নবীনগরে জাতির জনক ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাঙচুর:: গ্রেপ্তার হওয়া দুই নেতা জামিন পেয়েছেন



নবীনগর প্রতিনিধি::ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলা শ্রমিক লীগের কার্যালয়ে থাকা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ভাঙচুরের ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া উপজেলা শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক ফোরকান উদ্দিন মৃধা ও পৌর যুবলীগের সভাপতি আবদুল মোমেন জামিন পেয়েছেন। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোশারফ হোসেনের আদালতে তাদের জামিন মঞ্জুর হয়।
জামিনের বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে অ্যাডভোকেট শিব শংকর দাস জানান, ‘আদালতে ওই দুই আসামির সাত দিনের রিমান্ড চাওয়া হলে বিজ্ঞ আদালত শুনানি শেষে দুই আসামির জামিন মঞ্জুর করেন।’
এদিকে জামিনে মুক্ত হয়ে ক্ষমতাসীন দলের ওই দুই শীর্ষ নেতা নবীনগরে এসে পৌঁছালে তাদের অনুসারীরা ফুলের মালা দিয়ে দুই নেতাকে বরণ করে নেন। পরে মালা পরিহিত ওই দুই নেতাকে নিয়ে উপজেলা সদরে একটি আনন্দ মিছিল বের করা হয়।
যুবলীগ নেতা আবদুল মোমেন জামিনে মুক্ত হয়ে বলেন,”আমি আগেই বলেছিলাম, আমাকে সম্পূর্ণ ষড়যন্ত্রমূলকভাবে গ্রেপ্তার করা হয়। একটি চক্র মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে আমাকে ফাঁসিয়েছিলো। ইনশাল্লাহ এ মিথ্যা মামলায় আমি নির্দোষ প্রমাণিত হবোই।’
উল্লেখ্য, গত ১৪ আগস্ট রাতে নবীনগর বাসস্ট্যান্ডের কাছে থাকা উপজেলা শ্রমিকলীগের কার্যালয়ে হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। হামলাকারীরা দলীয় ওই কার্যালয়ে থাকা মালামাল তছনছ ও লন্ডভন্ড শেষে এক পর্যায়ে কার্যালয়টিতে সাঁটানো জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবিও ভাঙচুর করে সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনার পর উপজেলা শ্রমিক লীগের সদস্য সচিব রহিজ মিয়া বাদী হয়ে নবীনগর থানায় মামলা করলে পুলিশ ক্ষমতাসীন দলের ওই দুই নেতাকে গ্রেপ্তার করে।