবর্তী গ্রাম গুলোতে স্কুলগামী ছাত্র-ছাত্রীরা নৌকার মাধ্যমে স্কুলে যাতায়াত করে থাকে। বর্ষায় মৌসুমি জেলেরা নৌকা দিয়ে রাত দিন মাছ শিকারে ব্যস্থ হয়ে পড়ে। সরেজমিনে দেখা যায়-উপজেলার আলমনগর, সাদেকপুর, আয়তলা, মনিপুর, চিত্রি, চরলাপাং প্রভৃতি গ্রামের  মাছ ধরা ও চলাচলের উপযোগী নৌকা তৈরির ধুম পড়েছে। অথবা কেউ তার পুরাতন নৌকাকে মেরামত করছেন। আবার কেউ মাছ ধরার কাজে ব্যবহৃত নৌকায় রং ও আলকাতরা দিয়ে ব্যাবহারের উপযোগী করছে।
নৌকার মালিক ও মিস্ত্রী সূত্রে জানা যায়- এ বছর নবীনগরে শত শত নতুন নৌকা নির্মিত হচ্ছে। আলমনগর, লাপাং, শিবপুর, বাঙ্গরা, শ্রীঘর, খাগাতুয়া, লহরী, রাধানগর প্রভৃতি গ্রাম গুলোতে নৌকার ব্যবহার হচ্ছে যুগ যুগ ধরে। এ সব গ্রামের প্রায় বাড়িতেই বর্ষাকালে যাতায়াতের জন্য একটি করে নৌকা আছে। নবীনগর উপজেলার আলমনগর গ্রামের সুবল সূত্রধর,দুলাল সূত্রধর, গৌরাঙ্গ সূত্রধর  জানান- ছোট বেলা থেকেই বাবার সাথে নৌকা তৈরির কাজ করছি। বর্ষা এলেই নৌকা তৈরির কাজ বেড়ে যায়।
নৌকা তৈরীতে বিশেষ কোন কাঠ নিদিষ্ট ভাবে ব্যবহার হয় না। তবে গাব, কড়ই ও মেহগনি দিয়েই বেশী নৌকা তৈরী করি। নৌকা তৈরীতে কাঠ ছাড়াও মাটিয়া তৈল, আলকাতরা, তাড়কাটা, গজাল, পাতাম ইত্যাদি লাগে। দুইজন মিস্ত্রী প্রতিদিন একটি ডিঙ্গি নৌকা তৈরি করতে পারে। বার হাতের একটি নৌকা তৈরিতে সাত / আট হাজার টাকা খরচ হয় এবং বিক্রি হয় সাড়ে বার হতে পনের হাজার টাকা। ছোট নৌকা তৈরিতে পাঁচ হাজার টাকা খরচ হয় বিক্রি হয় সাত থেকে আট হাজার টাকা। একই গ্রামের অবনি নাথ জানান- প্রতি বছরের ন্যায় এবার ও বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ার আগেই নৌকা তৈরির কাজ শুরু করেছি। এবার আগে থেকেই অনেক অর্ডার ও পেয়েছি। তিনি আরো বলেন- গত বছর দুইশ’র বেশি নৌকা বিক্রি করেছি। এ বছর কাঠ ও নৌকা তৈরীর সামগ্রীর দাম বেশি হওয়ায় বিক্রিও করতে হবে বেশি দামে।





Shares