নবীনগরে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে ১০ জন আহত:: ৪ জন গ্রেপ্তার
মিঠু সূত্রধর পলাশ,নবীনগর প্রতিনিধি: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার পশ্চিম ইউনিয়নের দড়িলাপাং গ্রামে দীর্ঘ দিনের শত্রুতার জেরে ১০ জন আহত হয়েছে। গতকাল সোমবার (১৯/০৪) রাতে এই রক্তক্ষয়ী সংর্ঘষের ঘটনা ঘটে। এ সংঘর্ষের ঘটনায় মো.আক্তার হোসেন (৪২) নামে এক সবজি বিক্রেতাকে কুপিয়ে টেটাবিদ্ধ করা হয়েছে। টেটাবিদ্ধ আক্তার হোসেন কে আশঙ্কা জনক অবস্থায় ঢাকার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ সংর্ঘষের ঘটনায় এলাকাটিতে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ঘটনাস্থল থেকে ৪ জন কে আটক করেছে পুলিশ। এ বিষয়ে আহত আক্তার হোসেনের স্ত্রী সাবিকুন্নাহার বাদী হয়ে নবীনগর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়,উপজেলার পশ্চিম ইউনিয়নের দড়িলাপাং গ্রামে দীর্ঘদিন যাবত এলাকার ওয়ালি গ্রুপ এবং জাহের আলী গ্রুপের মধ্যে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন নিয়ে পূর্বে থেকে দন্ধ চলে আসছে। এরই জের ধরে গতকাল সোমবার আনুমানিক রাত ৮ টার দিকে দুই গ্রুপে মধ্যে দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে একজন টেঁটা বিদ্ধ হওয়া সহ উভয়পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ সংঘর্ষের ঘটনায় মৃত্যুর গুজব ছড়িয়ে উভয় পক্ষের ঘর-বাড়িতে ভাংচুর চালানো হয়েছে। এঘটনায় এলাকাটিতে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
এ বিষয়ে মামলার বাদী সাবিকুন্নাহার বলেন, আমার স্বামী একজন সাধারণ মদিমালে দোকানদার, ঘটনার সময় তিনি দোকানদারি করছিলেন। হঠাৎকরে প্রতিপক্ষের লোকজন আমার স্বামীর উপর দেশিয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়ে টেঁটাবিদ্ধ করে আমাদের দোকানের মালামাল লোটপাট করে নিয়ে যায়। আমার স্বামী এখন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জালড়ছে।
এ বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ফিরুজ মিয়া বলেন, সংর্ঘষের ঘটনা এড়াতে আমি আমার এলাকায় তিনটি আইনশৃঙ্খলা মিটিং করেছি। প্রশাসন আমাকে সবসময় সহযোগীতা করেছে। উপজেলা আইনশৃঙ্খলা মিটিংকে অবজ্ঞা করে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়েছে।
নবীনগর থানার ওসি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এঘটনায় আহত আক্তারের স্ত্রী সাবিকুন্নাহার আমাদের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। একটি পক্ষ মৃত্যুর গুজব ছড়িয়ে এলাকার পরিস্থিতি ঘোলাটে করার চেষ্টা করেছিলো। খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রাখতে এলাকাটিতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।