নবীনগরে প্রশাসনের কঠোর নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নদী পারাপারে দ্বিগুন ভাড়া আদায়
মিঠু সূত্রধর পলাশ,নবীনগর প্রতিনিধি: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলা সদরের ‘মনতলা ঘাট থেকে সীতারামপুর’ ঘাট পর্যন্ত নৌকা পারাপারে ১০টাকার পরিবর্তে মাথাপিছু ২০টাকা করে আদায় করছেন ইজারাদারের লোকজন। প্রশাসনের কঠোর নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে মূল তালিকায় ১০ টাকা নেওয়ার কথা থাকলেও পারাপারে প্রভাব খাটিয়ে তারা মাথাপিছু দ্বিগুন ২০ টাকা নিচ্ছেন। আর এ নিয়ে প্রায় প্রতিদিনই যাত্রীদের সঙ্গে ভাড়া আদায়কারীদের সাথে কথা কাটাকাটি সহ নানান সমস্যা হচ্ছে।
সরজমিনে ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দু’বছর আগে প্রথমে ভাড়া ৫টাকার স্থলে ১০ টাকা করা হয়,সেটাই আমাদের কাছে বেশি মনে হয়েছিলো। তারপর জেলা পরিষদ ভাড়া ১০টাকা করে দেয়। এখন সেই ১০টাকার ভাড়া করোনা পরিস্থীতির মধ্যে ৩০ টাকা করে নেয় ইজারাদারের লোকজন। যে ভাড়া আমাদের দেওয়ার ক্ষমতার বাইরে চলে যায়। পরে স্থানীয় সাংবাদিকরা লেখালেখি করলে গত দুই-এক সাপ্তাহ যাবত তারা ভাড়া ২০ টাকা করে নেয়। তিন মিনিটে নদী পথের পারাপারের যদি ২০ টকা ভাড়াও অনেক বেশি ! তাছাড়া রাতে পারাপারে এর ভাড়া হয় মাথাপিছু এক’শ টাকা। যানবাহনের ভাড়া মাত্রা অতিরিক্ত। এ নিয়ে কিছু বললে যাত্রীদের সাথে খারাপ ব্যাবহারও করেন ইজারাদারের লোকজন।
স্থানীয়রা জানান, সড়ক পথে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদরে যাতায়তের জন্য হাজার হাজার মানুষ প্রতিদিন এই রাস্তাটি ব্যাবহার করে। তাছাড়াও উপজেলার উত্তরাঞ্চলের তিনটি ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ এ খেয়াঘাট দিয়ে নবীনগর উপজেলা সদরে যাতায়াত করেন। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, নবীনগর সদরে প্রশাসনের চোখের সামনে দীর্ঘদিন ধরে এমন জুলুম অত্যাচার চললেও, এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন বরাবরাই রহস্যজনক কারণে নীরব রয়েছেন।
সূত্রে জানা যায়, বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় পত্র-পত্রিকা ও ফেসবুকে প্রচুর লেখালেখি হয়েছে। তবু সুযোগ পেলেই তারা এই অনিয়ম শুরু করে।,
স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা মো. হাবিবুর রহমান জানান, পত্রিকায় রিপোট প্রকাশের পর ভাড়া ১০টকা কমেছে। যদিও মূল ভাড়ায় তারা এখনো ফিরেনি,এখনো তারা অবৈধ ভাবে মাথাপিছু ২০ টকা করেই নিচ্ছেন। এসব কর্মকান্ডে আমাদের সরকারের ভাবমুর্তি খারাপ হচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মাঝি জানান, আমাদের পুশেনা, অনেক টাকা দিয়া ঘাটের ডাক কিনে আনছি। ভাইরাসের কারনে অনেক দিন ঘাট বন্ধ ছিলো। সেইডা উশুল করার লাইগা ভাড়া বেশি তুলা লাগে। জানা যায়, এই খেয়া ঘাটের ডাক অনেক হাতবদল হয়। প্রকৃত খেয়া ঘাটের ডাক যে লোক পেয়েছে সে এই ডাক অনেক বেশি টাকায় বেঁচে দেয় বর্তমান ইজারাদারের কাছে।
এ বিষয়ে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নবীনগর সার্কেল) মো. মোকবুল হোসেন জানান, এই বিষয়ে বহুবার খেয়া ঘাটের লোকজনদের মূলতালিকা অনুসারে ভাড়া উত্তলন করার কথা বলা হয়েছে। মূল্য তালিকার বাইরে বেশি ভাড়া নিলে তাকে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। আমি বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখব।